ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নগদের গ্রাহকদের অর্থ ঝুঁকিতে: বাংলাদেশ ব্যাংক Logo নাঃগঞ্জ মহানগর জিসাস ও জেলা জিসাস এর উদ্যোগে জিয়াউর রহমান শাহাদাত বার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠান ও খাবার বিতরন Logo শহীদ জিয়া’র ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ১৫নং ওয়ার্ড নায়ণগঞ্জ মহানগর ও এলাকাবাসী উদ্যোগে মিলাদ, দোয়া Logo আনন্দমুখর সাহিত্য পত্রিকা ও পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠিত হলো কলকাতা বঙ্গ সন্মাননা -২০২৫ Logo রূপগঞ্জ ৪ দিনের টানা বর্ষণে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি Logo হাসিনার বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার আজ Logo জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে আপিল বিভাগের নির্দেশ Logo গাজায় আরও ৬০ মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে প্রায় ৫৪ হাজার ৪০০ Logo ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতল পিএসজি Logo সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য শিক্ষার্থীকে খয়রাতি মার্ক দেয়া হবে না : শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার উপকারিতা

ওটস একটি ক্লাসিক ব্রেকফাস্টের প্রিয় খাবার, কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি কেবল সুস্বাদুই নয়? এই ছোট ছোট শস্যগুলোতে প্রচুর পুষ্টি থাকে যা আপনাকে সুস্থ, উজ্জীবিত এবং সারা দিন ভালো বোধ করতে সাহায্য করতে পারে। ওটমিল, স্মুদি বা বেকড খাবার- যেভাবেই উপভোগ করুন না কেন, ওটস আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় স্থান পাওয়ার যোগ্য।

ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন কর্তৃক প্রকাশিত ‌‌‘ওটসের স্বাস্থ্য-উপকারী বৈশিষ্ট্যের পর্যালোচনা’ শীর্ষক একটি গবেষণা অনুসারে, এতে বিটা-গ্লুকান রয়েছে যা গ্লুকোজ শোষণকে ধীর করে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য ওটসকে উপকারী করে তোলে। হোল গ্রেইনস কাউন্সিলের মতে, ওটসের নিয়মিত ব্যবহার রক্তচাপ কমানোর সঙ্গে সম্পর্কিত, যা হৃদরোগের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অবদান রাখে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন ওটস কেন খাবেন-

১. পেট ভরিয়ে তৃপ্ত রাখে
ওটসে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেট ভরিয়ে রাখতে এবং তৃপ্ত বোধ করতে সাহায্য করে। এটি দুর্দান্ত ব্রেকফাস্ট হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি সারা সকাল ক্ষুধা নিবারণ করতে চান। ওটসের ফাইবার ধীরে ধীরে হজম হয়, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে এবং মধ্যাহ্নে খাবারের ক্ষুধা রোধ করে।

২. ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ

ওটস হলো শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একটি পাওয়ার হাউস। এতে প্রচুর আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হাড়কে শক্তিশালী করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। দৈনন্দিন রুটিনে ওটস যোগ করলে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে পারে।

 

৩. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে

ওটস হজম স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত। ওটসে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার নিয়মিত মলত্যাগকে উৎসাহিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে হজম ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে সচল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে, আপনাকে হালকা এবং আরামদায়ক বোধ করতে কাজ করে। ওটস স্বাস্থ্যকর হজমে সহায়তা করার একটি প্রাকৃতিক উপায়।

৪. হৃদরোগ দূরে রাখে

ওটসে বিটা-গ্লুকান থাকে, একটি দ্রবণীয় ফাইবার যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল কমিয়ে সুস্থ হৃদযন্ত্র বজায় রাখতে কাজ করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ওটসকে আপনার খাদ্যতালিকায় একটি সহজ এবং কার্যকর সংযোজন করে নিন।

৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

ওটসের ফাইবার আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রেখে অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। যেহেতু ওটসের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, তাই এটি রক্তে শর্করার বৃদ্ধি ঘটায় না। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

নগদের গ্রাহকদের অর্থ ঝুঁকিতে: বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার উপকারিতা

আপডেট সময় ০১:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

ওটস একটি ক্লাসিক ব্রেকফাস্টের প্রিয় খাবার, কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি কেবল সুস্বাদুই নয়? এই ছোট ছোট শস্যগুলোতে প্রচুর পুষ্টি থাকে যা আপনাকে সুস্থ, উজ্জীবিত এবং সারা দিন ভালো বোধ করতে সাহায্য করতে পারে। ওটমিল, স্মুদি বা বেকড খাবার- যেভাবেই উপভোগ করুন না কেন, ওটস আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় স্থান পাওয়ার যোগ্য।

ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন কর্তৃক প্রকাশিত ‌‌‘ওটসের স্বাস্থ্য-উপকারী বৈশিষ্ট্যের পর্যালোচনা’ শীর্ষক একটি গবেষণা অনুসারে, এতে বিটা-গ্লুকান রয়েছে যা গ্লুকোজ শোষণকে ধীর করে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য ওটসকে উপকারী করে তোলে। হোল গ্রেইনস কাউন্সিলের মতে, ওটসের নিয়মিত ব্যবহার রক্তচাপ কমানোর সঙ্গে সম্পর্কিত, যা হৃদরোগের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অবদান রাখে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন ওটস কেন খাবেন-

১. পেট ভরিয়ে তৃপ্ত রাখে
ওটসে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেট ভরিয়ে রাখতে এবং তৃপ্ত বোধ করতে সাহায্য করে। এটি দুর্দান্ত ব্রেকফাস্ট হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি সারা সকাল ক্ষুধা নিবারণ করতে চান। ওটসের ফাইবার ধীরে ধীরে হজম হয়, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে এবং মধ্যাহ্নে খাবারের ক্ষুধা রোধ করে।

২. ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ

ওটস হলো শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একটি পাওয়ার হাউস। এতে প্রচুর আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হাড়কে শক্তিশালী করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। দৈনন্দিন রুটিনে ওটস যোগ করলে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে পারে।

 

৩. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে

ওটস হজম স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত। ওটসে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার নিয়মিত মলত্যাগকে উৎসাহিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে হজম ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে সচল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে, আপনাকে হালকা এবং আরামদায়ক বোধ করতে কাজ করে। ওটস স্বাস্থ্যকর হজমে সহায়তা করার একটি প্রাকৃতিক উপায়।

৪. হৃদরোগ দূরে রাখে

ওটসে বিটা-গ্লুকান থাকে, একটি দ্রবণীয় ফাইবার যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল কমিয়ে সুস্থ হৃদযন্ত্র বজায় রাখতে কাজ করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ওটসকে আপনার খাদ্যতালিকায় একটি সহজ এবং কার্যকর সংযোজন করে নিন।

৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

ওটসের ফাইবার আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রেখে অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। যেহেতু ওটসের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, তাই এটি রক্তে শর্করার বৃদ্ধি ঘটায় না। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।