ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাধারণ মানুষের মনে নেই নির্বাচনী তাপ উত্তাপ

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, খুলনা সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১২ জুন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে। নির্বাচনে এ পর্যন্ত মেয়র পদে ৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৫৯ জন। আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাওলানা আবদুল আওয়াল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও জাপা নেতা আব্দুল গফফার বিশ্বাস, স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান ও আগুয়ান-৭১ নামে একটি সংগঠন থেকে মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টি ইতিমধ্যে জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলামকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ছাড়া শক্ত কোনো প্রার্থী না থাকায় নগরবাসী মনে করছেন এবারও তিনি মেয়র নির্বাচিত হবে। তাছাড়া ওয়ার্ডগুলোতেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদেরই জয়জয়কার দেখা যাবে। তাই নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে তেমন কোনো তাপ উত্তাপ নেই। সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে এমনটাই ধারণা পাওয়া গেছে। নগরীর গগণ বাবু রোডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম ও বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আরিফ হাসান চৌধুরি জানান বলেন, গত ২০১৮ এর নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল। সেই নির্বাচনটি বেশ জমে উঠেছিল। এবার বিএনপি মাঠে নেই। তাই নির্বাচনের সেই আমেজও নেই। বর্তমান মেয়রের বিপরীতে শক্ত কোনো প্রার্থী না থাকায় ধরেই নেয়া যাচ্ছে, আবারও তিনি মেয়র হবে। রেলিগেট এলকার গৃহবধূ আইরিন পারভীন আক্ষেপের সাথে বলেন, গতবার কেন্দ্রে ভোট দিতে যেতে পারিনি। এবার ভোট দিতে যাব কি না তা আগাম বলতে পারছি না। খালিশপুর ৯ নং ওয়ার্ড এলাকার ভোটার আলম খন্দকার বলেন, গত ৫ বছরে আমাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মুখ দেখতে পাইনি। এবারও তিনি দাঁড়াবেন। ভোট কাকে দেব তা নিয়ে ভাবছি না। নির্বাচন নিয়ে কোনো ভাবনা নেই আমাদের।
সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এখন ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। আগামী ১১ বা ১২ মে আমি পদত্যাগ করব। তারপর পুরোপুরি মাঠে প্রচারণায় নামব। আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করেছে। এ সরকারের আমলেই খুলনায় সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। তাই আমি বিশ্বাস করি, জনগণ ভোট দিয়ে নৌকার প্রার্থীকেই বিজয়ী করবে।’
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজি আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখি দল। সেই হিসাবে নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। কে নির্বাচনে এল আর কে এল না তা মুখ্য বিষয় নয়। জয়ের জন্য আমরা কাজ করছি।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন। সংসদীয় খুলনা ২ ও ৩ নিয়ে সিটি করপোরেশন এলাকা। ২০১৮ সালের ১৫ মে সর্বশেষ কেসিসি নির্বাচনে তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পান ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট। ওই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সাধারণ মানুষের মনে নেই নির্বাচনী তাপ উত্তাপ

আপডেট সময় ০৪:৪৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, খুলনা সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১২ জুন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে। নির্বাচনে এ পর্যন্ত মেয়র পদে ৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৫৯ জন। আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাওলানা আবদুল আওয়াল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও জাপা নেতা আব্দুল গফফার বিশ্বাস, স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান ও আগুয়ান-৭১ নামে একটি সংগঠন থেকে মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টি ইতিমধ্যে জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলামকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ছাড়া শক্ত কোনো প্রার্থী না থাকায় নগরবাসী মনে করছেন এবারও তিনি মেয়র নির্বাচিত হবে। তাছাড়া ওয়ার্ডগুলোতেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদেরই জয়জয়কার দেখা যাবে। তাই নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে তেমন কোনো তাপ উত্তাপ নেই। সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে এমনটাই ধারণা পাওয়া গেছে। নগরীর গগণ বাবু রোডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম ও বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আরিফ হাসান চৌধুরি জানান বলেন, গত ২০১৮ এর নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল। সেই নির্বাচনটি বেশ জমে উঠেছিল। এবার বিএনপি মাঠে নেই। তাই নির্বাচনের সেই আমেজও নেই। বর্তমান মেয়রের বিপরীতে শক্ত কোনো প্রার্থী না থাকায় ধরেই নেয়া যাচ্ছে, আবারও তিনি মেয়র হবে। রেলিগেট এলকার গৃহবধূ আইরিন পারভীন আক্ষেপের সাথে বলেন, গতবার কেন্দ্রে ভোট দিতে যেতে পারিনি। এবার ভোট দিতে যাব কি না তা আগাম বলতে পারছি না। খালিশপুর ৯ নং ওয়ার্ড এলাকার ভোটার আলম খন্দকার বলেন, গত ৫ বছরে আমাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মুখ দেখতে পাইনি। এবারও তিনি দাঁড়াবেন। ভোট কাকে দেব তা নিয়ে ভাবছি না। নির্বাচন নিয়ে কোনো ভাবনা নেই আমাদের।
সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এখন ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। আগামী ১১ বা ১২ মে আমি পদত্যাগ করব। তারপর পুরোপুরি মাঠে প্রচারণায় নামব। আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করেছে। এ সরকারের আমলেই খুলনায় সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। তাই আমি বিশ্বাস করি, জনগণ ভোট দিয়ে নৌকার প্রার্থীকেই বিজয়ী করবে।’
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজি আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখি দল। সেই হিসাবে নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। কে নির্বাচনে এল আর কে এল না তা মুখ্য বিষয় নয়। জয়ের জন্য আমরা কাজ করছি।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন। সংসদীয় খুলনা ২ ও ৩ নিয়ে সিটি করপোরেশন এলাকা। ২০১৮ সালের ১৫ মে সর্বশেষ কেসিসি নির্বাচনে তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পান ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট। ওই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন।