ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনার মৃত্যুদণ্ড Logo ‘আপনাদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে’ সত্য হলো খালেদা জিয়ার সেই কান্নাজড়িত বক্তব্য Logo বিএনপির কঠিন সময়ে আমি নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম তাই দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে বললেন আজহারুল ইসলাম মান্নান Logo গোদনাইল মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপো এখন ডি এস মাহবুব এর দখলে Logo মহানগর বিএনপির উদ্যোগ আওয়ামী লীগের শাটডাউনের প্রতিবাদে সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত Logo সতর্ক অবস্থানে পুলিশ, জেলাজুড়ে টহল কার্যক্রম জোরদার Logo সিদ্ধিরগঞ্জে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২ মামলা, আসামি ৪০ Logo র‌্যাবের অভিযান টের পেয়ে সন্ত্রাসীর গুলিতে নারী গুলিবিদ্ধ Logo না’গঞ্জের সর্বশ্রেনীর মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত বিদায়ী জেলা প্রশাসক মানবিক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা Logo সেনেগালকে হারিয়ে ব্রাজিলের উল্লাস

বন্দরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের হামলায় কৃষক দলের সভাপতিসহ আহত ৩

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদের ফেস্টুনের ওপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের ফেস্টুন টানানোকে কেন্দ্র করে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি কামাল হোসেনের (৪৮) ওপর সন্ত্রাসী হামলা, মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় তিনি ১১ জনকে বিবাদী করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়, বন্দর থানার লাঙ্গলবন্দ প্রেমতলা এলাকায় প্রায় এক মাস আগে বিএনপি মনোনীত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদের একটি নির্বাচনী ফেস্টুন স্থাপন করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১৩ নভেম্বর রাতে ঐ ফেস্টুনের ওপর বিবাদীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের ব্যানার জোরপূর্বক সেঁটে দেন।

অভিযুক্তরা হলেন মাকসুদ হোসেন (৫৮), তাঁর ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ (৩৫), মাইনউদ্দিন (৩৮), বিল্লাল (৩২), পানাউল্লাহ (৩৬), মাসুদ (৩৪), নাদিম (২৮), বিল্লাল (৩৫), নুর আলম (৩৪), রুবেল (৩৪) ও রিয়াজুল (৩২)।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, গত ১৪ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে গণসংযোগকালে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে মাইনউদ্দিন ও বিল্লালের সঙ্গে কামাল হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়।

এরপর একই দিন রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরে গণসংযোগ শেষে বাড়ি ফেরার সময় বন্দর থানার বাজুরবাগ এলাকার রুমান মিয়ার ফার্মেসির সামনে পৌঁছালে মাকসুদ হোসেন ও তাঁর ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভর নির্দেশে বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র- রামদা, চাইনিজ কুড়াল, ছুরি, রড ও লাঠি নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।

হামলায় কৃষক দলের সভাপতি কামাল হোসেনসহ তাঁর সঙ্গে থাকা মহিউদ্দিন (৩৫) এবং শাকিল (৩২) গুরুতর জখম হন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে তাদের রক্তাক্ত জখম করে।

হামলার সময় কামাল হোসেনের ৩২ হাজার টাকা, মহিউদ্দিনের ৭ হাজার ৮২০ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন এবং শাকিলের ৪ হাজার ২৭০ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

স্থানীয় লোকজন চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় এবং পালানোর সময় প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অভিযোগকারী কামাল হোসেন বলেন, “ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। আমাদের হত্যা করার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়।”

এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত হোসেন জানান, “অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

বন্দরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের হামলায় কৃষক দলের সভাপতিসহ আহত ৩

আপডেট সময় ১০:৩৪:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদের ফেস্টুনের ওপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের ফেস্টুন টানানোকে কেন্দ্র করে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি কামাল হোসেনের (৪৮) ওপর সন্ত্রাসী হামলা, মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় তিনি ১১ জনকে বিবাদী করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়, বন্দর থানার লাঙ্গলবন্দ প্রেমতলা এলাকায় প্রায় এক মাস আগে বিএনপি মনোনীত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদের একটি নির্বাচনী ফেস্টুন স্থাপন করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১৩ নভেম্বর রাতে ঐ ফেস্টুনের ওপর বিবাদীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের ব্যানার জোরপূর্বক সেঁটে দেন।

অভিযুক্তরা হলেন মাকসুদ হোসেন (৫৮), তাঁর ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ (৩৫), মাইনউদ্দিন (৩৮), বিল্লাল (৩২), পানাউল্লাহ (৩৬), মাসুদ (৩৪), নাদিম (২৮), বিল্লাল (৩৫), নুর আলম (৩৪), রুবেল (৩৪) ও রিয়াজুল (৩২)।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, গত ১৪ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে গণসংযোগকালে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে মাইনউদ্দিন ও বিল্লালের সঙ্গে কামাল হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়।

এরপর একই দিন রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরে গণসংযোগ শেষে বাড়ি ফেরার সময় বন্দর থানার বাজুরবাগ এলাকার রুমান মিয়ার ফার্মেসির সামনে পৌঁছালে মাকসুদ হোসেন ও তাঁর ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভর নির্দেশে বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র- রামদা, চাইনিজ কুড়াল, ছুরি, রড ও লাঠি নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।

হামলায় কৃষক দলের সভাপতি কামাল হোসেনসহ তাঁর সঙ্গে থাকা মহিউদ্দিন (৩৫) এবং শাকিল (৩২) গুরুতর জখম হন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে তাদের রক্তাক্ত জখম করে।

হামলার সময় কামাল হোসেনের ৩২ হাজার টাকা, মহিউদ্দিনের ৭ হাজার ৮২০ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন এবং শাকিলের ৪ হাজার ২৭০ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

স্থানীয় লোকজন চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় এবং পালানোর সময় প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অভিযোগকারী কামাল হোসেন বলেন, “ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। আমাদের হত্যা করার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়।”

এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত হোসেন জানান, “অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”