ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবরের সেঞ্চুরির পর রউফের বোলিং তোপে পাকিস্তানের সহজ জয়

বাবরের সেঞ্চুরির পর রউফের বোলিং তোপে ঘরের মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে সহজেই হারাল পাকিস্তান। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে ৩৮ রানে জিতেছে পাকিস্তান। ১৯২ রান তাড়ায় নিউ জিল্যান্ড থেমেছে ১৫৪ রানে। এই জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান।

দারুণ জয়ে বড় অবদান বাবরের। ৫৮ বলে ১১ চার ও তিন ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার দ্বিতীয় পঞ্চাশ আসে কেবল ২২ বলে। অন্যদিকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গতিময় এই পেসার নেন ৪ উইকেট। প্রথম ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৮ রানে, এবার লেগেছে ২৭ রান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে লড়াই করেন কেবল মার্ক চাপম্যান। ৪০ বলে চারটি করে চার ও ছক্কায় তিনি অপরাজিত থাকেন ৬৫ রানে।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানকে ভালো শুরু এনে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর। আগের ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে ফেরা দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান গড়েন ৯৯ রানের জুটি। এতে অগ্রণী ছিলেন কিপার-ব্যাটসম্যান রিজওয়ান। ৩২ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে শুরুর জুটির রান, সেখানে তার অবদান ছিল ২৭। একই ছন্দে এগিয়ে গিয়ে ৩২ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি।

পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে পাকিস্তান তোলে ৫৯ রান। ১০ ওভারে বাবর ও রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৯৮ রান। রিজওয়ানের বিদায়ে একাদশ ওভারে ভাঙে শুরুর জুটি। এই কিপার ব্যাটসম্যান ছয় চার ও এক ছক্কায় ৩৪ বলে করেন ৫০। অমন শুরুর জুটির পর দুইশ রান অসম্ভব কিছু ছিল না।

কিন্তু এরপর ছোটখাটো এক ধসে পথ হারাতে বসেছিল পাকিস্তান। ৬ রানের মধ্যে রিজওয়ানসহ ফেরেন চার ব্যাটসম্যান। ফখর জামান ও সাইম আইয়ুব খুলতে পারেননি রানের খাতা। ২ রান করে কট বিহাইন্ড হন ইমাদ ওয়াসিম।

বিনা উইকেটে ৯৯ থেকে পাকিস্তানের স্কোর পরিণত হয় ১০৫। সেখান থেকে স্বাগতিকদের কক্ষপথে ফেরান বাবর ও ইফতিখার আহমেদ। ৩৬ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে বাবর বাড়ান রানের গতি। অধিনায়ককে দারুণ সঙ্গ দেন ইফতিখার। তাদের জুটিতে পঞ্চাশ আসে কেবল ২৮ বলে।

১৯তম ওভার শেষে বাবরের রান ছিল ৮৪। প্রথম বলে তিনি সিঙ্গেল নিলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু পরের বলেই ইফতিখার প্রান্ত বদল করলে স্ট্রাইক পান পাকিস্তান অধিনায়ক। দারুণ এক শটে জেমস নিশামকে ছক্কা মেরে পৌঁছান নব্বইয়ের ঘরে। পরের বলে দুই রান নিয়ে ধর রাখেন স্ট্রাইক। সেঞ্চুরির জন্য তখনও দরকার ছিল ৭ রান। বাবার টানা দুটি চার মেরে পৌঁছে যান তিন অঙ্কের কাঙ্ক্ষিত সীমানায়।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাবরের তিনটির বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল ভারতের রোহিত শর্মার (চারটি)। অবিচ্ছিন্ন ৮৭ রানের জুটিতে ইফতিখারের অবদান তিন ছক্কা ও এক চারে ১৯ বলে ৩৩। বাবর আজম ৫৮ বলে ১১টি বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন। আগামী সোমবার একই মাঠে সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাঠে নামবে পাকিস্তান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

