ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় মায়ের নামে কেনা সম্পত্তি ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় মা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে কেনা সম্পত্তি পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যক্তিগত সফরে শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকালে গোপালগঞ্জ থেকে সড়কপথে খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়ে তিনি বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে দিঘলিয়ায় পৌঁছান। এ সময় তার বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নগরঘাট ফেরি পার হয়ে বিকাল ৪টায় তার মায়ের নামে কেনা জমি ও পাট গুদামে যান। সেখানে প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান করেন। পরিদর্শন শেষে দিঘলিয়া থেকে খুলনা মহানগরীর শেরেবাংলা সড়কে অবস্থিত প্রয়াত চাচা শেখ আবু নাসেরের বাড়িতে যান শেখ হাসিনা। তার চাচাতো ভাই বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, খুলনার মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু খুলনায় এসে এই বাড়িতে অবস্থান করতেন। প্রধানমন্ত্রী এই বাড়িতে আজ মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে সড়ক পথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে খুলনা ত্যাগ করেন।’

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে দুপুর থেকেই খুলনা শহর বাইপাস ও দৌলতপুর, ফুলবাড়িগেটে সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর খুলনায় প্রবেশ করলে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সড়কে তৈরি করা হয় অসংখ্য তোরণ।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে খুলনায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রূপসা সেতু থেকে শুরু করে খুলনা শহর বাইপাস, দিঘলিয়া ও শেখপাড়ার চাচার বাড়ি এলাকায় মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে চার হাজার সদস্য। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ভৈরব ও রূপসা নদী নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

জানা গেছে, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেঁষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাটগুদাম ও এককক্ষবিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের ওই জমি দেখাশোনা করতেন। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী মালিক হলেও জমিটির কথা জানতেন না তিনি। ২০০৭ সালে তিনি ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে ওই জমির খোঁজ পান।

বঙ্গবন্ধুর পুরোনো সেই পাটগুদাম ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে বানানো হয়েছে রেস্ট হাউজ। গুদামসংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে শেখ রাসেলের নামে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় মায়ের নামে কেনা সম্পত্তি ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৩:৪৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় মা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে কেনা সম্পত্তি পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যক্তিগত সফরে শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকালে গোপালগঞ্জ থেকে সড়কপথে খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়ে তিনি বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে দিঘলিয়ায় পৌঁছান। এ সময় তার বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নগরঘাট ফেরি পার হয়ে বিকাল ৪টায় তার মায়ের নামে কেনা জমি ও পাট গুদামে যান। সেখানে প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান করেন। পরিদর্শন শেষে দিঘলিয়া থেকে খুলনা মহানগরীর শেরেবাংলা সড়কে অবস্থিত প্রয়াত চাচা শেখ আবু নাসেরের বাড়িতে যান শেখ হাসিনা। তার চাচাতো ভাই বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, খুলনার মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু খুলনায় এসে এই বাড়িতে অবস্থান করতেন। প্রধানমন্ত্রী এই বাড়িতে আজ মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে সড়ক পথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে খুলনা ত্যাগ করেন।’

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে দুপুর থেকেই খুলনা শহর বাইপাস ও দৌলতপুর, ফুলবাড়িগেটে সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর খুলনায় প্রবেশ করলে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সড়কে তৈরি করা হয় অসংখ্য তোরণ।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে খুলনায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রূপসা সেতু থেকে শুরু করে খুলনা শহর বাইপাস, দিঘলিয়া ও শেখপাড়ার চাচার বাড়ি এলাকায় মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে চার হাজার সদস্য। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ভৈরব ও রূপসা নদী নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

জানা গেছে, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেঁষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাটগুদাম ও এককক্ষবিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের ওই জমি দেখাশোনা করতেন। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী মালিক হলেও জমিটির কথা জানতেন না তিনি। ২০০৭ সালে তিনি ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে ওই জমির খোঁজ পান।

বঙ্গবন্ধুর পুরোনো সেই পাটগুদাম ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে বানানো হয়েছে রেস্ট হাউজ। গুদামসংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে শেখ রাসেলের নামে।