ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কবরস্হানের নামে জমি দখল – কবর প্রতি চাঁদা ১৫০০! Logo জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার স্থায়ী পরিষদের মতবিনিময় সভায় গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন এম এইচ তালুকদার Logo বন্দরে ধামগড় ইউনিয়নে দূরভিত্তরা কৃষক এর পেপে ও আমড়া বাগান কেটে ফেলেছে Logo রূপগঞ্জে পানিবন্দী মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন নারায়ণগঞ্জ ডিসি Logo সিদ্ধিরগঞ্জে স্বর্ণ চুরির ঘটনায় ৫ আসামি গ্রেপ্তার; রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য Logo সুখবর পাচ্ছেন নেইমার, ভিনি শুনছেন দুঃসংবাদ Logo এবার শাকিব খানের নায়িকা তানজিন তিশা Logo স্যুট পরেও সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখে জেলেনস্কি Logo ডাকসু নির্বাচন: তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছাত্রদল Logo পাবনায় ‘ময়েজ বাহিনীর’ অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান

কবরস্হানের নামে জমি দখল – কবর প্রতি চাঁদা ১৫০০!

খাটরা, কাউলিবেড়া ইউনিয়ন, ভাংগা উপজেলা, ফরিদপুর জেলা।অত্র অঞ্চলের কৃতি সন্তান, সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব চৌধুরী এম এ হামিদ,তাঁর নিজ জন্মভূমি খাটরা।ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ৪৩ শতক জমি তার ওয়ারশিদের সকলের নামে মাঠ পর্চা বি আর এস জরিপে লিপিবদ্ধ হয়।
জমিটি মাইঝাইল মৌজায়।মাইঝাইল মৌজার এস এ খতিয়ান ১৩৭,আর এস খতিয়ান ১৯৫ এবং বি আর এস জরিপে কাগজ পত্র ত্রুটিপূর্ণ না থাকায় চৌধুরী এম এ হামিদের সম্পদ হিসেবে উক্ত জমি জরিপে লিপিবদ্ধ সম্পন্ন হয়।ঐ সময় ভূমি জরিপকারীগন রশিদ ওরফে বাদশার বক্তব্য ও কাগজ পত্র দেখেন এবং এলাকবাসিও উক্ত ভূমি চৌধুরী এম এ হামিদ এর বলে জানালে ভূমি জরিপকারী গন তা লিপিবদ্ধ করেন এবং কারো আপত্তি থাকলে তা লিখিত আকারে ভূমি অফিসে জানাতে বলেন।সাইজুদ্দিন চৌধুরীর বৈধ্য ওয়ারিশ হিসাবে সে সময়ে রশিদ ওরফে বাদশা ও আছমতুন্নেছা জীবিত এবং তারা উভয়ই কোন লিখিত আপত্তি না জানালে ভূমিটি চৌধুরী এম এ হামিদ এর সম্পদ হিসেবে বৈধতা পায় চৌধুরী এম এ হামিদ এর সকল ওয়ারিশের নাম মাঠ পর্চায় লিপিবদ্ধ হয় এবং বাৎসরিক খাজনাদি সরকারের নিয়ম মেনেই যথারীতি পরিশোধ হতে থাকে।এখানেও কোথাও উক্ত জমি কবরস্থানের নামে উল্লেখ নেই বা ছিল না।হামিদ চৌধুরীর ১ম স্ত্রীর বড় সন্তানের ওয়ারিশগন যথাযথ আইন মেনে কাগজ পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে নামজারি করে যার পরিমান ৮.৮ শতাংশ আনুমানিক ।

কিন্তু গ্রামের কিছু দস্যু শ্রেণির লোক মসজিদ কমিটির সহযোগিতায় কবরস্থানের নামে ভূক্তোভূগি পরিবারের ন্যায্য হিস্যার উক্ত ৮.৮ শতাংশ আনুমানিক জায়গা দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ আছে।তারা জায়গাটি দখল পাকা পোক্ত করতে বিভিন্ন ভাবে কাগজ পত্রের জালজালিয়াতির আশ্রয় নেন।এই ঘৃন্য কাজ তারা খুব গোপনে ও নীরবে করে।কবরস্হানের নামে জায়গা দখল হয় ওমর আলি নামে এক বাটপারের উদ্যোগে এবং সহযোগিতায় মসজিদ কমিটির অনেকেই জড়িত ছিল এবং গোজামিলের আংশিক কাগজপত্র সেদিকই ইংগিত করে।

