ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগের চেষ্টা করব

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো দলের দিকে না তাকিয়ে ওই সময়ের সরকার নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করবেন বলে মন্তব্য করেছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো দলের দিকে তাকানো আমাদের দায়িত্ব নয়। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, আমরা এ চেষ্টাই করব। কমিশন পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করার চেষ্টা করবে। মঙ্গলবার ‘নির্বাচন ভবনে’ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে বৈঠক শেষ তিনি সাংবাদিকদের সামনে এসব মন্তব্য করেন।

এ সময় তার পাশে থাকা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী জানান, টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তার দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। কোন দল নির্বাচনে এলো না এলো, সেদিকে না তাকিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে আহ্বান জানান তিনি।

বাসাইল পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে। ওই বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও কাদের সিদ্দিকী পাশাপাশি দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

সিইসি কাদের সিদ্দিকীকে ইঙ্গিত করে বলেন, আপনারা (রাজনৈতিক দল) জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর করে তুলুন। রাজনৈতিক সরকার ও আমলাতান্ত্রিক সরকার নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রয়োজনে আইন প্রয়োগের চেষ্টা করব। রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক সরকারের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমলাতান্ত্রিক সরকার বলতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব থেকে সহকারী সচিব পর্যন্ত এবং রাজনৈতিক সরকার বলতে উপমন্ত্রী থেকে উপর পর্যন্ত-দুটি মিলেই কিন্তু পরিপূর্ণ সরকার।

বৈঠকের আলোচনার বিষয় তুলে ধরে সিইসি বলেন, আশ্বাস দিয়েছি, সাধ্য অনুযায়ী আমরা দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব। আবার এটাও বলেছি, নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্বাচন আয়োজনের একটা বড় দায়িত্ব আছে। একই সঙ্গে আপনারাও যারা রাজনীতিতে আছেন, তাদেরও দায়িত্ব আছে সার্বিকভাবে নির্বাচনের জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়া। খুব প্রতিকূল পরিবেশ যদি বিরাজ করে তাহলে আমাদের জন্য কাজ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়তে পারে।

নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উনি (কাদের সিদ্দিকী) বলেছেন যে নির্বাচনের সময় সরকার হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আমরা এটা বুঝি। কিন্তু তারপরও গ্রাউন্ড রিয়েলিটিটাকে মাথায় রেখে আমরা বলেছি, সেই ক্ষেত্রেও আমরা চেষ্টা করব যতদূর সম্ভব দক্ষতা, সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের। তিনি বলেছেন, যদি আসন্ন বাসাইল পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু হয়, তাহলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওনারা অংশগ্রহণ করবেন। আমরা বারবার বলেছি, একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। উনি (কাদের সিদ্দিকী) বলেছেন, নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক না হয়, আমাদের (ইসির) করার কিছু থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে আমাদের সবাইকে সহায়তা করতে হবে, সরকারের সদিচ্ছার কথা বলেছি। বঙ্গবীর আমাদের বলেছেন যে আমরা কিছুটা দুর্বল কি না? আমরা বলেছি, না। সরকারের সদিচ্ছা অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, রাজনৈতিক সরকারের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে কিন্তু অনেকটা। দীর্ঘদিনের যে আমলাতান্ত্রিক সরকার অর্থাৎ ডিসি, এসপি, বিডিআর…।

আমরা বারবার একটা অভিযোগ শুনেছি যে পুলিশের নেতিবাচক একটা ভূমিকা থাকে। এটা পুলিশের জন্য নয়, স্থানীয়ভাবেই হয়তো পুলিশকে পক্ষাশ্রীত করার চেষ্টা হয়ে থাকে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে। পুলিশের হাতে অস্ত্র থাকে, শক্তি থাকে, ইউনিফর্ম থাকে, সেই দিকটাও আমরা দেখব।

দীর্ঘদিনের সাজানো প্রশাসনিক ব্যবস্থা কি ভাঙা যাবে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা যে নির্বাচনগুলো করেছি, সেগুলো মোটামুটি তুলনামূলকভাবে সুশৃঙ্খলভাবে হয়েছে। আমি বলব না যে অ্যাবসুলিটলি হয়েছে। সেক্ষেত্রে কিন্তু আমরা সরকার, পুলিশ এবং প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি। কখনো অসহযোগিতা পাইনি। আশা করি, জাতীয় নির্বাচনেও তারা এই ভূমিকা পালন করে যাবেন।

প্রশাসন নিরপেক্ষ রাখতে ইসি কী পদক্ষেপ নেবে-এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সেটা আমরা নিজেরা (নির্বাচন কমিশন) চিন্তা করব। আপনাদের কাছে বলতে চাচ্ছি না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের সদিচ্ছ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, এ কথা আমরা বলিনি। সরকারের সদিচ্ছা ও সহযোগিতা যদি না থাকে এবং তার যে অঙ্গসংগঠনগুলো যেমন: পুলিশ, প্রশাসন সহায়তা না করে; তাহলে আমাদের যে সক্ষমতা আছে, তা সীমিত হয়ে পড়বে।

