ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী Logo মায়ামিতে খেলতে চায় বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদের আপত্তি Logo ছেলের জন্মদিনে পরীমণির জমকালো আয়োজন, রাখলেন চমক! Logo বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল, কিছু উদ্বেগ রয়ে গেছে Logo আড়াইহাজারে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪ Logo সিদ্ধিরগঞ্জে মহাসড়কে বাস উল্টে আহত ৩ Logo শিক্ষক কর্তৃক ৪১ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত, সাংবাদিকদের হাতুড়ি পেটা Logo মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান মান্নান ভূঁইয়াকে শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠকের পুরস্কার তুলে দিলেন জেলা প্রশাসক Logo জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে সারা বাংলাদেশে ১ম স্থান এবং শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদক পেলেন আল সাজিদুল ইসলাম Logo বন্দরে ট্রাক বোজাই রড ডাকাতি’ তালতলা মনারবাড়ি এলাকায় এডভোকেট কাউসারের চুনা ফ্যাক্টরি গোডাউন থেকে উদ্ধার

নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার দেড় শতাধিক যাত্রী, নিহত ২৭ জঙ্গি

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে ট্রেনে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি দেড় শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় অভিযানে নিহত জঙ্গিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে।

এছাড়া সর্বশেষ জঙ্গিকে নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার (১২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।

এর আগে বেলুচিস্তানের বোলান জেলায় সন্ত্রাসীরা জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ যাত্রীদের জিম্মি করে। নিরাপত্তা সূত্রের মতে, ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে ৯ টি বগিতে ট্রেনটি কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়ার রাজধানী পেশোয়ার যাওয়ার পথে হামলার শিকার হয়।

জিও নিউজ বলছে, নিরাপত্তা বাহিনী বেলুচিস্তানের বোলান জেলায় হামলার শিকার জাফর এক্সপ্রেসে থাকা ১৫৫ জন জিম্মিকে সফলভাবে মুক্ত করেছে এবং ২৭ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে। এছাড়া শেষ জঙ্গিকে পরাজিত না করা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

তবে ট্রেনটিতে ঠিক কত সংখ্যক সশস্ত্র জঙ্গি অবস্থান করছে তা এখনও অজানা। নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, অবশিষ্ট জিম্মিদের উদ্ধারের জন্য নিরাপত্তা সদস্যরা অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।

এর আগে, রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, বুধবার ভোরে জাফর এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার হওয়া ৫৭ জন যাত্রীকে কোয়েটায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, আর ২৩ জন মাচেতে অবস্থান করছেন।

নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ট্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করার পর জঙ্গিরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া আহত ১৭ জন যাত্রীকে জরুরি চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তারা জানিয়েছে, হামলার খবর পেয়ে বেলুচিস্তান প্রদেশের দুর্গম ভূখণ্ড অতিক্রম করে নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি ঘিরে ফেলে। আরও বলা হয়েছে, চ্যালেঞ্জিং পথ থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করার জন্য বেলুচিস্তানের বোলান জেলার মুশকাফ এলাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

সূত্র আরও জানায়, আক্রমণকারীরা আফগানিস্তানের একজন মাস্টারমাইন্ডসহ আন্তর্জাতিক হ্যান্ডলারদের সাথে যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে এবং নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। যার ফলে পাল্টা অভিযানে চরম সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর।

আক্রমণকারীরা ট্রেনে হামলা চালানোর আগে রেললাইনে বোমা হামলা চালায় এবং লোকোমোটিভের ওপর গুলিবর্ষণ করে, যার ফলে চালক আহত হন। আফগানিস্তান-ইরান সীমান্তের কাছে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে একটি টানেলের ঠিক আগে ট্রেনটির ওপর হামলার এই ঘটনা ঘটে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার দেড় শতাধিক যাত্রী, নিহত ২৭ জঙ্গি

আপডেট সময় ১১:৩৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে ট্রেনে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি দেড় শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় অভিযানে নিহত জঙ্গিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে।

এছাড়া সর্বশেষ জঙ্গিকে নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার (১২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।

এর আগে বেলুচিস্তানের বোলান জেলায় সন্ত্রাসীরা জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ যাত্রীদের জিম্মি করে। নিরাপত্তা সূত্রের মতে, ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে ৯ টি বগিতে ট্রেনটি কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়ার রাজধানী পেশোয়ার যাওয়ার পথে হামলার শিকার হয়।

জিও নিউজ বলছে, নিরাপত্তা বাহিনী বেলুচিস্তানের বোলান জেলায় হামলার শিকার জাফর এক্সপ্রেসে থাকা ১৫৫ জন জিম্মিকে সফলভাবে মুক্ত করেছে এবং ২৭ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে। এছাড়া শেষ জঙ্গিকে পরাজিত না করা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

তবে ট্রেনটিতে ঠিক কত সংখ্যক সশস্ত্র জঙ্গি অবস্থান করছে তা এখনও অজানা। নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, অবশিষ্ট জিম্মিদের উদ্ধারের জন্য নিরাপত্তা সদস্যরা অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।

এর আগে, রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, বুধবার ভোরে জাফর এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার হওয়া ৫৭ জন যাত্রীকে কোয়েটায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, আর ২৩ জন মাচেতে অবস্থান করছেন।

নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ট্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করার পর জঙ্গিরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া আহত ১৭ জন যাত্রীকে জরুরি চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তারা জানিয়েছে, হামলার খবর পেয়ে বেলুচিস্তান প্রদেশের দুর্গম ভূখণ্ড অতিক্রম করে নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি ঘিরে ফেলে। আরও বলা হয়েছে, চ্যালেঞ্জিং পথ থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করার জন্য বেলুচিস্তানের বোলান জেলার মুশকাফ এলাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

সূত্র আরও জানায়, আক্রমণকারীরা আফগানিস্তানের একজন মাস্টারমাইন্ডসহ আন্তর্জাতিক হ্যান্ডলারদের সাথে যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে এবং নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। যার ফলে পাল্টা অভিযানে চরম সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর।

আক্রমণকারীরা ট্রেনে হামলা চালানোর আগে রেললাইনে বোমা হামলা চালায় এবং লোকোমোটিভের ওপর গুলিবর্ষণ করে, যার ফলে চালক আহত হন। আফগানিস্তান-ইরান সীমান্তের কাছে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে একটি টানেলের ঠিক আগে ট্রেনটির ওপর হামলার এই ঘটনা ঘটে।