বাবরের সেঞ্চুরির পর রউফের বোলিং তোপে পাকিস্তানের সহজ জয়

আপডেট সময় ০৪:৪১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

বাবরের সেঞ্চুরির পর রউফের বোলিং তোপে ঘরের মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে সহজেই হারাল পাকিস্তান। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে ৩৮ রানে জিতেছে পাকিস্তান। ১৯২ রান তাড়ায় নিউ জিল্যান্ড থেমেছে ১৫৪ রানে। এই জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান।

দারুণ জয়ে বড় অবদান বাবরের। ৫৮ বলে ১১ চার ও তিন ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার দ্বিতীয় পঞ্চাশ আসে কেবল ২২ বলে। অন্যদিকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গতিময় এই পেসার নেন ৪ উইকেট। প্রথম ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৮ রানে, এবার লেগেছে ২৭ রান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে লড়াই করেন কেবল মার্ক চাপম্যান। ৪০ বলে চারটি করে চার ও ছক্কায় তিনি অপরাজিত থাকেন ৬৫ রানে।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানকে ভালো শুরু এনে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর। আগের ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে ফেরা দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান গড়েন ৯৯ রানের জুটি। এতে অগ্রণী ছিলেন কিপার-ব্যাটসম্যান রিজওয়ান। ৩২ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে শুরুর জুটির রান, সেখানে তার অবদান ছিল ২৭। একই ছন্দে এগিয়ে গিয়ে ৩২ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি।

পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে পাকিস্তান তোলে ৫৯ রান। ১০ ওভারে বাবর ও রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৯৮ রান। রিজওয়ানের বিদায়ে একাদশ ওভারে ভাঙে শুরুর জুটি। এই কিপার ব্যাটসম্যান ছয় চার ও এক ছক্কায় ৩৪ বলে করেন ৫০। অমন শুরুর জুটির পর দুইশ রান অসম্ভব কিছু ছিল না।

কিন্তু এরপর ছোটখাটো এক ধসে পথ হারাতে বসেছিল পাকিস্তান। ৬ রানের মধ্যে রিজওয়ানসহ ফেরেন চার ব্যাটসম্যান। ফখর জামান ও সাইম আইয়ুব খুলতে পারেননি রানের খাতা। ২ রান করে কট বিহাইন্ড হন ইমাদ ওয়াসিম।

বিনা উইকেটে ৯৯ থেকে পাকিস্তানের স্কোর পরিণত হয় ১০৫। সেখান থেকে স্বাগতিকদের কক্ষপথে ফেরান বাবর ও ইফতিখার আহমেদ। ৩৬ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে বাবর বাড়ান রানের গতি। অধিনায়ককে দারুণ সঙ্গ দেন ইফতিখার। তাদের জুটিতে পঞ্চাশ আসে কেবল ২৮ বলে।

১৯তম ওভার শেষে বাবরের রান ছিল ৮৪। প্রথম বলে তিনি সিঙ্গেল নিলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু পরের বলেই ইফতিখার প্রান্ত বদল করলে স্ট্রাইক পান পাকিস্তান অধিনায়ক। দারুণ এক শটে জেমস নিশামকে ছক্কা মেরে পৌঁছান নব্বইয়ের ঘরে। পরের বলে দুই রান নিয়ে ধর রাখেন স্ট্রাইক। সেঞ্চুরির জন্য তখনও দরকার ছিল ৭ রান। বাবার টানা দুটি চার মেরে পৌঁছে যান তিন অঙ্কের কাঙ্ক্ষিত সীমানায়।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাবরের তিনটির বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল ভারতের রোহিত শর্মার (চারটি)। অবিচ্ছিন্ন ৮৭ রানের জুটিতে ইফতিখারের অবদান তিন ছক্কা ও এক চারে ১৯ বলে ৩৩। বাবর আজম ৫৮ বলে ১১টি বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন। আগামী সোমবার একই মাঠে সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাঠে নামবে পাকিস্তান।