ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরি হারালেন সেনাবাহিনীর দুই লে. জেনারেল সাইফুল ও মজিবুর

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর চাকরি হারালেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের দুইজন কর্মকর্তা। তারা হলেন- ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) সাবেক কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের (আর্টডক) জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমান। এরমধ্যে সাইফুল আলমকে অকালীন বাধ্যতামূলক অবসর এবং মজিবুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সময়ের আলোকে নিশ্চিত করেছেন আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী।

জানা যায়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মজিবুর রহমান। সে হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তায় নিয়েজিত থাকা এবং তার সঙ্গে বেশ আস্থাভাজন হিসেবে ছিলেন তৎকালীন মেজর জেনারেল মজিবুর রহমান। পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদন্নোতি দিয়ে সেনাবাহিনীর কোয়াটার মাস্টার জেনারেল (কিএমজি) পদে নিযুক্ত করা হয় তাকে। এরপর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে জেনারেল মজিবুরকে আর্টডগের জিওসি করে ময়মনসিংহে পাঠানো হয়েছিল।

অপরদিকে অকালীন বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমকে গত ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পরে এনডিসির কমান্ড্যান্ট থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার চাকরি ন্যস্ত করা হয়। এনডিসি কমান্ড্যান্টের আগে তাকে সেনাবাহিনীর কিউএমজি করা হয়েছিল। সাইফুল আলম একসময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক ছিলেন।

আরো জানা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (বাংলাদেশ ব্যাংক) আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) গত ৪ সেপ্টেম্বর এই সেনা কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। ওই আদেশে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা অ্যাকাউন্ট এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাবও স্থগিত করা হয়।

এছাড়াও বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী এবং সদ্য সাবেক ডিজিএফআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হককে অকালীন বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর খবর বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও অফিসিয়ালি কেউ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

চাকরি হারালেন সেনাবাহিনীর দুই লে. জেনারেল সাইফুল ও মজিবুর

আপডেট সময় ০৫:৪৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর চাকরি হারালেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের দুইজন কর্মকর্তা। তারা হলেন- ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) সাবেক কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের (আর্টডক) জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমান। এরমধ্যে সাইফুল আলমকে অকালীন বাধ্যতামূলক অবসর এবং মজিবুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সময়ের আলোকে নিশ্চিত করেছেন আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী।

জানা যায়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মজিবুর রহমান। সে হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তায় নিয়েজিত থাকা এবং তার সঙ্গে বেশ আস্থাভাজন হিসেবে ছিলেন তৎকালীন মেজর জেনারেল মজিবুর রহমান। পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদন্নোতি দিয়ে সেনাবাহিনীর কোয়াটার মাস্টার জেনারেল (কিএমজি) পদে নিযুক্ত করা হয় তাকে। এরপর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে জেনারেল মজিবুরকে আর্টডগের জিওসি করে ময়মনসিংহে পাঠানো হয়েছিল।

অপরদিকে অকালীন বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমকে গত ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পরে এনডিসির কমান্ড্যান্ট থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার চাকরি ন্যস্ত করা হয়। এনডিসি কমান্ড্যান্টের আগে তাকে সেনাবাহিনীর কিউএমজি করা হয়েছিল। সাইফুল আলম একসময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক ছিলেন।

আরো জানা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (বাংলাদেশ ব্যাংক) আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) গত ৪ সেপ্টেম্বর এই সেনা কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। ওই আদেশে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা অ্যাকাউন্ট এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাবও স্থগিত করা হয়।

এছাড়াও বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী এবং সদ্য সাবেক ডিজিএফআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হককে অকালীন বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর খবর বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও অফিসিয়ালি কেউ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।