ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকার সমাবেশ থেকে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা আসবে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলোর এখন একটাই দাবি- সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এ দাবিতে আগামী ১২ জুলাই ঢাকার সমাবেশ থেকে নতুন ঘোষণা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এ ঘোষণার মাধ্যমে আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হবে। এ ঘোষণার পর সবাইকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

রোববার বিকালে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে তারুণ্যের সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

এ সমাবেশের আয়োজন করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এতে বিএনপি ও এই তিন অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ সফল করতে সিলেট বিভাগের চার জেলা থেকে নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৪ বছরে কোনো নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু হয়নি। তাই আওয়ামী লীগকে আর বিশ্বাস করা যাবে না। গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের আন্দোলন চলছে, আগামী ১২ জুলাই ঢাকার সমাবেশ থেকে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা আসবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে জানে না, তাদের চরিত্রের মধ্যেই সুষ্ঠু নির্বাচন নেই, তারা মনে করে দেশটি তাদের বাপের তালুকদারি। তারা রাজা আর দেশের মানুষ প্রজা। সে কারণেই তারা বেআইনিভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে মানুষকে গুম করে, হত্যা করে নির্যাতন করছে।

এ সময় মির্জা ফখরুল সরকারের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেন, বিদ্যুত খাতে দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন।

স্বাস্থ্য খাতের বেহাল অবস্থা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না, ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করছে, একের পর এক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেই। অথচ সরকার নাকি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে উন্নয়ন করছে।

শিক্ষা খাতের কথা বলতে গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে রেখেছে; সেখানে আর পড়াশুনা হচ্ছে না, এভাবেই সকল খাতে লুটেরার রাজত্ব চলছে।

যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবকল দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলান।

বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন- ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর লুনা, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর কমিটির সভাপতি নাসিম হোসাইন প্রমুখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকার সমাবেশ থেকে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা আসবে: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৪:৩৪:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলোর এখন একটাই দাবি- সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এ দাবিতে আগামী ১২ জুলাই ঢাকার সমাবেশ থেকে নতুন ঘোষণা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এ ঘোষণার মাধ্যমে আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হবে। এ ঘোষণার পর সবাইকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

রোববার বিকালে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে তারুণ্যের সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

এ সমাবেশের আয়োজন করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এতে বিএনপি ও এই তিন অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ সফল করতে সিলেট বিভাগের চার জেলা থেকে নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৪ বছরে কোনো নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু হয়নি। তাই আওয়ামী লীগকে আর বিশ্বাস করা যাবে না। গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের আন্দোলন চলছে, আগামী ১২ জুলাই ঢাকার সমাবেশ থেকে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা আসবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে জানে না, তাদের চরিত্রের মধ্যেই সুষ্ঠু নির্বাচন নেই, তারা মনে করে দেশটি তাদের বাপের তালুকদারি। তারা রাজা আর দেশের মানুষ প্রজা। সে কারণেই তারা বেআইনিভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে মানুষকে গুম করে, হত্যা করে নির্যাতন করছে।

এ সময় মির্জা ফখরুল সরকারের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেন, বিদ্যুত খাতে দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন।

স্বাস্থ্য খাতের বেহাল অবস্থা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না, ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করছে, একের পর এক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেই। অথচ সরকার নাকি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে উন্নয়ন করছে।

শিক্ষা খাতের কথা বলতে গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে রেখেছে; সেখানে আর পড়াশুনা হচ্ছে না, এভাবেই সকল খাতে লুটেরার রাজত্ব চলছে।

যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবকল দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলান।

বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন- ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর লুনা, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর কমিটির সভাপতি নাসিম হোসাইন প্রমুখ।