ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি কোন দলকে বিএনপিতে জায়গা দেওয়া হবে না বললেন,আজহারুল ইসলাম মান্নান Logo যাদের জীবিকা শুধু রাজনীতি, তাদের মূল পেশা দুর্নীতি Logo পুকুরের পানি সব ঘোলা করে ফেলেছি : পরীমণি Logo ভিনিসিয়ুসের গোলে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের জয় Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কমনওয়েলথ মহাসচিবের সাক্ষাৎ Logo ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক ১৩ জুন, স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে সংশয় Logo ট্রাম্পের অভিবাসন অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ: লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ জারি Logo ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেস্টার অভিযোগে সেই ২ পুলিশ সদস্য ক্লোজড Logo ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর সোনারগাঁয়ের পর্যটনকেন্দ্র Logo রূপগঞ্জে বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

আড়াইহাজার থানার ওসির ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগে দু’টি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার পৃথক ভাবে কমিটি দু’টি গঠন করেন।

এরমধ্যে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির নির্দেশে এক সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের নির্দেশে ২ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। দু’টি কমিটিই শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন।

গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আড়াইহাজার থানার ওসি মো. এনায়েত হোসেনের ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। এতে উপজেলার পাশাপাশি জেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

গোটা উপজেলায় শুরু হয় সমালোনা। সাধারণ মানুষকে বলতে শোনা যায়, ৫ আগষ্টের মতো বড় ঘটনার পরেও পুলিশের চরিত্র পাল্টায়নি।

এদিকে এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে শনিবার সকাল ১১টায় সাংবাদিকদের থানায় ডেকে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন ওসি এনায়েত হোসেন। তিনি ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘২-৩ মাস আগে খাগকান্দা এলাকায় কিস্তির টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।

এ নিয়ে ভুক্তভোগী এক নারী থানায় অভিযোগ করেন। তবে ঘটনাটি অনেকদিন আগের হওয়ায় ভুক্তভোগীদের নাম ভুলে গেছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন, মাসুম শিকারীসহ আরও কয়েকজনের সামনে পাওনাদারের আনুমানিক দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আমার হাতে দেওয়া হয়। সেই টাকা ভুক্তভোগীকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে সেই টাকার পরিমান কম দেওয়ায় আমি বলেছি, এত অল্প টাকায় মানসম্মান থাকে না। সেই ঘটনাকে কে বা কারা ভিন্ন রূপ দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে।’

এদিকে শনিবার নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি আড়াইহাজার থানায় গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। তদন্ত কমিটির প্রধান নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তাসমিন আক্তার বলেন, তদন্ত শুরু করেছি।

এখনও শেষ করতে পারিনি। তদন্ত সম্পন্ন হলে প্রতিবেদন পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেবো। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন হওয়ায় তিনি এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, আড়াইহাজার থানায় ঘুষ ব্যতিত সাধারণ ডায়েরীও করা যায় না। সাধারণ ডায়েরী করতে হলেও ওসিকে নিদ্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতে হয়। মামলা করতে গেলে সেই টাকার পরিমান আরও বেড়ে যায়।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি কোন দলকে বিএনপিতে জায়গা দেওয়া হবে না বললেন,আজহারুল ইসলাম মান্নান

আড়াইহাজার থানার ওসির ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেট সময় ১০:৩৩:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগে দু’টি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার পৃথক ভাবে কমিটি দু’টি গঠন করেন।

এরমধ্যে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির নির্দেশে এক সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের নির্দেশে ২ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। দু’টি কমিটিই শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন।

গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আড়াইহাজার থানার ওসি মো. এনায়েত হোসেনের ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। এতে উপজেলার পাশাপাশি জেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

গোটা উপজেলায় শুরু হয় সমালোনা। সাধারণ মানুষকে বলতে শোনা যায়, ৫ আগষ্টের মতো বড় ঘটনার পরেও পুলিশের চরিত্র পাল্টায়নি।

এদিকে এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে শনিবার সকাল ১১টায় সাংবাদিকদের থানায় ডেকে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন ওসি এনায়েত হোসেন। তিনি ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘২-৩ মাস আগে খাগকান্দা এলাকায় কিস্তির টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।

এ নিয়ে ভুক্তভোগী এক নারী থানায় অভিযোগ করেন। তবে ঘটনাটি অনেকদিন আগের হওয়ায় ভুক্তভোগীদের নাম ভুলে গেছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন, মাসুম শিকারীসহ আরও কয়েকজনের সামনে পাওনাদারের আনুমানিক দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আমার হাতে দেওয়া হয়। সেই টাকা ভুক্তভোগীকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে সেই টাকার পরিমান কম দেওয়ায় আমি বলেছি, এত অল্প টাকায় মানসম্মান থাকে না। সেই ঘটনাকে কে বা কারা ভিন্ন রূপ দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে।’

এদিকে শনিবার নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি আড়াইহাজার থানায় গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। তদন্ত কমিটির প্রধান নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তাসমিন আক্তার বলেন, তদন্ত শুরু করেছি।

এখনও শেষ করতে পারিনি। তদন্ত সম্পন্ন হলে প্রতিবেদন পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেবো। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন হওয়ায় তিনি এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, আড়াইহাজার থানায় ঘুষ ব্যতিত সাধারণ ডায়েরীও করা যায় না। সাধারণ ডায়েরী করতে হলেও ওসিকে নিদ্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতে হয়। মামলা করতে গেলে সেই টাকার পরিমান আরও বেড়ে যায়।