ঢাকা , শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি’র গাজী পরিবারের নিয়ন্ত্রনে মাদক ব্যাবসা, চাদাঁবাজি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :  সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির সাবেক নেতা মৃত গাজী ইসমাইল এর পরিবারের নিয়ন্ত্রণে  মাদক ব্যবসা, চাদাঁবাজি ও কিশোরগ্যাং সদস্যরা বেপরোয়া, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দলীয়ভাবে কঠোর অবস্থান নিলেও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সুযোগ সন্ধানী কিছু আওয়ামী লীগ নেতাদের বিএনপিতে পুনর্বাসন করার অভিযোগ উঠেছে। নাসিক ১নং ওয়ার্ডের তালতলা ক্লাব এলাকার কিছু আওয়ামীলীগ এর চামচা রাতারাতি বনে যায় বিএনপি’র নেতা। তারা বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করেই এলাকায় ফের নিয়ন্ত্রন করতে শুরু করেছে মাদক ব্যবসা, চাদাঁবাজি সহ কিশোর গ্যাংয়ের মতো বিভিন্ন অপকর্ম ।  অনেকেই ঘোলাটে পরিস্থিতিতে রঙ্গ বদল করে বিএনপিতে নিজের অবস্থান তৈরি করার চেষ্টা করেছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ের অনেক মাদক ব্যাবসায়ী, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজীতে জড়িত এই নব্য নেতারা। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াসিন ও আওয়মীলীগের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাজী আনোয়ারের ঘনিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা গাজী মনির , গাজী মাসুম ও আওয়ামী চাদাঁবাজ মৃত বাবুলের ছেলে গাজর স্বপন ও গাজী সোহান গংরা।

নাসিক ১ নং ওয়ার্ডের বিভিন্নস্থানে গাজী মনির, গাজী সোহান, গাজী স্বপন, গাজী সাজিদ,  শিপলু, ফারুক আহমেদ,  বিল্পব  সজিব হোসেন, সাফিন, উদয় সহ একাধিক অনুপ্রবেশকারী বর্তমানে বিএনপি’র পরিচয়ে এলাকায় রমরমা মাদক ব্যাবসা করে যাচ্ছে । বিগত সরকারের সময়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় তাদের ব্যাবসা পরিচালনা করলেও এখন ভোল পাল্টিয়ে তাদের নব্য বিএনপি সেজে তাদের অবৈধ ব্যাবসা অব্যাহত রেখেছে। কিছুদিন আগে তাদের ছত্রছায়ায় থাকা মাদক ব্যবসায়ী মোস্তফা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও তারা ধরা ছোয়ার বাহিরে।  গাজী মনির ও গাজর মাছুম আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নেতা এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নাসিক ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। গাজী মনির, গাজী মাসুম ও গাজী স্বপন, গাজী সোহান, ফারুক আহমেদ, শিপলু, বিল্পব, সজিব, মাদকের মূল হোতা, ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর পটপরিবর্ত করে বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে সখ্যতা করে বিএনপি বনে যায়।  গাজী মনির এর নেতৃত্বে এ ব্যবসা পরিচালিত হয়, তারা প্রকাশ্যে পারিবারিক ভাবে বিএনপির লোক দাবি করে বেড়ায়। অথচ এরা সকলেই ছিল ডিবি ও পুলিশের ফর্মা।

মাদক মামলায় গ্রেফতারকৃত বি এন পি নেতা মোস্তফার ব্যাপারে চাঞ্চল্য তথ্য দিল এলাকাবাসী, জানাযায় মাদকের মুল চক্র এখনো গ্রেফতার হয়নি সন্ধ্য নামলেই গাজী বাড়ির আশেপাশে মাদক সেবন কারীরা ভিড় জমায়, জানাযায় পরিবারের পুরুষদের পাশাপাশি নারী ও শিশুরাও এ ব্যবসায়ে জড়িত, গাজী পরিবারের সেল্টারেই মাদক ব্যবসা করছে মোস্তাফা, গাজী স্বপন, গাজী সোহান, শিপলু, সজিব,উদয়, গাজী সানজু, বিল্পব ও মোস্তফা দেদারছে মাদক ব্যাবসা করেছে। গাজী পরিবার ৫ আগস্টের আগে ডিবি পুলিশ এর সোর্স হিসেবে কাজ করতো বহু বিএনপি ও জামায়াত নেতা ও অনুসারীদের তারা ধরিয়ে দিয়েছে, তাদের হাত থেকে বাদ যায়নি সাধারণ নিরীহ মানুষেরা, বিএনপি -জামায়াতের নেতা ও কর্মী বানিয়ে গ্রেপ্তার বাণিজ্য করে লাখ  লাখ টাকা আত্তসাধ করত, কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মাদক দিয়ে ধরিয়ে মামলা দিত, তাই এলাকার লোক জন ভয়ে চুপ করে আছে। মূলত তারা কোনো রাজনৈতিক দলের অনুসারী নয় সুবিধাভোগী ও নব্য রাজাকার।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি’র গাজী পরিবারের নিয়ন্ত্রনে মাদক ব্যাবসা, চাদাঁবাজি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

আপডেট সময় ১০:২৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :  সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির সাবেক নেতা মৃত গাজী ইসমাইল এর পরিবারের নিয়ন্ত্রণে  মাদক ব্যবসা, চাদাঁবাজি ও কিশোরগ্যাং সদস্যরা বেপরোয়া, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দলীয়ভাবে কঠোর অবস্থান নিলেও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সুযোগ সন্ধানী কিছু আওয়ামী লীগ নেতাদের বিএনপিতে পুনর্বাসন করার অভিযোগ উঠেছে। নাসিক ১নং ওয়ার্ডের তালতলা ক্লাব এলাকার কিছু আওয়ামীলীগ এর চামচা রাতারাতি বনে যায় বিএনপি’র নেতা। তারা বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করেই এলাকায় ফের নিয়ন্ত্রন করতে শুরু করেছে মাদক ব্যবসা, চাদাঁবাজি সহ কিশোর গ্যাংয়ের মতো বিভিন্ন অপকর্ম ।  অনেকেই ঘোলাটে পরিস্থিতিতে রঙ্গ বদল করে বিএনপিতে নিজের অবস্থান তৈরি করার চেষ্টা করেছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ের অনেক মাদক ব্যাবসায়ী, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজীতে জড়িত এই নব্য নেতারা। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াসিন ও আওয়মীলীগের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাজী আনোয়ারের ঘনিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা গাজী মনির , গাজী মাসুম ও আওয়ামী চাদাঁবাজ মৃত বাবুলের ছেলে গাজর স্বপন ও গাজী সোহান গংরা।

নাসিক ১ নং ওয়ার্ডের বিভিন্নস্থানে গাজী মনির, গাজী সোহান, গাজী স্বপন, গাজী সাজিদ,  শিপলু, ফারুক আহমেদ,  বিল্পব  সজিব হোসেন, সাফিন, উদয় সহ একাধিক অনুপ্রবেশকারী বর্তমানে বিএনপি’র পরিচয়ে এলাকায় রমরমা মাদক ব্যাবসা করে যাচ্ছে । বিগত সরকারের সময়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় তাদের ব্যাবসা পরিচালনা করলেও এখন ভোল পাল্টিয়ে তাদের নব্য বিএনপি সেজে তাদের অবৈধ ব্যাবসা অব্যাহত রেখেছে। কিছুদিন আগে তাদের ছত্রছায়ায় থাকা মাদক ব্যবসায়ী মোস্তফা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও তারা ধরা ছোয়ার বাহিরে।  গাজী মনির ও গাজর মাছুম আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নেতা এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নাসিক ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। গাজী মনির, গাজী মাসুম ও গাজী স্বপন, গাজী সোহান, ফারুক আহমেদ, শিপলু, বিল্পব, সজিব, মাদকের মূল হোতা, ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর পটপরিবর্ত করে বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে সখ্যতা করে বিএনপি বনে যায়।  গাজী মনির এর নেতৃত্বে এ ব্যবসা পরিচালিত হয়, তারা প্রকাশ্যে পারিবারিক ভাবে বিএনপির লোক দাবি করে বেড়ায়। অথচ এরা সকলেই ছিল ডিবি ও পুলিশের ফর্মা।

মাদক মামলায় গ্রেফতারকৃত বি এন পি নেতা মোস্তফার ব্যাপারে চাঞ্চল্য তথ্য দিল এলাকাবাসী, জানাযায় মাদকের মুল চক্র এখনো গ্রেফতার হয়নি সন্ধ্য নামলেই গাজী বাড়ির আশেপাশে মাদক সেবন কারীরা ভিড় জমায়, জানাযায় পরিবারের পুরুষদের পাশাপাশি নারী ও শিশুরাও এ ব্যবসায়ে জড়িত, গাজী পরিবারের সেল্টারেই মাদক ব্যবসা করছে মোস্তাফা, গাজী স্বপন, গাজী সোহান, শিপলু, সজিব,উদয়, গাজী সানজু, বিল্পব ও মোস্তফা দেদারছে মাদক ব্যাবসা করেছে। গাজী পরিবার ৫ আগস্টের আগে ডিবি পুলিশ এর সোর্স হিসেবে কাজ করতো বহু বিএনপি ও জামায়াত নেতা ও অনুসারীদের তারা ধরিয়ে দিয়েছে, তাদের হাত থেকে বাদ যায়নি সাধারণ নিরীহ মানুষেরা, বিএনপি -জামায়াতের নেতা ও কর্মী বানিয়ে গ্রেপ্তার বাণিজ্য করে লাখ  লাখ টাকা আত্তসাধ করত, কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মাদক দিয়ে ধরিয়ে মামলা দিত, তাই এলাকার লোক জন ভয়ে চুপ করে আছে। মূলত তারা কোনো রাজনৈতিক দলের অনুসারী নয় সুবিধাভোগী ও নব্য রাজাকার।