ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সাক্ষ্য

জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন এ মতিন অ্যান্ড কোং-এর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট‍্যান্ট এ.কে আব্দুল মতিন।

মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বুধবার (৩১ মে) দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

এদিন সাক্ষ্য গ্রহণের সময় এজলাসে আইনজীবীদের মাঝে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছে। দুপুর ২টার পর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আওয়ামী ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোল শুরু হয়। এসময় বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যান। হট্টগোলের এক পর্যায়ে থেমে থেমে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ধাওয়া দিয়ে এজলাস থেকে বের করে দেন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। এসময় কয়েকজন আইনজীবী আহত হন। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিচারক এজলাসে উঠে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আইনজীবী জানান, সাক্ষ্যগ্রহণের সময় এজলাসের ভিতরে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। এসময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের কয়েকজন বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এরপর আদালতের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে আদালতের বাইরে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আদালতে এ অচলাবস্থা চলমান রয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলায় ইকবাল মান্দ বানুকে মামলা হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বর্তমানে তারা পলাতক। গত ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সাক্ষ্য

আপডেট সময় ০৪:০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন এ মতিন অ্যান্ড কোং-এর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট‍্যান্ট এ.কে আব্দুল মতিন।

মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বুধবার (৩১ মে) দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

এদিন সাক্ষ্য গ্রহণের সময় এজলাসে আইনজীবীদের মাঝে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছে। দুপুর ২টার পর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আওয়ামী ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোল শুরু হয়। এসময় বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যান। হট্টগোলের এক পর্যায়ে থেমে থেমে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ধাওয়া দিয়ে এজলাস থেকে বের করে দেন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। এসময় কয়েকজন আইনজীবী আহত হন। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিচারক এজলাসে উঠে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আইনজীবী জানান, সাক্ষ্যগ্রহণের সময় এজলাসের ভিতরে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। এসময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের কয়েকজন বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এরপর আদালতের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে আদালতের বাইরে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আদালতে এ অচলাবস্থা চলমান রয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলায় ইকবাল মান্দ বানুকে মামলা হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বর্তমানে তারা পলাতক। গত ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।