ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে জানান কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমা Logo সোনারগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠন Logo সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন Logo মাকসুদ চেয়ারম্যানকে বন্দরের মাটিতে নির্বাচন করতে দিবো না : সাখাওয়াত Logo সাংবাদিক জিএম শহীদের অকাল মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রূপগঞ্জ সকল সাংবাদিকবৃন্দ Logo শহরে জেলা নৌ-যান শ্রমিক কর্মচারী দলের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জুলাই সনদ ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করতে হবে – মমিনুল হক সরকার Logo শাসনগাও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল জুতা ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ Logo ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রাস্তা নয় যেন মরণ ফাঁদ Logo সন্ত্রাসের পুনর্বাসন ও ভয়ের সংস্কৃতি রাজনীতি: একটি জাতীয় সংকট

গাজায় মৃত্যু ছাড়াল ৪৬ হাজার, নিখোঁজ ১০ হাজার

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ১৫ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৭০ জন নিহত এবং আরও ১০৪ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ হাজার ৬ জনে পৌঁছেছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ৯ হাজার ৩৭৮ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে জানান কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমা

গাজায় মৃত্যু ছাড়াল ৪৬ হাজার, নিখোঁজ ১০ হাজার

আপডেট সময় ১১:৪৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ১৫ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৭০ জন নিহত এবং আরও ১০৪ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ হাজার ৬ জনে পৌঁছেছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ৯ হাজার ৩৭৮ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।