জায়গাটি ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হওয়ার পরও চৌধুরী এম এ হামিদের মৃত্যুর পর, তাঁর বৈমাত্রেয় ভাই রশীদ ওরফে বাদশা মিয়া, কিছু অসাধু ও লোভী ভূমির দালালদের খপ্পর ও প্ররোচনায়, ১৯৯৯ সালের মার্চ মাসে এস.এ. খতিয়ান অনুযায়ী অর্ধেক জমি নিজের দাবী করে জনৈক ইউনুস মাতুব্বরের কাছে বিক্রি করে দেন। উক্ত ঘটনাটি পরিকল্পিত।দখল করাই ছিল উক্ত চক্রের হোতাদের মূল উদ্দেশ্য ।কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে তারা কবরস্হানের নামে কাগজ পত্র জালজালিয়াতি করে কবরস্হানের নামে করার চেষ্টা করেন।কিন্তু সেই কাগজ পত্র সঠিক না থাকায় ভূমি অফিস কবরস্থানের নামে নামজারির কোন আবেদনে সারা দেয়নি।

বোদ্ধা মহলের প্রশ্ন কবরস্হানের মতো একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান স্হানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া পরিচালিত হয় কিভাবে? অনেক সমাজ বিশেষজ্ঞ মনে করেন ক্রিমিনাল বা বিকৃতি মানসিকতার লোক ছাড়া এমন ঝুঁকি পূর্ণ কাজ করার দু:সাহস কেউ দেখাবে না।শহরে তো নয়ই গ্রামেও যে এমন কাজ হয় তাই তো ভাবা যায় না।পারিবারিক কবরস্হান হলে সেটা বিভিন্ন বিষয় হতে পারে।

ভূক্তোভূগি জানান তিনি ন্যায্য হিস্যা দাবি করলে ওমর আলির চক্রান্তে ও যোগসাজশে ফিরোজ গংদের নির্দেশ আকার ইংগিতে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।কারণ ঐ ওমর আলি গংরা ভূক্তোভূগির ৮.৮ শতাংশই জায়গা দখল করে ক্ষান্ত হয়নি, বরং ফিরোজ গংরা ওমর আলি গংদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা নিয়ে ভূক্তোভূগির বসত ভিটার ৫.৮০ শতাংশ জায়গা সহ আরও অনেক জমি জবর দখল করে রেখেছে ।জনশ্রুতি আছে ঐ ওমর আলি মসজিদ কমিটির সম্মতিতে কবর প্রতি ১৪০০ -১৫০০ টাকা চান্দা নেয়।
এই চান্দাবাজ কিন্তু কোন দলের নয়।ওরা সমাজের কীট।দেশের জঞ্জাল ।ওরা কবরবাসীদেরও ছাড় দিতে চায় না।এছাড়াও এই ওমর আলি গংরা মসজিদ কমিটির (যা কবরস্হান কমিটি নামে পরিচিত) সহায়তায় দখল পাকাপোক্ত করতে বাউন্ডারি নির্মান করেছে।যেখানে ভূক্তোভূগি পরিবারের কোন সম্মতি ছিল না।আরও উল্লেখ্য উক্ত নির্মাণ কাজে বিপুল অংকের টাকা ব্যয় হয় ।এই ব্যয়ের উৎস কোথায় ?

কবরস্হান কমিটির সেক্রেটারি মাসুদ মিয়া এই বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি।তিনি বলেন তদন্ত হলে তিনি সকল কাগজ পত্র দেখাতে প্রস্তুত আছেন। দখলকৃত জমিটি বৈধভাবে কবরস্থান হয়েছে সে ধরনের কোন কাগজ পত্র তারা দেখাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে ।বেশির ভাগ কাগজ পত্র গোজামিল ও জালজালিয়াতির উপযুক্ত তথ্য বর্তমান ।মসজিদ কমিটির স্বেচ্ছাচারিতায় কারনেই এই জালজালিয়াতি ও জটিলতার সূত্রপাত।

ভূক্তোভূগি পরিবারের সদস্যরা জানায় তারা তাদের ন্যায্য অংশ অনুমানিক ৮.৮ শতাংশ ভূমি অন্যায় ভাবে কবরস্থানের নামে দখল হতে দিবে না ।খুব শীঘ্রই সহকারী কমিশনার (ভূমি), জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত আকারে বিষয়টি জানানো সহ দখলকৃত জমি উদ্ধারে এবং দখল ও চান্দাবাজের বিরুদ্ধে আইনি আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে ভূক্তোভূগি সদস্য জানান।কারন এই দানবরা কবরস্হানের নামে নানা অপকর্মে জড়িত।

