নারায়ণগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্ত (২০) হত্যা মামলায় চান্দি বাবু নামে আরও এক আসমিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে সদর মডেল থানার একটি বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়ার আসামি চান্দি বাবুর কাছ থেকে ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এই মামলায় তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এই মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে।
এর আগে, গত ১২ ডিসেম্বর ভোরে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ছাত্র ওয়াজেদ সীমান্ত তার দেওভোগের বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন। সকাল ৬টার দিকে ডিআইটি আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগারের সামনে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে।
অপরাধীরা সীমান্তের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও ১ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৪ ডিসেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমান্তের মৃত্যু হয়। নিহত সীমান্তের বাবা মো. আলম পারভেজ বাদী হয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
এরপর গত ১৮ ডিসেম্বর কাশিপুর এলাকার মোহাম্মদ আকাশ খান ওরফে সাইদুর রহমান আকাশকে গ্রেফতার করা হয়। সে হত্যা, ছিনতাইসহ মোট ১১টি মামলার আসামি। এর আগে, গোপচর সুকুম পট্টি এলাকার মো. নয়ন ওরফে মরু সাহার ছেলে অনিককেও (২৮) গ্রেফতার করা হয়েছিল, যার বিরুদ্ধে রয়েছে ৮টি মামলা। অনিককে গ্রেফতারের সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু এবং লুট হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।