ঢাকা , সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্দরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

এমএনএ আজাদ: ২৬ মার্চ মঙ্গলবার বন্দর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়।
এর আগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বন্দর সমরক্ষেত্রে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সুচনা হয়। ভোর সাড়ে ৬ টায় সমরক্ষেত্রে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
সকাল সাড়ে ৮ টায় সকল সরকারি, আধা- সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং সন্ধ্যায় সকল সরকারি ভবনে আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়।
সকাল ৯ টায় সমরক্ষেত্র মাঠে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয় এবং সম্মানা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
বন্দর মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্সে দিবসটি উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএ মুহাইমিন আল জিহান’র সভাপতিত্বে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজ রহমান’র সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এমএ রশিদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এমএ রশিদ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা এখানে বসেছেন আপনাদের ব্যাপারে কি বলবো আপনারা সকল মুক্তিযোদ্ধারা ইতিহাস তৈরি করেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি দেশের পতাকা দিয়েছিলো সেই পতাকাটাই আপনারা ৯ মাস যুদ্ধ করে জয় এনেছিলেন, তাই আজ স্বাধীনতা দিবস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নির্দেশনায় যুদ্ধ করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরই অন্তর এর থেকে সম্মান দিতে হবে আমি বলতে চাই, জাতীর উচ্চস্থরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে হবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করবো মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতাটার একটু বেশি করার জন্য। কারন দিন দিন জাতির সূর্য সন্তানরা আল্লাহ ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাচ্ছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, বন্দর থানা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার নাসির হোসেন, বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিসা রানী কর্মকার, বন্দর থানা তদন্ত কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক। বন্দর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান মোল্লা, বন্দর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন শান্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমলাক হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল জব্বার সরদার, লিয়াকত আলী, কাজী নাসির সহ বন্দর উপজেলা সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সকল সদস্য, রাজনিতিবিদ, শিক্ষক ও সাংবাদিকবৃন্দ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

বন্দরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

আপডেট সময় ০৩:৩৩:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

এমএনএ আজাদ: ২৬ মার্চ মঙ্গলবার বন্দর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়।
এর আগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বন্দর সমরক্ষেত্রে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সুচনা হয়। ভোর সাড়ে ৬ টায় সমরক্ষেত্রে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
সকাল সাড়ে ৮ টায় সকল সরকারি, আধা- সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং সন্ধ্যায় সকল সরকারি ভবনে আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়।
সকাল ৯ টায় সমরক্ষেত্র মাঠে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয় এবং সম্মানা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
বন্দর মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্সে দিবসটি উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএ মুহাইমিন আল জিহান’র সভাপতিত্বে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজ রহমান’র সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এমএ রশিদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এমএ রশিদ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা এখানে বসেছেন আপনাদের ব্যাপারে কি বলবো আপনারা সকল মুক্তিযোদ্ধারা ইতিহাস তৈরি করেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি দেশের পতাকা দিয়েছিলো সেই পতাকাটাই আপনারা ৯ মাস যুদ্ধ করে জয় এনেছিলেন, তাই আজ স্বাধীনতা দিবস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নির্দেশনায় যুদ্ধ করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরই অন্তর এর থেকে সম্মান দিতে হবে আমি বলতে চাই, জাতীর উচ্চস্থরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে হবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করবো মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতাটার একটু বেশি করার জন্য। কারন দিন দিন জাতির সূর্য সন্তানরা আল্লাহ ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাচ্ছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, বন্দর থানা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার নাসির হোসেন, বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিসা রানী কর্মকার, বন্দর থানা তদন্ত কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক। বন্দর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান মোল্লা, বন্দর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন শান্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমলাক হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল জব্বার সরদার, লিয়াকত আলী, কাজী নাসির সহ বন্দর উপজেলা সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সকল সদস্য, রাজনিতিবিদ, শিক্ষক ও সাংবাদিকবৃন্দ।