ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শামীম ওসমান দুইবার বোরকা পরে পালিয়েছেন: রাশেদ খান

শামীম ওসমান দুই দুইবার বোরকা পরে পালিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ খান বলেন, শামীম ওসমান দুই দুইবার বোরকা পরে পালিয়েছেন। এরা নারায়ণগঞ্জের ত্রাস ছিল। নারায়ণগঞ্জের বিপ্লবী জনতা এদের লাথি মেরে বিতাড়িত করেছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বাংলাদেশকে নিজেদের দেশ মনে করে না। এদের আসল দেশ হলো ভারত। কিন্তু সেই ভারতও রক্ষা করতে পারেনি। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই এদের পরাজয় নিশ্চিত হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থান সবার। জুলাই স্পিরিট কারও বাপ দাদার সম্পদ নয়। সুতরাং আওয়ামী লীগের মতো কেউ চেতনার ব্যবসা খুলে বসবেন না।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে রাশেদ খান বলেন, আমরা প্রশ্ন করতে চাই, সরকার সাড়ে ৪ মাস কি কি কাজ করেছে। কেন এখনো আওয়ামী লীগের অপরাধী, হাইকমান্ড ও শেখ পরিবারকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ৩০০ ডামি এমপির বিষয়ে সরকারের অবস্থান কি? কেন এখনো তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও দুদকের মাধ্যমে পাকড়াও করা হচ্ছে না। গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনার নির্দেশে যেসব পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির সদস্যরা গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, তাদের চাকরিচ্যুত করা এবং গ্রেফতার না করার রহস্য কি।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকা ৬২৬ জনের তালিকা এখনো প্রকাশ না হওয়া রহস্যজনক। সরকার কি আসলেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারবে? আমাদের স্পষ্ট কথা, বিচার শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে। এখনো পর্যন্ত সর্বত্র আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চলছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক তোফাজ্জল হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

শামীম ওসমান দুইবার বোরকা পরে পালিয়েছেন: রাশেদ খান

আপডেট সময় ০৯:৫১:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

শামীম ওসমান দুই দুইবার বোরকা পরে পালিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ খান বলেন, শামীম ওসমান দুই দুইবার বোরকা পরে পালিয়েছেন। এরা নারায়ণগঞ্জের ত্রাস ছিল। নারায়ণগঞ্জের বিপ্লবী জনতা এদের লাথি মেরে বিতাড়িত করেছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বাংলাদেশকে নিজেদের দেশ মনে করে না। এদের আসল দেশ হলো ভারত। কিন্তু সেই ভারতও রক্ষা করতে পারেনি। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই এদের পরাজয় নিশ্চিত হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থান সবার। জুলাই স্পিরিট কারও বাপ দাদার সম্পদ নয়। সুতরাং আওয়ামী লীগের মতো কেউ চেতনার ব্যবসা খুলে বসবেন না।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে রাশেদ খান বলেন, আমরা প্রশ্ন করতে চাই, সরকার সাড়ে ৪ মাস কি কি কাজ করেছে। কেন এখনো আওয়ামী লীগের অপরাধী, হাইকমান্ড ও শেখ পরিবারকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ৩০০ ডামি এমপির বিষয়ে সরকারের অবস্থান কি? কেন এখনো তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও দুদকের মাধ্যমে পাকড়াও করা হচ্ছে না। গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনার নির্দেশে যেসব পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির সদস্যরা গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, তাদের চাকরিচ্যুত করা এবং গ্রেফতার না করার রহস্য কি।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকা ৬২৬ জনের তালিকা এখনো প্রকাশ না হওয়া রহস্যজনক। সরকার কি আসলেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারবে? আমাদের স্পষ্ট কথা, বিচার শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে। এখনো পর্যন্ত সর্বত্র আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চলছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক তোফাজ্জল হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।