ভূক্তোভূগি পরিবার কবরস্হানের নামে অবৈধভাবে দখল করা জমি উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন এবং বর্তমান কমিটির এই দু:সাহস বিজ্ঞ মহলের সামনে তুলে ধরতে সাংবাদিক সমাজের সহযোগিতা চায়। ।ভূক্তোভূগি আরও বলেন জাতির ক্রান্তিলগ্নে যেমন সাংবাদিক ভাইযেরা এগিয়ে আসেন, তেমনি কবরস্হানের নামে দখলবাজি, চান্দাবাজি, নৈরাজ্য সহ উক্ত গ্রামের সকল অপকর্ম প্রশাসনের সামনে তুলে ধরতে আহবান জানান।

 

এছাড়াও দেশের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলের কবরস্থানে কংকাল চুরি, বেওয়ারিশ লাশ দাফন ও অন্যান্য অনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় খাটরা পশ্চিম পাড়া কবরস্থানের কমিটি নিয়েও অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে?
ওমর আলি গং (ক্যাশিয়ার ) সঙ্গে যোগাযোগ করে কিছু সীমিত তথ্য পাওয়া যায়, জায়গা দখল ও প্রশাসনকে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে না জানানোর যৌক্তিক কারণের কোন ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি।তার মতে প্রশাসনকে এই কবরস্থান পরিচালনার বিষয়ে জানানোর কিছু নাই আর জায়গা দখলের বিষয়ে তিনি জানান বিষয়টি কবরস্থান কমিটি (মসজিদ কমিটি নামে পরিচিত) উত্তর দিতে পারবে । তবে বিষয়টি যে উদ্দেশ্যমূলক ও দীর্ঘ মেয়াদে জটিলতা সৃষ্টির উদ্দেশ্য করা হয়েছে তা সহজেই প্রতীয়মান হয় ।
ওমর আলিদের ছত্রছায়ায় কত মানুষ নিঃস্ব হয়েছে বা হচ্ছে তা তদন্তের দাবী রাখে।তাছাড়া উক্ত কবরস্হানের নামে আসা ফান্ড ব্যক্তি বিশেষের কাজে ব্যবহার হয় কি না খতিয়ে দেখা উচিত ।

এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, কবরস্থানের নামে দখলকৃত জায়গা সরকারিভাবে ওয়াকফ হয়নি।মসজিদ কমিটির সম্পাদিত জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র যথেষ্ট দূর্বল,অনিয়ম ও ত্রুটিযুক্ত আছে। সকল অনিয়ম পূর্নাঙ্গ তদন্ত সহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আর্থিক অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত জরুরি।তাছাড়া রশিদ ওরফে বাদশা মিয়ার তিন পুত্র ফিরোজ গংরা ওমর আলির নেতৃত্ব চক্রান্তে লিপ্ত । ওমর আলী সহ কমিটির কয়েকজন সদস্যের পরামর্শে ফিরোজ গংরা তাদের কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক বন্টননামা ও দলিল দস্তাবেজ নষ্টের উদ্যোগ নিতে পারে বলে কমিটির গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য মনে করেন ।ঐ সদস্য নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন ওমর আলি গং একা নয় আরও অনেকই জড়িত ,তবে তদন্তে পূর্ণাঙ্গ সত্য উঠে আসবে।
কবরস্থানের নামে জমি দখলের বিষয়ে সাধারণ ডায়রি, আইনি নোটিশ ও আইনের আশ্রয় গ্রহন করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

বর্তমান কমিটির কেউই প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নন — তাই সঠিক তদন্ত, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে কবরস্থানের নামে দখল করা জমি উদ্ধার করা প্রয়োজন।
ভূক্তোভূগি আরও জানায় কবরস্হান হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে সঠিকভাবে সম্পন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন যা তাদের কাছে নেই এবং কবরস্হানের স্বীকৃতি পেতে হলে প্রয়োজনীয় কাগজ সহ স্হানীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা অবশ্যই জরুরী। স্হানীয় প্রশাসন ছাড়া যেকোন কবরস্থানে যেকোনো অনিয়ম হতে পারে। স্হানীয় প্রশাসন যুক্ত হলে স্হানীয় ভূমি দখলকারী ও লোভী গোষ্ঠী ভবিষ্যতে যে কারো জমি নিয়ে কোনো প্রকার বিরোধ,দখলবাজী এবং অনৈতিক তৎপরতা চালাতে পারবে না,সেজন্য এই খাটরা গ্রামে প্রশাসনিক নজরদারি অত্যন্ত জরুরি ।

অন্যথায়, ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের জটিলতা ও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটতে পারে, যা খাটরার মতো একটি শান্তিপূর্ণ গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য বড় ধরনের সামাজিক সংকট ও হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

কবরস্হানের নামে জমি দখল – কবর প্রতি চাঁদা ১৫০০!

