ঢাকা , রবিবার, ০২ জুন ২০২৪, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo এজেন্সির গাফিলতিতে স্বপ্নভঙ্গ কয়েক হাজার কর্মীর Logo সরকার অসংখ্য আজিজ ও বেনজীর তৈরি করেছে: মির্জা ফখরুল Logo ‘বঙ্গবন্ধু আরও ৫ বছর সুযোগ পেলে বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার চেয়ে উন্নত হতো’ Logo হামাস ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি নয়: নেতানিয়াহু Logo রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সমন্বিত প্রচেষ্টা নিন: জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী Logo সিলেট নামছে পানি, বেড়েছে দুর্ভোগ Logo কপাল পোড়া ডর্টমুন্ডকে কাঁদিয়ে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল Logo বান্দরবা‌নে বেনজীরের একশ একর জমি, র‌য়ে‌ছে মা‌ছের প্রজেক্ট-গরুর খামার Logo বন্দরে বিয়ের প্রলোভনে যুবতীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩ Logo বন্দরে কুখ্যাত মাদক সম্রাট শুক্কুর ও তার ভাই গ্রেপ্তার

খুলনার নির্বাচনী মাঠ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দখলে

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার রাত ১২টায়। এখন এই সিটি করপোরেশনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে শুধু অপেক্ষা ভোগ গ্রহণের। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আর তাই নগরজুড়ে প্রায় ৫ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।

এদিকে, কড়া নিরাপত্তায় কেন্দ্রগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) অন্যান্য নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে।

রোববার (১১জুন) খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।

খুলনা সিটি করপোরেশনে ভোটার আছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রে সোমবার (১২ জুন) তারা নতুন সিটি মেয়রের পাশাপাশি নিজ নিজ ওয়ার্ডের জন্য কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোটগ্রহণ সহজ করতে ২৮৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি বুথ স্থাপন করা হচ্ছে। ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২৮৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৩ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে সার্বিক নিরাত্তার জন্য বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার, সদস্যদের বহনকারী যানবাহন মহানগরীর সড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে, তারা বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। এছাড়া বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁঞা বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পুলিশ বাহিনীর ৪ হাজার ৮২০ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে নিয়মিত পুলিশ ৪ হাজার ৫২০ জন, আর ৩০০ জন আর্মস পুলিশ ব্যাটেলিয়ন সদস্য। সেই সঙ্গে ৩ হাজার ৪৬৮ জন আনসার সদস্যও মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ১৬ প্লাটুন বিজিবি, ২ কোম্পানি র‌্যাব নির্বাচনের কাজে সহযোগিতা করবে। পাশপাশি ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি আরও জানান, প্রতি কেন্দ্রে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ১৭ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। ৭১টি মোবাইল টিম কাজ করবে। প্রতি ৩ কেন্দ্রের জন্য একটি করে মোট ২০টি মোটরসাইকেল টিম থাকবে। তার মধ্যে ২টি মোটরসাইকেলে ৪ জন করে বিভিন্ন এলাকায় ক্রস পেট্রোল ডিউটি করবে। আর স্ট্যান্ডবাই পার্টি থাকবে ২০টি। রিজার্ভ ফোর্স থাকবে ৫টি দলে বিভক্ত হয়ে। প্রতি টিমে থাকবে ৫৫ জন করে। এর মধ্যে ৩৫ জন পুলিশ ও ২০ জন ব্যাটালিয়ন সদস্য।

 

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল)।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনে ৩১টি ওয়ার্ড রয়েছে। এছাড়াও সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে ১০টি। ১৩ ও ২৪ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুই জন কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ২৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে শুধু কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৫ জন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।

এজেন্সির গাফিলতিতে স্বপ্নভঙ্গ কয়েক হাজার কর্মীর

খুলনার নির্বাচনী মাঠ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দখলে

আপডেট সময় ০৪:৫৪:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার রাত ১২টায়। এখন এই সিটি করপোরেশনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে শুধু অপেক্ষা ভোগ গ্রহণের। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আর তাই নগরজুড়ে প্রায় ৫ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।

এদিকে, কড়া নিরাপত্তায় কেন্দ্রগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) অন্যান্য নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে।

রোববার (১১জুন) খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।

খুলনা সিটি করপোরেশনে ভোটার আছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রে সোমবার (১২ জুন) তারা নতুন সিটি মেয়রের পাশাপাশি নিজ নিজ ওয়ার্ডের জন্য কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোটগ্রহণ সহজ করতে ২৮৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি বুথ স্থাপন করা হচ্ছে। ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২৮৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৩ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে সার্বিক নিরাত্তার জন্য বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার, সদস্যদের বহনকারী যানবাহন মহানগরীর সড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে, তারা বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। এছাড়া বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁঞা বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পুলিশ বাহিনীর ৪ হাজার ৮২০ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে নিয়মিত পুলিশ ৪ হাজার ৫২০ জন, আর ৩০০ জন আর্মস পুলিশ ব্যাটেলিয়ন সদস্য। সেই সঙ্গে ৩ হাজার ৪৬৮ জন আনসার সদস্যও মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ১৬ প্লাটুন বিজিবি, ২ কোম্পানি র‌্যাব নির্বাচনের কাজে সহযোগিতা করবে। পাশপাশি ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি আরও জানান, প্রতি কেন্দ্রে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ১৭ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। ৭১টি মোবাইল টিম কাজ করবে। প্রতি ৩ কেন্দ্রের জন্য একটি করে মোট ২০টি মোটরসাইকেল টিম থাকবে। তার মধ্যে ২টি মোটরসাইকেলে ৪ জন করে বিভিন্ন এলাকায় ক্রস পেট্রোল ডিউটি করবে। আর স্ট্যান্ডবাই পার্টি থাকবে ২০টি। রিজার্ভ ফোর্স থাকবে ৫টি দলে বিভক্ত হয়ে। প্রতি টিমে থাকবে ৫৫ জন করে। এর মধ্যে ৩৫ জন পুলিশ ও ২০ জন ব্যাটালিয়ন সদস্য।

 

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল)।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনে ৩১টি ওয়ার্ড রয়েছে। এছাড়াও সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে ১০টি। ১৩ ও ২৪ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুই জন কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ২৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে শুধু কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৫ জন।