আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে বিনাবিচারে কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য একটি বিবৃতিতে উক্ত সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া এ দাবি জানান।
যৌথ বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেছেন, ২০২১ সালের মার্চে ইন্ডিয়ার কট্টর মুসলিমবিদ্বেষী ও হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময়, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আলেম, মাদ্রাসাছাত্র ও তাওহিদী জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হতাহত করাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশব্যাপী হেফাজতের শত শত নেতাকর্মী ও আলেমকে গ্রেফতার করে জেলে পুরা হয়। যাদের একটা অংশকে বিনাবিচারে এখনো কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
তারা বলেছেন, বিনা বিচারে কাউকে বন্দি করে রাখা একটা ‘বিচারবহির্ভূত শাস্তি’। ব্যক্তি, গোষ্ঠী, কোনো বাহিনী বা সরকার যেই করুন না কেন, এটা অপরাধকর্ম; যা বাংলাদেশের সংবিধান, নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার এবং বিদ্যমান আইনের স্পষ্ট বরখেলাপ বা লঙ্ঘন। এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে তদন্ত করার জন্য আমরা মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিবৃতিতে হেফাজতের দুই শীর্ষ নেতা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবি, মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাগারে বন্দি সকল আলেম-উলামা ও হেফাজতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের শর্তহীনভাবে মুক্তি দিন।
অন্যথায় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া ঊর্ধ্বগতি ও বহুমাত্রিক নাগরিক অসন্তোষে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যেভাবে অস্থির হয়ে উঠছে, সেখানে দেশের ইসলাম অনুরাগী তৌহিদী জনতাকে শান্ত রাখা দুরূহ হয়ে পড়বে। একই সাথে রহমতের মাসে আলেম উলামা ও নির্যাতিত মানুষের অশ্রুঝরা ফরিয়াদ থেকে এমন দুষ্কর্মে জড়িত কেউই আল্লাহর আজাব-গজব ও ক্রোধ থেকে রেহাই পাবেন না।