কবরস্হানের নামে জমি দখল – কবর প্রতি চাঁদা ১৫০০!

আপডেট সময় ০৩:৪২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

খাটরা, কাউলিবেড়া ইউনিয়ন, ভাংগা উপজেলা, ফরিদপুর জেলা।অত্র অঞ্চলের কৃতি সন্তান, সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব চৌধুরী এম এ হামিদ,তাঁর নিজ জন্মভূমি খাটরা।ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ৪৩ শতক জমি তার ওয়ারশিদের সকলের নামে মাঠ পর্চা বি আর এস জরিপে লিপিবদ্ধ হয়।
জমিটি মাইঝাইল মৌজায়।মাইঝাইল মৌজার এস এ খতিয়ান ১৩৭,আর এস খতিয়ান ১৯৫ এবং বি আর এস জরিপে কাগজ পত্র ত্রুটিপূর্ণ না থাকায় চৌধুরী এম এ হামিদের সম্পদ হিসেবে উক্ত জমি জরিপে লিপিবদ্ধ সম্পন্ন হয়।ঐ সময় ভূমি জরিপকারীগন রশিদ ওরফে বাদশার বক্তব্য ও কাগজ পত্র দেখেন এবং এলাকবাসিও উক্ত ভূমি চৌধুরী এম এ হামিদ এর বলে জানালে ভূমি জরিপকারী গন তা লিপিবদ্ধ করেন এবং কারো আপত্তি থাকলে তা লিখিত আকারে ভূমি অফিসে জানাতে বলেন।সাইজুদ্দিন চৌধুরীর বৈধ্য ওয়ারিশ হিসাবে সে সময়ে রশিদ ওরফে বাদশা ও আছমতুন্নেছা জীবিত এবং তারা উভয়ই কোন লিখিত আপত্তি না জানালে ভূমিটি চৌধুরী এম এ হামিদ এর সম্পদ হিসেবে বৈধতা পায় চৌধুরী এম এ হামিদ এর সকল ওয়ারিশের নাম মাঠ পর্চায় লিপিবদ্ধ হয় এবং বাৎসরিক খাজনাদি সরকারের নিয়ম মেনেই যথারীতি পরিশোধ হতে থাকে।এখানেও কোথাও উক্ত জমি কবরস্থানের নামে উল্লেখ নেই বা ছিল না।হামিদ চৌধুরীর ১ম স্ত্রীর বড় সন্তানের ওয়ারিশগন যথাযথ আইন মেনে কাগজ পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে নামজারি করে যার পরিমান ৮.৮ শতাংশ আনুমানিক ।

কিন্তু গ্রামের কিছু দস্যু শ্রেণির লোক মসজিদ কমিটির সহযোগিতায় কবরস্থানের নামে ভূক্তোভূগি পরিবারের ন্যায্য হিস্যার উক্ত ৮.৮ শতাংশ আনুমানিক জায়গা দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ আছে।তারা জায়গাটি দখল পাকা পোক্ত করতে বিভিন্ন ভাবে কাগজ পত্রের জালজালিয়াতির আশ্রয় নেন।এই ঘৃন্য কাজ তারা খুব গোপনে ও নীরবে করে।কবরস্হানের নামে জায়গা দখল হয় ওমর আলি নামে এক বাটপারের উদ্যোগে এবং সহযোগিতায় মসজিদ কমিটির অনেকেই জড়িত ছিল এবং গোজামিলের আংশিক কাগজপত্র সেদিকই ইংগিত করে।

