ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সীমান্ত সড়কের কাজ সম্পন্ন হলে ৩ পার্বত্য জেলায় জঙ্গিবাদ থাকবে না’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, তিন পার্বত্য জেলা অত্যন্ত দুর্গম এলাকায়। তিন এলাকার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোও অত্যন্ত দুর্গম। সীমান্ত ঘেঁষে যে বর্ডার রোড তৈরি হচ্ছে সেটি সম্পন্ন হলে তিন পার্বত্য এলাকায় জঙ্গি তৎপরতা দেখা যাচ্ছে সেগুলো আর থাকবে না বন্ধ হবে। আমরা বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছি। চেষ্টা করছি সীমান্তে বিওপি ও বিজিবির সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর।

রোববার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের একমাত্র প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের ৯৯তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে ৯৯তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করে অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে অভিবাদন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান, বিজিটিসিএন্ডসির কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মসিউর রহমান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে নামই হোক, জঙ্গিগোষ্ঠীর একটিই পরিচয় তারা জঙ্গি। তারা অস্ত্রধারী, তারা সন্ত্রাসী। অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে সরকার সবসময় কঠোর রয়েছে। তাদের দমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। সাতকানিয়ার ছদাহায় পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের দ্বারা স্থানীয়দের অপহরণ করে মুক্তিপণের বিষয়টি গোচরে ছিলনা। এখনই শুনলাম, এখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।

তিনি বলেন, বিজিবি এখন জল, স্থল ও আকাশপথে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সক্ষম। স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট এর অংশ হিসেবে অত্যাধুনিক সার্ভেইলেন্স ইকুইপমেন্ট স্থাপন, অত্যাধুনিক যুগোপযোগী ও কার্যকর অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন্স, এটিভি, এপিসি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল এবং এয়ার বোটসহ দ্রুতগামী জলযান সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়াও বিজিবির প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ডের কলেবর বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ (বিজিটিসিঅ্যান্ডসি) এর পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গায় আরও একটি আধুনিক প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্বলিত ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই বাহিনী তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দিকনির্দেশনায় আজ একটি সুসংগঠিত, চৌকস, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বিজিবি ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে বাংলাদেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষা, সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি সীমান্তে চোরাচালান ও মাদক পাচাররোধ, নারী ও শিশু পাচারসহ যেকোনো আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে সবার আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বিজিবির চারটি মূলনীতি- ‘মনোবল, ভ্রাতৃত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও দক্ষতা’-এ উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়ে বিজিবির ওপর অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব সুশৃঙ্খলভাবে পালন করে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার সুমহান দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বিডিআর এর ৩য় ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত চোরাচালান বিরোধী ও প্রেষণামূলক বক্তব্যের কথা স্মরণ করে চোরাচালান রোধে নবীন সৈনিকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনসহ ব্যক্তিগতভাবে সুদৃঢ়, সুশৃঙ্খল, নির্ভীক ও নির্লোভ চরিত্রের অধিকারী হয়ে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সবর্দা সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান। তিনি বিজিবির নবীন সৈনিকদের প্রদর্শিত তেজোদীপ্ত কুচকাওয়াজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন এবং নবীন সৈনিকদের নতুন জীবনে পদার্পণের শুভলগ্নে তাদের স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান শারীরিক উৎকর্ষে সেরা (মহিলা) লাখি আক্তার, শারীরিক উৎকর্ষে সেরা (পুরুষ) ফাহিম আবরার, ফায়ারিংয়ে শ্রেষ্ঠ আকিব জাভেদ এবং সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠ সৈনিক সুহেল মিয়ার হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এবার ৫৩৯ জন রিক্রুট সৈনিক হিসেবে শপথ নিয়েছে। এর মধ্যে ৫০২ জন পুরুষ, ২৪ জন নারী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর উশৈসিং এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফিজ মিয়া, চট্টগ্রাম ১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সুদীপ্ত সরকার, সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারী জজ ইব্রাহিম খলিল, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দীকি, সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত, সাতকানিয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি সৈয়দ মাহফুজ-উন নবী খোকন প্রমুখ। এছাড়া সরকারি, আধা-সরকারি, সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

