ঢাকা , সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃহত্তর স্বার্থে ভারতে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত

বৃহত্তর স্বার্থে ভারতে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমি মনে করি না, এটা বিরাট কোনো ক্ষতির কারণ হয়ে গেছে। এর প্রভাবে দীর্ঘ মেয়াদে এটি একটি পজিটিভ ইস্যু হবে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার গত ১১ অগাস্ট সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে তারপর ইলিশ বিদেশে রফতানি করা হবে। দেশের মানুষ যাতে ইলিশ পায় এবং দাম কমে, সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর রফতানি হবে সেটা হতে পারে না।

সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এমন বক্তব্যের পরও গত শনিবার আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের রফতানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে তিন হাজার টন ইলিশ রফতানি অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের বিশেষ অনুরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে এটা (রফতানির অনুমোদন) দিয়েছে। এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়, এতে আমি জোর করতে পারি না।’

এমন প্রেক্ষাপটে ইলিশ রফতানির বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘৫ লাখ ৩০ হাজার টন ইলিশ উৎপদান হয়, এর মধ্যে ৩ হাজার টন রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা উৎপাদনের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশও নয়। এ পরিমাণ চাঁদপুর ঘাটের একদিনের থেকেও কম। ভারত পার্শ্ববর্তী দেশ, তাদের ফ্যামিলি কান্ট্রি হিসেবে আমরা বলি। এ বিষয়ে যারা ইমোশনালি কথা বার্তা বলে বলুক। তবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমি বিভিন্ন মহল থেকে বাহবা পাচ্ছি। অনেকেই এটাকে ভালো সিদ্ধান্ত বলে জানাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইলিশ রফতানি করে বাণিজ্য দিক দিয়েও সুবিধা রয়েছে। কিছু বৈদেশিক মুদ্রা আসবে। এমটিতেই চোরা-চালান হয়ে চলে যাচ্ছে। সব সিদ্ধান্ত সবার সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে এমনটি নয়। সরকারে একজন হয়তো এর বিরোধী করলেও আরও উচ্চ পর্যায় বলেছে রফতানি করা যেতে পারে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে অনেক বিবেচনা করেই ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। হ্যাঁ কিছু লোকের অসুবিধা হতে পারে। তবে বিরাট কোনো ক্ষতির কারণ হবে না। কারণ দীর্ঘ মেয়াদে এটি একটি পজিটিভ ইস্যু হবে। আমরা প্রতিবেশী হিসেবে থাকতে চাই।’

আইএমএফ প্রতিনিধিদলের আসন্ন ঢাকা সফর নিয়ে আলোচনা

এদিকে আইএমএফ’র আসন্ন ঢাকা সফর নিয়ে আলোচনা করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফের প্রতিনিধি এসেছিলেন। সামনে আইএমএফের একটি মিশন আসবে। সেটার প্রস্তুতির বিষয়ে কতজন আসবে, কী করবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রোববার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে বৈঠক করেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বৃহত্তর স্বার্থে ভারতে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় ০৯:২২:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৃহত্তর স্বার্থে ভারতে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমি মনে করি না, এটা বিরাট কোনো ক্ষতির কারণ হয়ে গেছে। এর প্রভাবে দীর্ঘ মেয়াদে এটি একটি পজিটিভ ইস্যু হবে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার গত ১১ অগাস্ট সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে তারপর ইলিশ বিদেশে রফতানি করা হবে। দেশের মানুষ যাতে ইলিশ পায় এবং দাম কমে, সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর রফতানি হবে সেটা হতে পারে না।

সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এমন বক্তব্যের পরও গত শনিবার আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের রফতানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে তিন হাজার টন ইলিশ রফতানি অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের বিশেষ অনুরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে এটা (রফতানির অনুমোদন) দিয়েছে। এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়, এতে আমি জোর করতে পারি না।’

এমন প্রেক্ষাপটে ইলিশ রফতানির বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘৫ লাখ ৩০ হাজার টন ইলিশ উৎপদান হয়, এর মধ্যে ৩ হাজার টন রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা উৎপাদনের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশও নয়। এ পরিমাণ চাঁদপুর ঘাটের একদিনের থেকেও কম। ভারত পার্শ্ববর্তী দেশ, তাদের ফ্যামিলি কান্ট্রি হিসেবে আমরা বলি। এ বিষয়ে যারা ইমোশনালি কথা বার্তা বলে বলুক। তবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমি বিভিন্ন মহল থেকে বাহবা পাচ্ছি। অনেকেই এটাকে ভালো সিদ্ধান্ত বলে জানাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইলিশ রফতানি করে বাণিজ্য দিক দিয়েও সুবিধা রয়েছে। কিছু বৈদেশিক মুদ্রা আসবে। এমটিতেই চোরা-চালান হয়ে চলে যাচ্ছে। সব সিদ্ধান্ত সবার সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে এমনটি নয়। সরকারে একজন হয়তো এর বিরোধী করলেও আরও উচ্চ পর্যায় বলেছে রফতানি করা যেতে পারে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে অনেক বিবেচনা করেই ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। হ্যাঁ কিছু লোকের অসুবিধা হতে পারে। তবে বিরাট কোনো ক্ষতির কারণ হবে না। কারণ দীর্ঘ মেয়াদে এটি একটি পজিটিভ ইস্যু হবে। আমরা প্রতিবেশী হিসেবে থাকতে চাই।’

আইএমএফ প্রতিনিধিদলের আসন্ন ঢাকা সফর নিয়ে আলোচনা

এদিকে আইএমএফ’র আসন্ন ঢাকা সফর নিয়ে আলোচনা করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফের প্রতিনিধি এসেছিলেন। সামনে আইএমএফের একটি মিশন আসবে। সেটার প্রস্তুতির বিষয়ে কতজন আসবে, কী করবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রোববার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে বৈঠক করেন।