ঢাকা , শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুবলীর ‘পুলসিরাত’ হয়ে গেল ‘সরদার বাড়ির খেলা’ Logo মেসিকে যেভাবে লাল কার্ড থেকে বাঁচিয়েছেন প্রতিপক্ষ কোচ Logo ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান Logo গভীর রাতে ৭৫০ জনকে পুশ-ইনের চেষ্টা, বিজিবি-জনতার বাধায় পিছু হটল বিএসএফ Logo দাবি বাস্তবায়নের নতুন কেন্দ্র হবে কাকরাইল মোড় : রইছ উদ্দিন Logo সাম্য হত্যার জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগ থানা ঘেরাও Logo পাস‌পোর্ট অ‌ফি‌সে দালাল চ‌ক্রের ঠাই হবে না : নব নিযুক্ত উপ-প‌রিচালক শামীম Logo কাঁচপুর জমিজমা সক্রান্ত দ্বন্দ্বে মামা-ভাগিনা সংঘর্ষ, অবশেষে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo ফরাজিকান্দায় আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা পুলিশি বাধায় কাজ বন্ধ Logo আরব আমিরাতের উদ্দেশে তামিম-রিশাদরা

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে পেঁয়াজও

ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অপার সম্ভাবনাময় চারদেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে ট্রানজিট ও ইমিগ্রেশন সুবিধা থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে ও পর্যটনে বিপুল সম্ভাবনা তৈরি করেছে বন্দরটি। বন্দরটিতে বেশিরভাগ পাথর আমদানি হলেও দিনদিন বাড়ছে অন্যান্য পণ্য আমদানি। বন্দরটি দিয়ে বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের চারদেশীয় স্থলবন্দরটি ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরটিতে পাথর আমদানির পাশাপাশি এখন পেঁয়াজ ও আতপ চাল আমদানি করা হচ্ছে। গত ১০ ডিসেম্বর ভারত থেকে এ বন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে মেসার্স বিসমিল্লাহ বাণিজ্যালয় নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর আগে এ প্রতিষ্ঠানটি ৫ দফায় ১৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে একই প্রতিষ্ঠান।

বর্তমানে বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্যগুলোর মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশই পাথর। এ ছাড়া মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিকদানা, রেললাইনের স্লিপার, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়। অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়নের মধ্যেও ভারত থেকে চাল ও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। স্বাভাবিক রয়েছে স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

১৯৯৭ সালে নেপালের সঙ্গে এক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে এ বন্দর দিয়ে প্রথম আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে ও ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।

বন্দরের কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বন্দরটিতে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল থাকায় আয় হচ্ছে রাজস্ব। গেল অর্থবছরে (২০২৩-২৪) বন্দরটি দিয়ে ৭৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয় হয়েছে ২০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

বুবলীর ‘পুলসিরাত’ হয়ে গেল ‘সরদার বাড়ির খেলা’

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে পেঁয়াজও

আপডেট সময় ১০:৪৬:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অপার সম্ভাবনাময় চারদেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে ট্রানজিট ও ইমিগ্রেশন সুবিধা থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে ও পর্যটনে বিপুল সম্ভাবনা তৈরি করেছে বন্দরটি। বন্দরটিতে বেশিরভাগ পাথর আমদানি হলেও দিনদিন বাড়ছে অন্যান্য পণ্য আমদানি। বন্দরটি দিয়ে বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের চারদেশীয় স্থলবন্দরটি ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরটিতে পাথর আমদানির পাশাপাশি এখন পেঁয়াজ ও আতপ চাল আমদানি করা হচ্ছে। গত ১০ ডিসেম্বর ভারত থেকে এ বন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে মেসার্স বিসমিল্লাহ বাণিজ্যালয় নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর আগে এ প্রতিষ্ঠানটি ৫ দফায় ১৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে একই প্রতিষ্ঠান।

বর্তমানে বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্যগুলোর মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশই পাথর। এ ছাড়া মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিকদানা, রেললাইনের স্লিপার, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়। অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়নের মধ্যেও ভারত থেকে চাল ও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। স্বাভাবিক রয়েছে স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

১৯৯৭ সালে নেপালের সঙ্গে এক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে এ বন্দর দিয়ে প্রথম আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে ও ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।

বন্দরের কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বন্দরটিতে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল থাকায় আয় হচ্ছে রাজস্ব। গেল অর্থবছরে (২০২৩-২৪) বন্দরটি দিয়ে ৭৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয় হয়েছে ২০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।