জায়গাটি ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হওয়ার পরও চৌধুরী এম এ হামিদের মৃত্যুর পর, তাঁর বৈমাত্রেয় ভাই রশীদ ওরফে বাদশা মিয়া, কিছু অসাধু ও লোভী ভূমির দালালদের খপ্পর ও প্ররোচনায়, ১৯৯৯ সালের মার্চ মাসে এস.এ. খতিয়ান অনুযায়ী অর্ধেক জমি নিজের দাবী করে জনৈক ইউনুস মাতুব্বরের কাছে বিক্রি করে দেন। উক্ত ঘটনাটি পরিকল্পিত।দখল করাই ছিল উক্ত চক্রের হোতাদের মূল উদ্দেশ্য ।কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে তারা কবরস্হানের নামে কাগজ পত্র জালজালিয়াতি করে কবরস্হানের নামে করার চেষ্টা করেন।কিন্তু সেই কাগজ পত্র সঠিক না থাকায় ভূমি অফিস কবরস্থানের নামে নামজারির কোন আবেদনে সারা দেয়নি।

বোদ্ধা মহলের প্রশ্ন কবরস্হানের মতো একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান স্হানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া পরিচালিত হয় কিভাবে? অনেক সমাজ বিশেষজ্ঞ মনে করেন ক্রিমিনাল বা বিকৃতি মানসিকতার লোক ছাড়া এমন ঝুঁকি পূর্ণ কাজ করার দু:সাহস কেউ দেখাবে না।শহরে তো নয়ই গ্রামেও যে এমন কাজ হয় তাই তো ভাবা যায় না।পারিবারিক কবরস্হান হলে সেটা বিভিন্ন বিষয় হতে পারে।

ভূক্তোভূগি জানান তিনি ন্যায্য হিস্যা দাবি করলে ওমর আলির চক্রান্তে ও যোগসাজশে ফিরোজ গংদের নির্দেশ আকার ইংগিতে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।কারণ ঐ ওমর আলি গংরা ভূক্তোভূগির ৮.৮ শতাংশই জায়গা দখল করে ক্ষান্ত হয়নি, বরং ফিরোজ গংরা ওমর আলি গংদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা নিয়ে ভূক্তোভূগির বসত ভিটার ৫.৮০ শতাংশ জায়গা সহ আরও অনেক জমি জবর দখল করে রেখেছে ।জনশ্রুতি আছে ঐ ওমর আলি মসজিদ কমিটির সম্মতিতে কবর প্রতি ১৪০০ -১৫০০ টাকা চান্দা নেয়।
এই চান্দাবাজ কিন্তু কোন দলের নয়।ওরা সমাজের কীট।দেশের জঞ্জাল ।ওরা কবরবাসীদেরও ছাড় দিতে চায় না।এছাড়াও এই ওমর আলি গংরা মসজিদ কমিটির (যা কবরস্হান কমিটি নামে পরিচিত) সহায়তায় দখল পাকাপোক্ত করতে বাউন্ডারি নির্মান করেছে।যেখানে ভূক্তোভূগি পরিবারের কোন সম্মতি ছিল না।আরও উল্লেখ্য উক্ত নির্মাণ কাজে বিপুল অংকের টাকা ব্যয় হয় ।এই ব্যয়ের উৎস কোথায় ?

কবরস্হান কমিটির সেক্রেটারি মাসুদ মিয়া এই বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি।তিনি বলেন তদন্ত হলে তিনি সকল কাগজ পত্র দেখাতে প্রস্তুত আছেন। দখলকৃত জমিটি বৈধভাবে কবরস্থান হয়েছে সে ধরনের কোন কাগজ পত্র তারা দেখাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে ।বেশির ভাগ কাগজ পত্র গোজামিল ও জালজালিয়াতির উপযুক্ত তথ্য বর্তমান ।মসজিদ কমিটির স্বেচ্ছাচারিতায় কারনেই এই জালজালিয়াতি ও জটিলতার সূত্রপাত।

ভূক্তোভূগি পরিবারের সদস্যরা জানায় তারা তাদের ন্যায্য অংশ অনুমানিক ৮.৮ শতাংশ ভূমি অন্যায় ভাবে কবরস্থানের নামে দখল হতে দিবে না ।খুব শীঘ্রই সহকারী কমিশনার (ভূমি), জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত আকারে বিষয়টি জানানো সহ দখলকৃত জমি উদ্ধারে এবং দখল ও চান্দাবাজের বিরুদ্ধে আইনি আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে ভূক্তোভূগি সদস্য জানান।কারন এই দানবরা কবরস্হানের নামে নানা অপকর্মে জড়িত।

