ঢাকা , সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নগদের গ্রাহকদের অর্থ ঝুঁকিতে: বাংলাদেশ ব্যাংক Logo নাঃগঞ্জ মহানগর জিসাস ও জেলা জিসাস এর উদ্যোগে জিয়াউর রহমান শাহাদাত বার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠান ও খাবার বিতরন Logo শহীদ জিয়া’র ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ১৫নং ওয়ার্ড নায়ণগঞ্জ মহানগর ও এলাকাবাসী উদ্যোগে মিলাদ, দোয়া Logo আনন্দমুখর সাহিত্য পত্রিকা ও পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠিত হলো কলকাতা বঙ্গ সন্মাননা -২০২৫ Logo রূপগঞ্জ ৪ দিনের টানা বর্ষণে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি Logo হাসিনার বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার আজ Logo জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে আপিল বিভাগের নির্দেশ Logo গাজায় আরও ৬০ মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে প্রায় ৫৪ হাজার ৪০০ Logo ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতল পিএসজি Logo সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য শিক্ষার্থীকে খয়রাতি মার্ক দেয়া হবে না : শিক্ষা উপদেষ্টা

মুন্সিগঞ্জে কিস্তির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীকে হাতুড়িপেটায় হত্যা

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে কিস্তির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

নিহতের নাম নাজমা বেগম। তিনি উপজেলার কামারখাড়া গ্রামের মিজি বাড়ির আনোয়ার হোসেন আনুর স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রীকে দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে অনেক টাকা ঋণ নেন। এনজিওগুলো কিস্তির টাকা নিতে আসলে নাজমা বেগম স্বামীর কাছে টাকা চাইলে তিনি তালবাহানা শুর করেন। এনিয়ে নাজমা বেগমের সঙ্গে আনোয়ারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ১৫ অক্টোবর রাতে কিস্তির টাকা নিয়ে স্ত্রী নাজমা বেগমকে বেধড়ক মারধর করেন আনোয়ার হোসেন আনু। পরে ১৬ অক্টোবর এ নিয়ে টঙ্গীবাড়ী থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে কিস্তির টাকা দেওয়ার কথা বলে কামারখাড়া কবরস্থানের সামনে আবারও স্ত্রী নাজমা বেগমকে ডেকে নেয় স্বামী আনোয়ার হোসেন আনু। পরে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে কবরস্থানে ফেলে পালিয়ে যান।

স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের ছেলে ইব্রাহিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে কিস্তির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। কিস্তির টাকা চাইলে তিনি প্রায়ই মাকে মারধর করতেন। এনিয়ে টঙ্গীবাড়ী থানায় অভিযোগ দিলে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

টঙ্গীবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের মরদেহ মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

নগদের গ্রাহকদের অর্থ ঝুঁকিতে: বাংলাদেশ ব্যাংক

মুন্সিগঞ্জে কিস্তির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীকে হাতুড়িপেটায় হত্যা

আপডেট সময় ০৯:৫৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে কিস্তির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

নিহতের নাম নাজমা বেগম। তিনি উপজেলার কামারখাড়া গ্রামের মিজি বাড়ির আনোয়ার হোসেন আনুর স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রীকে দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে অনেক টাকা ঋণ নেন। এনজিওগুলো কিস্তির টাকা নিতে আসলে নাজমা বেগম স্বামীর কাছে টাকা চাইলে তিনি তালবাহানা শুর করেন। এনিয়ে নাজমা বেগমের সঙ্গে আনোয়ারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ১৫ অক্টোবর রাতে কিস্তির টাকা নিয়ে স্ত্রী নাজমা বেগমকে বেধড়ক মারধর করেন আনোয়ার হোসেন আনু। পরে ১৬ অক্টোবর এ নিয়ে টঙ্গীবাড়ী থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে কিস্তির টাকা দেওয়ার কথা বলে কামারখাড়া কবরস্থানের সামনে আবারও স্ত্রী নাজমা বেগমকে ডেকে নেয় স্বামী আনোয়ার হোসেন আনু। পরে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে কবরস্থানে ফেলে পালিয়ে যান।

স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের ছেলে ইব্রাহিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে কিস্তির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। কিস্তির টাকা চাইলে তিনি প্রায়ই মাকে মারধর করতেন। এনিয়ে টঙ্গীবাড়ী থানায় অভিযোগ দিলে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

টঙ্গীবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের মরদেহ মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।