দীর্ঘ ২০ বছর যাবত কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বুরুন্দি এলাকার তিন সমাজের মানুষ একসাথে পবিত্র ঈদ জামাত করে আসছে। হঠাৎ গত ঈদুল ফিতর এর নামাজের আগে স্বপন মাহমুদ ও হাসান আহমেদ ঈদের জামায়েত না করার জন্য বাধা দেয়, এতে করে দুই সমাজের মানুষের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে প্রশাসন থেকে যার যার মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য বলা হয়। এ ব্যাপারে দুই সমাজের মানুষ ঈদের পর ৪ এপ্রিল বাদ জুম্মা বুরুন্দি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও তিন তারা জামে মসজিদের সমাজবাসীগণ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বুরুন্দী ঈদগাহের জমির দাবিতে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর আমরা এই জায়গায় ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাজ পড়ে আসছি এবং এলাকার মানুষজন মারা গেলে এখানেই জানাজা হয়। আজ যাহারা এখানে বাধা সৃষ্টি করছেন এবং ঈদের জামায়াত করতে দিচ্ছেন না তাহারা এবং আমরা চলুন একসাথে বসি, একসাথে বসে এই ঈদের জামাতের আয়োজনটা সঠিক সুন্দরভাবে করে থাকি। আপনার জামায়াতে বাধা সৃষ্টি না করে একসাথে এক হয়ে হাতে হাত মিলিয়ে এই বুরুদি এলাকাবাসীর সকল সমস্যা রক্ষায় কাজ করি।
এ বিষয়ে সারজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুরুন্দি এলাকায় ঈদগাহের ব্যাপারে চাপা উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বুরুন্দি এলাকার ইট বালু ব্যবসায়ী মক্কা মদিনা ট্রেডার্সের মালিক মফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা কয়েকজনে মিলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাহারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আসে। তারা দীর্ঘ ১৫ বছর কলাগাছিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাথে সঙ্গ করে বুরুন্দি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল, এখন বর্তমানে মামা ভাগিনা মিলে বিএনপিতে যোগ দিয়ে বুরুন্দি মানুষদের অত্যাচার করে আসছে। গত কিছুদিন আগে তারা মোসলেউদ্দিন মেম্বারের নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে সে থেকে মোসলেউদ্দিন মেম্বার ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে, এরপর ব্যবসায়ী হাজী সুমন প্রধানের নিকটও চাঁদা দাবি করে বর্তমানে সুমন প্রধান বিদেশে চলে গেছে। তারা আমার নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করে না দিলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি প্রশাসনের নিকট আমার আকুল আবেদন তাহারা যেন আমার এবং আমার জান মালের রক্ষার্থে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।