ঢাকা , মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo যাত্রীবেশে মাদক পাচারকালে সিদ্ধিরগঞ্জে নারীসহ গ্রেপ্তার ২, ইয়াবা উদ্ধার Logo ফতুল্লায় গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে খামারির মৃত্যু Logo বন্দরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাড়ি ডাকাতি টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ Logo সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইকারী আলমগীর গংদের আক্রমনের শিকার গণপরিবহন নেতা সবুজ Logo সোনারগাঁয়ে পৃথক অভিযানে ডাকাত চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১ Logo ফতুল্লা হাজীগঞ্জ মুলিবাঁশ এলাকায় মোটা অংকের টাকায় একাধিক ডাইংয়ে তিতাসের অবৈধ সংযোগ Logo ড. ইউনূসের সফর বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার সম্পর্ক আরও জোরদার করবে Logo তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত, ধসে পড়েছে বহু ভবন Logo সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির চাঁদাবাজ দুই নেতা বহিস্কার Logo বন্দরে ৩০ লাখ টাকা ছিনতাই, ৩ ছিনতাইকারী আটক

জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০.৭২ শতাংশ

খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশি থাকায় গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে চাপে রয়েছেন। টানা ১০ মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপর রয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। বিবিএস তার প্রতিবেদনে বলছে, গত বছরের মার্চের পর খাদ্য মূল্যস্ফীতি আর এক অঙ্কের ঘরে নামেনি। সর্বশেষ গত মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিলো সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। প্রতিবেদনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দীর্ঘ সময় ধরে দুই অঙ্কের ওপর থাকার তথ্য উঠে আসে।

এদিকে তিন মাস পর সার্বিক মূল্যস্ফীতি এক অঙ্কের ঘরে নেমেছে। বিবিএসের সর্বশেষ হিসাবে, গত জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে। ডিসেম্বরে এই হার ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এর আগে গত সেপ্টেম্বরেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে ছিল।

মূল্যস্ফীতি একধরনের করের মতো। ধরুন, আপনার প্রতি মাসে আয়ের পুরোটাই সংসার চালাতে খরচ হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ যদি জিনিসপত্রের দাম বাড়ে এবং সেই অনুযায়ী আয় না বাড়ে, তবে আপনাকে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হবে। তা না হলে খাবার, কাপড়চোপড়, যাতায়াতসহ বিভিন্ন খাতে খরচ কাটছাঁট করতে হবে। মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধি বা আয় কম হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। প্রকৃত আয় কমে যায়।

জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশের মানে হলো- ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবা কিনতে যদি ১০০ টাকা খরচ হয়, গত জানুয়ারিতে সেই খরচ বেড়ে ১০৯ টাকা ৯৪ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রতি ১০০ টাকায় খরচ বেড়েছে ৯ টাকায় ৯৪ পয়সা।

গত ছয় মাসে চাল, আলু, পেঁয়াজ, মাছ-মাংস, ডিম ইত্যাদির দাম বেড়েছে। ২০২৪ সালে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ভুগেছে। গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষের সংসার চালানোই তাতে কঠিন হয়ে পড়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

যাত্রীবেশে মাদক পাচারকালে সিদ্ধিরগঞ্জে নারীসহ গ্রেপ্তার ২, ইয়াবা উদ্ধার

জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০.৭২ শতাংশ

আপডেট সময় ১১:২২:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশি থাকায় গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে চাপে রয়েছেন। টানা ১০ মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপর রয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। বিবিএস তার প্রতিবেদনে বলছে, গত বছরের মার্চের পর খাদ্য মূল্যস্ফীতি আর এক অঙ্কের ঘরে নামেনি। সর্বশেষ গত মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিলো সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। প্রতিবেদনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দীর্ঘ সময় ধরে দুই অঙ্কের ওপর থাকার তথ্য উঠে আসে।

এদিকে তিন মাস পর সার্বিক মূল্যস্ফীতি এক অঙ্কের ঘরে নেমেছে। বিবিএসের সর্বশেষ হিসাবে, গত জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে। ডিসেম্বরে এই হার ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এর আগে গত সেপ্টেম্বরেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে ছিল।

মূল্যস্ফীতি একধরনের করের মতো। ধরুন, আপনার প্রতি মাসে আয়ের পুরোটাই সংসার চালাতে খরচ হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ যদি জিনিসপত্রের দাম বাড়ে এবং সেই অনুযায়ী আয় না বাড়ে, তবে আপনাকে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হবে। তা না হলে খাবার, কাপড়চোপড়, যাতায়াতসহ বিভিন্ন খাতে খরচ কাটছাঁট করতে হবে। মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধি বা আয় কম হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। প্রকৃত আয় কমে যায়।

জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশের মানে হলো- ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবা কিনতে যদি ১০০ টাকা খরচ হয়, গত জানুয়ারিতে সেই খরচ বেড়ে ১০৯ টাকা ৯৪ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রতি ১০০ টাকায় খরচ বেড়েছে ৯ টাকায় ৯৪ পয়সা।

গত ছয় মাসে চাল, আলু, পেঁয়াজ, মাছ-মাংস, ডিম ইত্যাদির দাম বেড়েছে। ২০২৪ সালে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ভুগেছে। গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষের সংসার চালানোই তাতে কঠিন হয়ে পড়েছে।