ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo এবার কি অন্যের ঘরভাঙার কারণ হচ্ছেন সামান্থা? Logo সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও বাড়ল Logo তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব : গিয়াসউদ্দিন Logo ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ডেঙ্গুর কিট দিল নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন Logo সিদ্ধিরগঞ্জে একাধিক হত্যা মামলার আসামি যুবলীগ নেতা এল এক্স খোকন গ্রেপ্তার Logo সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, চালক ও হেলপার আটক Logo ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে জানান কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমা Logo সোনারগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠন Logo সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন Logo মাকসুদ চেয়ারম্যানকে বন্দরের মাটিতে নির্বাচন করতে দিবো না : সাখাওয়াত

৩০০ শয্যা হাসপাতালে ডেঙ্গুর কিট দিল নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন

নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, বাড়ছে আতংক। আর এই ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় শুরু থেকেই নানা উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শহরের খানপুর এলাকায় ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ডেঙ্গুর কিট সরবরাহ করা হয়েছে।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২০০০ টি কিট হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবুল বাসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো তামশিদ ইরাম খান এবং জেলা প্রশাসন ও হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

কিট হস্তান্তর শেষে হাসপাতালটির ডেঙ্গু ওয়ার্ড পরিদর্শন করে রোগিদের চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ সার্বিক পরস্থিতির বিষয়ে খোঁজ খবর নেন জেলা প্রশাসক।

নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবুল বাসার বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলা ও রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত কিট, ওষুধ ও স্যালাইন মজুতসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। একই সাথে তাৎক্ষণিকভাবে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে। আমরা সব দিক থেকে তৎপর রয়েছি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছি।

আমরা আশা করি যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো। ডেঙ্গু পরীক্ষা করার জন্য যে পরিমাণ কিট প্রয়োজন, তা হাসপাতালের কাছে ছিল না। তাই দ্রুত প্রয়োজনীয় কিট সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, সরকারি হাসপাতালে যারা স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসে, তারা সাধারণত অসহায় অবস্থায় আসে। এ সময় তাদের পাশে থাকা অত্যন্ত জরুরি। ডেঙ্গু একটি ভয়াবহ রোগ, যা রক্তের প্লাটিলেট কমিয়ে দিতে পারে।

তাই শুরুতেই রোগটি শনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ, নইলে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে আশার কথা, এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার কি অন্যের ঘরভাঙার কারণ হচ্ছেন সামান্থা?

৩০০ শয্যা হাসপাতালে ডেঙ্গুর কিট দিল নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন

আপডেট সময় ০২:৪৭:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, বাড়ছে আতংক। আর এই ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় শুরু থেকেই নানা উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শহরের খানপুর এলাকায় ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ডেঙ্গুর কিট সরবরাহ করা হয়েছে।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২০০০ টি কিট হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবুল বাসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো তামশিদ ইরাম খান এবং জেলা প্রশাসন ও হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

কিট হস্তান্তর শেষে হাসপাতালটির ডেঙ্গু ওয়ার্ড পরিদর্শন করে রোগিদের চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ সার্বিক পরস্থিতির বিষয়ে খোঁজ খবর নেন জেলা প্রশাসক।

নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবুল বাসার বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলা ও রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত কিট, ওষুধ ও স্যালাইন মজুতসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। একই সাথে তাৎক্ষণিকভাবে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে। আমরা সব দিক থেকে তৎপর রয়েছি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছি।

আমরা আশা করি যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো। ডেঙ্গু পরীক্ষা করার জন্য যে পরিমাণ কিট প্রয়োজন, তা হাসপাতালের কাছে ছিল না। তাই দ্রুত প্রয়োজনীয় কিট সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, সরকারি হাসপাতালে যারা স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসে, তারা সাধারণত অসহায় অবস্থায় আসে। এ সময় তাদের পাশে থাকা অত্যন্ত জরুরি। ডেঙ্গু একটি ভয়াবহ রোগ, যা রক্তের প্লাটিলেট কমিয়ে দিতে পারে।

তাই শুরুতেই রোগটি শনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ, নইলে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে আশার কথা, এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।