ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সাংবাদিককে অপহরণ ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি। কেন নেয়া হয়নি মামলা ডেমরা থানায়? Logo সিদ্ধিরগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামি আজিজুল হাকিম গ্রেপ্তার Logo বিএনপি নেতা স্বপন মাহমুদ ও হাসান আহমেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বুরুন্দি দুই সমাজের মানুষ Logo বন্দরে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার হামলা-মামলায় বাড়িছাড়া চার পরিবার Logo মানবতার সেবক শান্তা’র সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে ঈদ সামগ্রী বিতরণ Logo ছুটির পর খুললো ব্যাংক, ফুরফুরে মেজাজে কর্মীরা Logo ভিনিসিয়ুসের পেনাল্টি মিসের রাতে রিয়ালের হার Logo ভারতে বাস দুর্ঘটনা, ছিলেন ৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি পর্যটক Logo ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ১৫ কিলোমিটার তীব্র যানজট, ভোগান্তি Logo বন্দরে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী তরুণী ৪ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা

ঢাকার খুব কাছেই বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

ঢাকার খুব কাছেই চমৎকার দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা বালিয়াটি জমিদার বাড়ি। এই বাড়ির অনেক গল্প শুনেছি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছে। বন্ধুর বাবার সরকারি চাকরির সুবাদে একসময় তাদের পরিবারের আবাসিক ভবন ছিল বালিয়াটি জমিদার বাড়ির একাংশ। শুনেই রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম। বিশাল রাজপ্রাসাদের মতো বাড়িতে পরিবারসহ থাকতো তারা! কতো রহস্য ও রোমাঞ্চঘেরা ছিল সেই সময় আমার ঐ স্কুল পড়ুয়া বন্ধু ও তার ভাইবোনদের জীবন! রবীন্দ্রনাথের ‘ক্ষুধিত পাষাণ’র মেহের আলী কী এখানেও তাদের বলতো ‘তফাৎ যাও, তফাৎ যাও!’ আমি গল্প শুনতাম আর ভাবতাম কবে দেখতে যাবো এই বিশাল প্রাসাদোপম জমিদার বাড়ি!

খুব দূরে নয়। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৩৫ মাইল উত্তরপশ্চিমে এবং মানিকগঞ্জ জেলা সদর থেকে ৫ মাইল পূর্বে সাটুরিয়া উপজেলায় বালিয়াটি গ্রামে এই জমিদার বাড়ির অবস্থান। বাড়িটি প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। ইংরেজ আমলের শুরুতে যারা জমিদারি লাভ করেছিলেন তাদের মধ্যে বালিয়াটির জমিদারি অন্যতম। আঠরো শতকের মাঝামাঝি এই এলাকার ধনাঢ্য লবণ ব্যবসায়ী গোবিন্দ রায় সাহা বালিয়াটি জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন। ৫.৮৮ একর জমির উপর এই বাড়ি নির্মিত। পরবর্তীকালে তার চার ছেলে বাড়ির সামনের চারটি প্রাসাদসহ ভেতরের স্থাপনাগুলো নির্মাণ করেন।

অবশেষে বালিয়াটি জমিদার বাড়িতে একদিনের একটি পারিবারিক ভ্রমণের আয়োজন করি। বেশ সকালে রওয়ানা দিয়ে পৌঁছে যাই বিশাল বালিয়াটি এস্টেটে। তখনো এটি প্রত্মতত্ত্ব বিভাগের অধীনে নেয়া হয়নি। আমরা ঘুরে দেখি বাড়ির বিভিন্ন অংশ। জানা যায়, এই জমিদার বাড়ির উত্তরে একসময় গাজীখালী নামে নদী প্রবাহিত হতো। ১৬,০০০ বর্গমিটার আয়তনের সুবিস্তৃত এই জমিদার বাড়িতে শয়ন কক্ষ, অতিথি কক্ষ, বৈঠকখানা, মালখানা, রান্না ঘর, নাচঘর, দরবার হলসহ মোট ২১৫টি কক্ষ রয়েছে। জমিদারবাড়ির সামনে ও পেছনে চারটি শান বাঁধানো ঘাটসহ বিশাল দুটি দীঘি রয়েছে। এই দীঘির দক্ষিণে রয়েছে পুজোমণ্ডপ। রয়েছে যাত্রামঞ্চ। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া এক সময় যাত্রাপালার জন্য বিখ্যাত ছিল। বিভিন্ন যাত্রাপালা এবং দলগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করতেন জমিদাররা।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিককে অপহরণ ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি। কেন নেয়া হয়নি মামলা ডেমরা থানায়?