‘সীমান্ত সড়কের কাজ সম্পন্ন হলে ৩ পার্বত্য জেলায় জঙ্গিবাদ থাকবে না’

আপডেট সময় ০৪:৫২:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, তিন পার্বত্য জেলা অত্যন্ত দুর্গম এলাকায়। তিন এলাকার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোও অত্যন্ত দুর্গম। সীমান্ত ঘেঁষে যে বর্ডার রোড তৈরি হচ্ছে সেটি সম্পন্ন হলে তিন পার্বত্য এলাকায় জঙ্গি তৎপরতা দেখা যাচ্ছে সেগুলো আর থাকবে না বন্ধ হবে। আমরা বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছি। চেষ্টা করছি সীমান্তে বিওপি ও বিজিবির সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর।

রোববার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের একমাত্র প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের ৯৯তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে ৯৯তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করে অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে অভিবাদন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান, বিজিটিসিএন্ডসির কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মসিউর রহমান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে নামই হোক, জঙ্গিগোষ্ঠীর একটিই পরিচয় তারা জঙ্গি। তারা অস্ত্রধারী, তারা সন্ত্রাসী। অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে সরকার সবসময় কঠোর রয়েছে। তাদের দমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। সাতকানিয়ার ছদাহায় পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের দ্বারা স্থানীয়দের অপহরণ করে মুক্তিপণের বিষয়টি গোচরে ছিলনা। এখনই শুনলাম, এখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।

তিনি বলেন, বিজিবি এখন জল, স্থল ও আকাশপথে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সক্ষম। স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট এর অংশ হিসেবে অত্যাধুনিক সার্ভেইলেন্স ইকুইপমেন্ট স্থাপন, অত্যাধুনিক যুগোপযোগী ও কার্যকর অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন্স, এটিভি, এপিসি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল এবং এয়ার বোটসহ দ্রুতগামী জলযান সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়াও বিজিবির প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ডের কলেবর বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ (বিজিটিসিঅ্যান্ডসি) এর পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গায় আরও একটি আধুনিক প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্বলিত ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই বাহিনী তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দিকনির্দেশনায় আজ একটি সুসংগঠিত, চৌকস, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বিজিবি ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে বাংলাদেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষা, সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি সীমান্তে চোরাচালান ও মাদক পাচাররোধ, নারী ও শিশু পাচারসহ যেকোনো আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে সবার আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বিজিবির চারটি মূলনীতি- ‘মনোবল, ভ্রাতৃত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও দক্ষতা’-এ উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়ে বিজিবির ওপর অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব সুশৃঙ্খলভাবে পালন করে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার সুমহান দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বিডিআর এর ৩য় ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত চোরাচালান বিরোধী ও প্রেষণামূলক বক্তব্যের কথা স্মরণ করে চোরাচালান রোধে নবীন সৈনিকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনসহ ব্যক্তিগতভাবে সুদৃঢ়, সুশৃঙ্খল, নির্ভীক ও নির্লোভ চরিত্রের অধিকারী হয়ে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সবর্দা সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান। তিনি বিজিবির নবীন সৈনিকদের প্রদর্শিত তেজোদীপ্ত কুচকাওয়াজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন এবং নবীন সৈনিকদের নতুন জীবনে পদার্পণের শুভলগ্নে তাদের স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান শারীরিক উৎকর্ষে সেরা (মহিলা) লাখি আক্তার, শারীরিক উৎকর্ষে সেরা (পুরুষ) ফাহিম আবরার, ফায়ারিংয়ে শ্রেষ্ঠ আকিব জাভেদ এবং সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠ সৈনিক সুহেল মিয়ার হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এবার ৫৩৯ জন রিক্রুট সৈনিক হিসেবে শপথ নিয়েছে। এর মধ্যে ৫০২ জন পুরুষ, ২৪ জন নারী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর উশৈসিং এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফিজ মিয়া, চট্টগ্রাম ১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সুদীপ্ত সরকার, সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারী জজ ইব্রাহিম খলিল, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দীকি, সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত, সাতকানিয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি সৈয়দ মাহফুজ-উন নবী খোকন প্রমুখ। এছাড়া সরকারি, আধা-সরকারি, সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।