ঢাকা , সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সাংবাদিককে অপহরণ ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি। কেন নেয়া হয়নি মামলা ডেমরা থানায়? Logo সিদ্ধিরগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামি আজিজুল হাকিম গ্রেপ্তার Logo বিএনপি নেতা স্বপন মাহমুদ ও হাসান আহমেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বুরুন্দি দুই সমাজের মানুষ Logo বন্দরে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার হামলা-মামলায় বাড়িছাড়া চার পরিবার Logo মানবতার সেবক শান্তা’র সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে ঈদ সামগ্রী বিতরণ Logo ছুটির পর খুললো ব্যাংক, ফুরফুরে মেজাজে কর্মীরা Logo ভিনিসিয়ুসের পেনাল্টি মিসের রাতে রিয়ালের হার Logo ভারতে বাস দুর্ঘটনা, ছিলেন ৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি পর্যটক Logo ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ১৫ কিলোমিটার তীব্র যানজট, ভোগান্তি Logo বন্দরে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী তরুণী ৪ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা

আদালতে প্রধান আসামির নাটকীয় আচরণ

সিলেটে শিশু মুনতাহা খুন ও লাশগুমের বহুল আলোচিত মামলার প্রধান অভিযুক্ত শামীমা বেগম মার্জিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। টানা ৫ দিনের রিমান্ডে করা আচরণ, বক্তব্য হঠাৎ পালটে ফেলেন আদালতে গিয়েই। এতে খোদ পুলিশও হতবাক।

অবশেষে মার্জিয়াসহ রিমান্ডের ৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয় আদালতের নির্দেশে। সিলেট জেলা জজ আদালতের ইন্সপেক্টর জমসেদ আহমদ বলেন, প্রয়োজন মনে করলে পুলিশ আবারও রিমান্ডের আবেদন করতে পারবে।

আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, মুনতাহা হত্যা মামলার চার আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে প্রধান আসামি মার্জিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা। রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তির ব্যাপারে নিশ্চিতও করেছিল। কিন্তু আদালতে গিয়েই মুখে কুলুপ এঁটে বসে মার্জিয়া। অস্বীকৃতি জানায় জবানবন্দি দিতে। পরে আদালতের নির্দেশে ৪ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, চার আসামি কানাইঘাট থানার বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার স্ত্রী আলিফজান, তাদের মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া এবং একই এলাকার ইসলাম উদ্দিন ও নাজমা বেগমকে পুলিশ ১১ নভেম্বর আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে পুলিশ আসামিদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

জিজ্ঞাসাবাদেও বারবার নাটকীয় আচরণ করেন আসামি মার্জিয়া। তবে স্বীকারোক্তির ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত করে আসছিলেন। নিশ্চিত করার কারণেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির কথা আদালতকেও অবগত করা হয়েছিল। কিন্তু ধুর্ত মার্জিয়া আদালতে নাটকীয়তার আশ্রয় নেয়।

৩ নভেম্বর নিখোঁজ হয় ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে মুনতাহা আক্তার জেরিন। ১০ নভেম্বর মুনতাহার লাশ খাল থেকে তুলে পুকুুরে ফেলার চেষ্টাকালে অভিযুক্তরা ফেঁসে যান।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিককে অপহরণ ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি। কেন নেয়া হয়নি মামলা ডেমরা থানায়?

আদালতে প্রধান আসামির নাটকীয় আচরণ

আপডেট সময় ১০:১৯:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

সিলেটে শিশু মুনতাহা খুন ও লাশগুমের বহুল আলোচিত মামলার প্রধান অভিযুক্ত শামীমা বেগম মার্জিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। টানা ৫ দিনের রিমান্ডে করা আচরণ, বক্তব্য হঠাৎ পালটে ফেলেন আদালতে গিয়েই। এতে খোদ পুলিশও হতবাক।

অবশেষে মার্জিয়াসহ রিমান্ডের ৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয় আদালতের নির্দেশে। সিলেট জেলা জজ আদালতের ইন্সপেক্টর জমসেদ আহমদ বলেন, প্রয়োজন মনে করলে পুলিশ আবারও রিমান্ডের আবেদন করতে পারবে।

আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, মুনতাহা হত্যা মামলার চার আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে প্রধান আসামি মার্জিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা। রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তির ব্যাপারে নিশ্চিতও করেছিল। কিন্তু আদালতে গিয়েই মুখে কুলুপ এঁটে বসে মার্জিয়া। অস্বীকৃতি জানায় জবানবন্দি দিতে। পরে আদালতের নির্দেশে ৪ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, চার আসামি কানাইঘাট থানার বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার স্ত্রী আলিফজান, তাদের মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া এবং একই এলাকার ইসলাম উদ্দিন ও নাজমা বেগমকে পুলিশ ১১ নভেম্বর আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে পুলিশ আসামিদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

জিজ্ঞাসাবাদেও বারবার নাটকীয় আচরণ করেন আসামি মার্জিয়া। তবে স্বীকারোক্তির ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত করে আসছিলেন। নিশ্চিত করার কারণেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির কথা আদালতকেও অবগত করা হয়েছিল। কিন্তু ধুর্ত মার্জিয়া আদালতে নাটকীয়তার আশ্রয় নেয়।

৩ নভেম্বর নিখোঁজ হয় ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে মুনতাহা আক্তার জেরিন। ১০ নভেম্বর মুনতাহার লাশ খাল থেকে তুলে পুকুুরে ফেলার চেষ্টাকালে অভিযুক্তরা ফেঁসে যান।