ঢাকার খুব কাছেই বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

আপডেট সময় ১১:০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকার খুব কাছেই চমৎকার দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা বালিয়াটি জমিদার বাড়ি। এই বাড়ির অনেক গল্প শুনেছি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছে। বন্ধুর বাবার সরকারি চাকরির সুবাদে একসময় তাদের পরিবারের আবাসিক ভবন ছিল বালিয়াটি জমিদার বাড়ির একাংশ। শুনেই রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম। বিশাল রাজপ্রাসাদের মতো বাড়িতে পরিবারসহ থাকতো তারা! কতো রহস্য ও রোমাঞ্চঘেরা ছিল সেই সময় আমার ঐ স্কুল পড়ুয়া বন্ধু ও তার ভাইবোনদের জীবন! রবীন্দ্রনাথের ‘ক্ষুধিত পাষাণ’র মেহের আলী কী এখানেও তাদের বলতো ‘তফাৎ যাও, তফাৎ যাও!’ আমি গল্প শুনতাম আর ভাবতাম কবে দেখতে যাবো এই বিশাল প্রাসাদোপম জমিদার বাড়ি!

খুব দূরে নয়। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৩৫ মাইল উত্তরপশ্চিমে এবং মানিকগঞ্জ জেলা সদর থেকে ৫ মাইল পূর্বে সাটুরিয়া উপজেলায় বালিয়াটি গ্রামে এই জমিদার বাড়ির অবস্থান। বাড়িটি প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। ইংরেজ আমলের শুরুতে যারা জমিদারি লাভ করেছিলেন তাদের মধ্যে বালিয়াটির জমিদারি অন্যতম। আঠরো শতকের মাঝামাঝি এই এলাকার ধনাঢ্য লবণ ব্যবসায়ী গোবিন্দ রায় সাহা বালিয়াটি জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন। ৫.৮৮ একর জমির উপর এই বাড়ি নির্মিত। পরবর্তীকালে তার চার ছেলে বাড়ির সামনের চারটি প্রাসাদসহ ভেতরের স্থাপনাগুলো নির্মাণ করেন।

অবশেষে বালিয়াটি জমিদার বাড়িতে একদিনের একটি পারিবারিক ভ্রমণের আয়োজন করি। বেশ সকালে রওয়ানা দিয়ে পৌঁছে যাই বিশাল বালিয়াটি এস্টেটে। তখনো এটি প্রত্মতত্ত্ব বিভাগের অধীনে নেয়া হয়নি। আমরা ঘুরে দেখি বাড়ির বিভিন্ন অংশ। জানা যায়, এই জমিদার বাড়ির উত্তরে একসময় গাজীখালী নামে নদী প্রবাহিত হতো। ১৬,০০০ বর্গমিটার আয়তনের সুবিস্তৃত এই জমিদার বাড়িতে শয়ন কক্ষ, অতিথি কক্ষ, বৈঠকখানা, মালখানা, রান্না ঘর, নাচঘর, দরবার হলসহ মোট ২১৫টি কক্ষ রয়েছে। জমিদারবাড়ির সামনে ও পেছনে চারটি শান বাঁধানো ঘাটসহ বিশাল দুটি দীঘি রয়েছে। এই দীঘির দক্ষিণে রয়েছে পুজোমণ্ডপ। রয়েছে যাত্রামঞ্চ। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া এক সময় যাত্রাপালার জন্য বিখ্যাত ছিল। বিভিন্ন যাত্রাপালা এবং দলগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করতেন জমিদাররা।