বিশেষ করে পুলিশ, আর্মি, বিডিআর, ওরা যদি আমাদের নিরপেক্ষভাবে সহায়তা করে, কোনোরকম যদি অন্য কোনো পক্ষ থেকে প্রভাবিত না হয়; তাহলে আমার শক্তিটা অনেক বেড়ে যাবে। সেখানে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

এদিকে বৈঠকের বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ইসির অনেক কথার সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করেছি। নির্বাচন হওয়া উচিত অবাধ ও নিরপেক্ষ। কোন দল অংশগ্রহণ করল, কটি দল অংশগ্রহণ করল, এটার চেয়ে ভোটার ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারল কি না, সেটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। এই কথায় ইসি যে প্রতিশ্রুতি আমাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে দিয়েছেন, আমি আশা করি সেই কথার মাধ্যমে ক্ষয়িষ্ণু নির্বাচনি পদ্ধতি আবার প্রাণ ফিরে পাবে।

দলীয় সরকারের অধীনে ভোটের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় দলীয় সরকার বলে কিছু থাকবে না। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন হলো সরকার। সরকার তখন ইসির আজ্ঞাবহ; বর্তমান প্রেক্ষাপটে যা অতটা দেখা যায় না। আমরা প্রত্যাশা করব, ধীরে ধীরে পূর্বদিক থেকে সূর্য উদিত হবে, পশ্চিমে অস্ত যাওয়ার আগেই আমরা এই পরিবর্তন লক্ষ করতে পারব। নির্বাচনের সময় কোনো দলীয় সরকার থাকে না। নির্বাচনি সরকার থাকে, তার কোনো কাজ নেই।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, নির্বাচনে আগ্রহ সৃষ্টি করতে রাজনৈতিক দলগুলোকেও ভূমিকা রাখতে হবে। বিএনপি এখানে বড় কথা নয়। বিএনপি, আওয়ামী লীগ বা অন্যান্য দল-কোনোটাই বড় কথায় নয়। যদি মানুষের মধ্যে নির্বাচনি মনোভাব সৃষ্টি করা যায়, তাহলে কোনো রাজনৈতিক দলই বড় কথা নয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সরকার নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগের চেষ্টা করব

আপডেট সময় ০৪:১৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো দলের দিকে না তাকিয়ে ওই সময়ের সরকার নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করবেন বলে মন্তব্য করেছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো দলের দিকে তাকানো আমাদের দায়িত্ব নয়। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, আমরা এ চেষ্টাই করব। কমিশন পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করার চেষ্টা করবে। মঙ্গলবার ‘নির্বাচন ভবনে’ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে বৈঠক শেষ তিনি সাংবাদিকদের সামনে এসব মন্তব্য করেন।

এ সময় তার পাশে থাকা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী জানান, টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তার দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। কোন দল নির্বাচনে এলো না এলো, সেদিকে না তাকিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে আহ্বান জানান তিনি।

বাসাইল পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে। ওই বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও কাদের সিদ্দিকী পাশাপাশি দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

সিইসি কাদের সিদ্দিকীকে ইঙ্গিত করে বলেন, আপনারা (রাজনৈতিক দল) জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর করে তুলুন। রাজনৈতিক সরকার ও আমলাতান্ত্রিক সরকার নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রয়োজনে আইন প্রয়োগের চেষ্টা করব। রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক সরকারের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমলাতান্ত্রিক সরকার বলতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব থেকে সহকারী সচিব পর্যন্ত এবং রাজনৈতিক সরকার বলতে উপমন্ত্রী থেকে উপর পর্যন্ত-দুটি মিলেই কিন্তু পরিপূর্ণ সরকার।

বৈঠকের আলোচনার বিষয় তুলে ধরে সিইসি বলেন, আশ্বাস দিয়েছি, সাধ্য অনুযায়ী আমরা দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব। আবার এটাও বলেছি, নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্বাচন আয়োজনের একটা বড় দায়িত্ব আছে। একই সঙ্গে আপনারাও যারা রাজনীতিতে আছেন, তাদেরও দায়িত্ব আছে সার্বিকভাবে নির্বাচনের জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়া। খুব প্রতিকূল পরিবেশ যদি বিরাজ করে তাহলে আমাদের জন্য কাজ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়তে পারে।

নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উনি (কাদের সিদ্দিকী) বলেছেন যে নির্বাচনের সময় সরকার হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আমরা এটা বুঝি। কিন্তু তারপরও গ্রাউন্ড রিয়েলিটিটাকে মাথায় রেখে আমরা বলেছি, সেই ক্ষেত্রেও আমরা চেষ্টা করব যতদূর সম্ভব দক্ষতা, সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের। তিনি বলেছেন, যদি আসন্ন বাসাইল পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু হয়, তাহলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওনারা অংশগ্রহণ করবেন। আমরা বারবার বলেছি, একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। উনি (কাদের সিদ্দিকী) বলেছেন, নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক না হয়, আমাদের (ইসির) করার কিছু থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে আমাদের সবাইকে সহায়তা করতে হবে, সরকারের সদিচ্ছার কথা বলেছি। বঙ্গবীর আমাদের বলেছেন যে আমরা কিছুটা দুর্বল কি না? আমরা বলেছি, না। সরকারের সদিচ্ছা অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, রাজনৈতিক সরকারের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে কিন্তু অনেকটা। দীর্ঘদিনের যে আমলাতান্ত্রিক সরকার অর্থাৎ ডিসি, এসপি, বিডিআর…।

আমরা বারবার একটা অভিযোগ শুনেছি যে পুলিশের নেতিবাচক একটা ভূমিকা থাকে। এটা পুলিশের জন্য নয়, স্থানীয়ভাবেই হয়তো পুলিশকে পক্ষাশ্রীত করার চেষ্টা হয়ে থাকে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে। পুলিশের হাতে অস্ত্র থাকে, শক্তি থাকে, ইউনিফর্ম থাকে, সেই দিকটাও আমরা দেখব।

দীর্ঘদিনের সাজানো প্রশাসনিক ব্যবস্থা কি ভাঙা যাবে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা যে নির্বাচনগুলো করেছি, সেগুলো মোটামুটি তুলনামূলকভাবে সুশৃঙ্খলভাবে হয়েছে। আমি বলব না যে অ্যাবসুলিটলি হয়েছে। সেক্ষেত্রে কিন্তু আমরা সরকার, পুলিশ এবং প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি। কখনো অসহযোগিতা পাইনি। আশা করি, জাতীয় নির্বাচনেও তারা এই ভূমিকা পালন করে যাবেন।

প্রশাসন নিরপেক্ষ রাখতে ইসি কী পদক্ষেপ নেবে-এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সেটা আমরা নিজেরা (নির্বাচন কমিশন) চিন্তা করব। আপনাদের কাছে বলতে চাচ্ছি না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের সদিচ্ছ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, এ কথা আমরা বলিনি। সরকারের সদিচ্ছা ও সহযোগিতা যদি না থাকে এবং তার যে অঙ্গসংগঠনগুলো যেমন: পুলিশ, প্রশাসন সহায়তা না করে; তাহলে আমাদের যে সক্ষমতা আছে, তা সীমিত হয়ে পড়বে।

বিশেষ করে পুলিশ, আর্মি, বিডিআর, ওরা যদি আমাদের নিরপেক্ষভাবে সহায়তা করে, কোনোরকম যদি অন্য কোনো পক্ষ থেকে প্রভাবিত না হয়; তাহলে আমার শক্তিটা অনেক বেড়ে যাবে। সেখানে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

এদিকে বৈঠকের বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ইসির অনেক কথার সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করেছি। নির্বাচন হওয়া উচিত অবাধ ও নিরপেক্ষ। কোন দল অংশগ্রহণ করল, কটি দল অংশগ্রহণ করল, এটার চেয়ে ভোটার ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারল কি না, সেটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। এই কথায় ইসি যে প্রতিশ্রুতি আমাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে দিয়েছেন, আমি আশা করি সেই কথার মাধ্যমে ক্ষয়িষ্ণু নির্বাচনি পদ্ধতি আবার প্রাণ ফিরে পাবে।

দলীয় সরকারের অধীনে ভোটের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় দলীয় সরকার বলে কিছু থাকবে না। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন হলো সরকার। সরকার তখন ইসির আজ্ঞাবহ; বর্তমান প্রেক্ষাপটে যা অতটা দেখা যায় না। আমরা প্রত্যাশা করব, ধীরে ধীরে পূর্বদিক থেকে সূর্য উদিত হবে, পশ্চিমে অস্ত যাওয়ার আগেই আমরা এই পরিবর্তন লক্ষ করতে পারব। নির্বাচনের সময় কোনো দলীয় সরকার থাকে না। নির্বাচনি সরকার থাকে, তার কোনো কাজ নেই।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, নির্বাচনে আগ্রহ সৃষ্টি করতে রাজনৈতিক দলগুলোকেও ভূমিকা রাখতে হবে। বিএনপি এখানে বড় কথা নয়। বিএনপি, আওয়ামী লীগ বা অন্যান্য দল-কোনোটাই বড় কথায় নয়। যদি মানুষের মধ্যে নির্বাচনি মনোভাব সৃষ্টি করা যায়, তাহলে কোনো রাজনৈতিক দলই বড় কথা নয়।