ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার করলো দুই বন্ধু

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার খলাগাঁও গ্রামে সরিষা ভাঙানোর মিলে নিয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণের কথা আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন দুই বন্ধু আসামি জিহাদ (১৯) ও সিয়াম খালাসি (১৮)।

 

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করলে বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান বিকেল ৫টার দিকে তাদের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

বিষয়টি নিশ্চত করেন, মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন। আসামিরা হলেন, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার খলাগাঁও গ্রামের মনির ব্যাপারীর ছেলে জিহাদ ও উত্তর হাসাইল গ্রামের শাহজাহান খালাসীর ছেলে সিয়াম খালাসি।

 

জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের ৪ দিন পর সন্ধ্যার দিকে জিহাদ আর সিয়াম মিলে ভুক্তভোগী মাদরাসাছাত্রীকে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার খলাগাঁও এলাকার রাস্তার পাশের সরিষা ভাঙানোর মিলে নিয়ে প্রথমে সিয়াম ধর্ষণ করে। পরে সিয়ামের বন্ধু জিহাদ ধর্ষণ করলে সিয়াম মুঠো ফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে সিয়াম তার মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ডিভাইসের মাধ্যমে অন্য একটি মোবাইলে হস্তান্তর করলে তা ধর্ষিতার মায়ের নজরে আসে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা গত রোববার বাদী হয়ে টঙ্গীবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে হাসাইল এলাকা হতে জিহাদ ও সিয়াম খালাসিকে আটক করে পুলিশ।

টঙ্গীবাড়ী থানা পুলিশের এসআই আল মামুন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ ও সিয়াম খালাসি জানায় ভুক্তভোগী মাদরাসা শিক্ষার্থী টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পাঁচগাও ওয়াহিদ আলী দেওয়ান আলিয়া মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে বিগত প্রায় দুই মাস যাবৎ ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই আসামিকে আটক করা হয়েছে। তাদের মুঠোফোন জব্দ করে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র পাওয়া গেছে। তাদের মঙ্গলবার মামলা রুজু করে আদালতে পাঠানো হবে।

 

এ ব্যপারে মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেণির মাদরাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করার কথা জিহাদ ও সিয়াম খালাসি আদালতে স্বীকার করে দোষ স্বীকারমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার করলো দুই বন্ধু

আপডেট সময় ০৮:৫৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার খলাগাঁও গ্রামে সরিষা ভাঙানোর মিলে নিয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণের কথা আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন দুই বন্ধু আসামি জিহাদ (১৯) ও সিয়াম খালাসি (১৮)।

 

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করলে বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান বিকেল ৫টার দিকে তাদের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

বিষয়টি নিশ্চত করেন, মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন। আসামিরা হলেন, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার খলাগাঁও গ্রামের মনির ব্যাপারীর ছেলে জিহাদ ও উত্তর হাসাইল গ্রামের শাহজাহান খালাসীর ছেলে সিয়াম খালাসি।

 

জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের ৪ দিন পর সন্ধ্যার দিকে জিহাদ আর সিয়াম মিলে ভুক্তভোগী মাদরাসাছাত্রীকে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার খলাগাঁও এলাকার রাস্তার পাশের সরিষা ভাঙানোর মিলে নিয়ে প্রথমে সিয়াম ধর্ষণ করে। পরে সিয়ামের বন্ধু জিহাদ ধর্ষণ করলে সিয়াম মুঠো ফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে সিয়াম তার মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ডিভাইসের মাধ্যমে অন্য একটি মোবাইলে হস্তান্তর করলে তা ধর্ষিতার মায়ের নজরে আসে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা গত রোববার বাদী হয়ে টঙ্গীবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে হাসাইল এলাকা হতে জিহাদ ও সিয়াম খালাসিকে আটক করে পুলিশ।

টঙ্গীবাড়ী থানা পুলিশের এসআই আল মামুন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ ও সিয়াম খালাসি জানায় ভুক্তভোগী মাদরাসা শিক্ষার্থী টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পাঁচগাও ওয়াহিদ আলী দেওয়ান আলিয়া মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে বিগত প্রায় দুই মাস যাবৎ ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই আসামিকে আটক করা হয়েছে। তাদের মুঠোফোন জব্দ করে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র পাওয়া গেছে। তাদের মঙ্গলবার মামলা রুজু করে আদালতে পাঠানো হবে।

 

এ ব্যপারে মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেণির মাদরাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করার কথা জিহাদ ও সিয়াম খালাসি আদালতে স্বীকার করে দোষ স্বীকারমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।