রূপগঞ্জে এলাকাবাসির তীব্র বাঁধা উপেক্ষা করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনা করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রাহাত উজ জামানের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরাব, মোগরাকুল চেয়ারম্যান পাড়া ও গোলাকান্দাইল এলাকায় চারটি স্পটে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময় একটি বেকারী কারখানাসহ চার কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকাগুলোর আড়াই হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাদ কতৃপক্ষ। এছাড়া অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নেয়ার অপরাধে ওই কারখানাকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ম্যানেকারকে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
অভিযানের শুরুতেই বরাব এলাকায় আল মদিনা বেকারী নামে একটি কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য্য করেন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট। তবে মালিকপক্ষ জরিমানা পরিশোধ না করায় অনাদায়ে সবুজ নামে কারখানার ম্যানেজারকে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
পরে মোগরাকুল চেয়ারম্যান পাড়া এলাকায় পাঁচশ’ বাড়ির এক হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অবে ওই এলাকায় অভিযানকালে স্থানীয় শাতাধিক নারী-পুরুষ বাসিন্দারা এসে বাঁধা দেন। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাদের বুঝিয়ে শান্ত করেন এবং বাঁধা উপেক্ষা করে অভিযান সম্পন্ন করেন।
এরপর গোলাকান্দাইল এলাকায় এক হাজার বাড়ির দেড় হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরে বিচ্ছিন্নকৃত সংযোগগুলো পুনরায় স্থাপন রোধে তিতাসের মূল বিতরণ সংযোগ স্থলগুলো স্থায়ীভাবে সীলগালা করে দেয় তিতাস কতৃপক্ষ। জব্দ করে বিপুল পরিমান অবৈধ পাইপ ও রাইজার।
আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় পরিচালিত এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন তিতাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপনন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন ও ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম সহ অন্যান্য কর্মকর্তা এবং প্রকৌশলীরা।
অভিযান শেষে তিতাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপনন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও দালাল চক্রের ছত্রছায়ায় রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাসের সংযোগ নেয়া হয়েছিল। ইতিপূর্বে আমরা দফায় দফায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি।আজকেও আমরা এলাকাবাসির বাঁধা উপেক্ষা করে অভিযান পরিচালনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা একটি বেকারি কারখানা সহ আড়াই হাজার আবাসিক অবৈধ চূলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। অবৈধ সংযোগ বন্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। এছাড়া অবৈধ সংযোগের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।