ভূক্তোভূগি পরিবার কবরস্হানের নামে অবৈধভাবে দখল করা জমি উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন এবং বর্তমান কমিটির এই দু:সাহস বিজ্ঞ মহলের সামনে তুলে ধরতে সাংবাদিক সমাজের সহযোগিতা চায়। ।ভূক্তোভূগি আরও বলেন জাতির ক্রান্তিলগ্নে যেমন সাংবাদিক ভাইযেরা এগিয়ে আসেন, তেমনি কবরস্হানের নামে দখলবাজি, চান্দাবাজি, নৈরাজ্য সহ উক্ত গ্রামের সকল অপকর্ম প্রশাসনের সামনে তুলে ধরতে আহবান জানান।

 

এছাড়াও দেশের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলের কবরস্থানে কংকাল চুরি, বেওয়ারিশ লাশ দাফন ও অন্যান্য অনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় খাটরা পশ্চিম পাড়া কবরস্থানের কমিটি নিয়েও অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে?
ওমর আলি গং (ক্যাশিয়ার ) সঙ্গে যোগাযোগ করে কিছু সীমিত তথ্য পাওয়া যায়, জায়গা দখল ও প্রশাসনকে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে না জানানোর যৌক্তিক কারণের কোন ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি।তার মতে প্রশাসনকে এই কবরস্থান পরিচালনার বিষয়ে জানানোর কিছু নাই আর জায়গা দখলের বিষয়ে তিনি জানান বিষয়টি কবরস্থান কমিটি (মসজিদ কমিটি নামে পরিচিত) উত্তর দিতে পারবে । তবে বিষয়টি যে উদ্দেশ্যমূলক ও দীর্ঘ মেয়াদে জটিলতা সৃষ্টির উদ্দেশ্য করা হয়েছে তা সহজেই প্রতীয়মান হয় ।
ওমর আলিদের ছত্রছায়ায় কত মানুষ নিঃস্ব হয়েছে বা হচ্ছে তা তদন্তের দাবী রাখে।তাছাড়া উক্ত কবরস্হানের নামে আসা ফান্ড ব্যক্তি বিশেষের কাজে ব্যবহার হয় কি না খতিয়ে দেখা উচিত ।

এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, কবরস্থানের নামে দখলকৃত জায়গা সরকারিভাবে ওয়াকফ হয়নি।মসজিদ কমিটির সম্পাদিত জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র যথেষ্ট দূর্বল,অনিয়ম ও ত্রুটিযুক্ত আছে। সকল অনিয়ম পূর্নাঙ্গ তদন্ত সহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আর্থিক অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত জরুরি।তাছাড়া রশিদ ওরফে বাদশা মিয়ার তিন পুত্র ফিরোজ গংরা ওমর আলির নেতৃত্ব চক্রান্তে লিপ্ত । ওমর আলী সহ কমিটির কয়েকজন সদস্যের পরামর্শে ফিরোজ গংরা তাদের কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক বন্টননামা ও দলিল দস্তাবেজ নষ্টের উদ্যোগ নিতে পারে বলে কমিটির গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য মনে করেন ।ঐ সদস্য নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন ওমর আলি গং একা নয় আরও অনেকই জড়িত ,তবে তদন্তে পূর্ণাঙ্গ সত্য উঠে আসবে।
কবরস্থানের নামে জমি দখলের বিষয়ে সাধারণ ডায়রি, আইনি নোটিশ ও আইনের আশ্রয় গ্রহন করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

বর্তমান কমিটির কেউই প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নন — তাই সঠিক তদন্ত, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে কবরস্থানের নামে দখল করা জমি উদ্ধার করা প্রয়োজন।
ভূক্তোভূগি আরও জানায় কবরস্হান হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে সঠিকভাবে সম্পন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন যা তাদের কাছে নেই এবং কবরস্হানের স্বীকৃতি পেতে হলে প্রয়োজনীয় কাগজ সহ স্হানীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা অবশ্যই জরুরী। স্হানীয় প্রশাসন ছাড়া যেকোন কবরস্থানে যেকোনো অনিয়ম হতে পারে। স্হানীয় প্রশাসন যুক্ত হলে স্হানীয় ভূমি দখলকারী ও লোভী গোষ্ঠী ভবিষ্যতে যে কারো জমি নিয়ে কোনো প্রকার বিরোধ,দখলবাজী এবং অনৈতিক তৎপরতা চালাতে পারবে না,সেজন্য এই খাটরা গ্রামে প্রশাসনিক নজরদারি অত্যন্ত জরুরি ।

অন্যথায়, ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের জটিলতা ও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটতে পারে, যা খাটরার মতো একটি শান্তিপূর্ণ গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য বড় ধরনের সামাজিক সংকট ও হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।