সরকার পতনের পর কোন দল জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত না হয়েই দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে অনিয়ম দুর্নীতি মতন জঘন্য সকল কর্মকান্ড। এমনই এক লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে ডেমরা থানাধীন ডগাইর বাজারের দাদা হেয়ার সেলুনের সামনে। ডগাইর বাজার ও পুব পাড়া, বড়ভাঙ্গার স্থানীয় অপহরণকারী চুরি ছিনতাইকারীর মূল হোতা ১)মুমিন (৪০)যার পিতা তাজু মিয়া ও ২)হাসান ৩)অনিক ৪)মাছুদ ৫)রুবেল ৬)সাহাদাত আরো ৩০/৪০ জনের এই সন্ত্রাসী দলটির নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া ন্যায়ের পক্ষে লড়াকু এক সাহসী সাংবাদিক। গত ৪-০৪-২০২৫ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ৮:৩০ ঘটিকায় আড়ালের চোখ টিভির ক্যামেরা পার্সন সাংবাদিক শুভজিৎ সরকারকে অপহরন করে মুমিন ও হাসান বাহিনী এরপর তাকে ছাড়িয়ে নিতে হলে ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দিতে হবে এমন হুমকি দিয়ে কল করে অপহরনকারীরা।টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় সমন্বয়ক পরিচয় ধারনকারী অনিক (৩০) ও তার দলের সন্ত্রাসীরা তাকে বেধড়ক নির্যাতন করতে থাকে একপর্যায়ে সাংবাদিকের শরীরের অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকলে তারা তাকে বাঁশেরপুর তিতাস টাওয়ারে জনি নামের এক বিএনপি নেতা পরিচয় ধারনকারীর অফিসে নিয়ে যায় এরই মধ্যে তার সিনিয়র মহিলা সাংবাদিক উম্মে রুমা ও তার সহকর্মীরা ডেমরা থানার পুলিশ ফোর্স নিয়ে তাকে উদ্ধার করতে সফল হয়।
ঘটনাটির শুরু হয় ডেমরা কোনাপাড়ার মেলার মাঠ থেকে, যেখানে কসমেটিকস ও খেলনার দোকানের মালিকের কাছ থেকে ৫০,০০০ টাকা ছিনতাই করে মুমিন। কিন্তু তাদের চেহারা ওই ব্যবসায়ী চিনে ফেলায় তাকে প্রানে মেরে ফেলার জন্য কোনাপাড়া থেকে মারধর করতে করতে হঠাৎ ব্যবসায়ী তার জীবন রক্ষা করার জন্য একটি অটোতে উঠে পরে তার তার পিছু পিছু সন্ত্রাসীরা ডগাইর বাজার পর্যন্ত চলে আসে একপর্যায়ে সে ব্যবসায়ী তার পরিচিত সাংবাদিক খালামনির বাসায় আশ্রয়ের জন্য ঢুকে পরে।
প্রায় থেকে ৪০ জনের এই সন্ত্রাসী গ্রুপটি ওই ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন এবং তার সাথে থাকা নারীসাংবাদিককে নানান ভাবে হেনস্থার চেষ্টা করে চেষ্টা করেও এক পর্যায়ে তাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য ভুয়া সাংবাদিক বলে আখ্যায়িত করেন এতেও ক্ষ্যান্ত হয়নি দুর্বৃত্তরা বরং সাংবাদিক মহিলাকে একজন দেহ ব্যবসায়ী বলে মানহানি করেন করেন।তাদের মোবাইল টাকা মানিব্যাগ ক্যামেরা সহ সবকিছু যখন তারা নিয়ে যায় তখন কোন রকম জীবন বাঁচিয়ে সাংবাদিক টিম ডেমরা থানায় সহযোগিতার জন্য একটি চলন্ত অটোতে উঠে পড়ে দুর্ভাগ্যক্রমে ওই অটোতে শুভজিৎ সরকার উঠতে পারিনি তাকে অপহরণ করে ওই দুর্বৃত্তরা। এরপরে চরম নিরযাতনের শিকার হন শুভজিৎ সরকার। শুভজিৎ সরকারকে ডেমরা থানার ওসির নির্দেশে উদ্ধার করা হয় বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে তাদের অবগত করা থাকলেও তারা কোনভাবেই মামলা গ্রহণ করেনি। একের পর এক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে মুমিন গ্রুপের হাতে সাধারণ মানুষ। কিন্তু কেন প্রশাসন এই মুমিন গ্রুপকে এখনো গ্রেফতার করছেন না? কে আছে এই অপহরনকারীর সেল্টারে? ডেমরা থানার ওসি সরাসরি মামলা নিবে না বলে জানিয়ে দেয়। শুধু তাই নয় ছিনতাই মুমিন (৪০)মোবাইল ফোনে জানান ডেমরা থানার ওসিকে সে ৫০,০০০ টাকা দিয়ে হাজত থেকে বের হয়েছে।এই বিষয়ে প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আর্কষন করার অনুরোধ জানাচ্ছেন গণমাধ্যম কর্মীরা। চলবে……