ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরে ইউসেপ একটি রোল মডেল: প্রতিমন্ত্রী রিমি

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ইউসেপ বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন ও চাকরির মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
শুরুতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। রোববার ইউসেপ গাজীপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয় প্রাঙ্গনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউসেপ বাংলাদেশের বোর্ড অব গভর্নরস এর চেয়ারপারসন ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও ইউসেপ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হাফিজ আহমেদ মজুমদার, ইউসেপ বোর্ড অব গভর্নরস এর সদস্য ও সাবেক সভাপতি ড. ওবায়দুর রব, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান, গাজীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার।

স্বাগত বক্তব্য দেন ইউসেপ বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক মূখ্য সচিব ড. মো. আব্দুল করিম।

সিমিন হোসেন রিমি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অংশগ্রহণকে সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউসেপ এর প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ৫০ ভাগই নারী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে কারিগরি শিক্ষার প্রসারকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছিলেন। এরই পৃষ্ঠপোষকতায় ইউসেপ বাংলাদেশ আজ এক অসাধারণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার জন্য অদক্ষ জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন, ইউসেপ এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, ইউসেপ বাংলাদেশ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলেছে এবং দেশে এমনকি বোয়েসেল এর মাধ্যমে বিদেশেও চাকরির ব্যবস্থা করছে।
ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও মূখ্য সচিব ড. মো. আবদুল করিম বলেন, বর্তমানে সারা দেশব্যাপী ইউসেপ বাংলাদেশ এর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। ইউসেপ বাংলাদেশর কার্যক্রম এখন ৮টি ভৌগলিক এলাকায় ৪১ টি ট্রেডকোর্স পরিচালিত হচ্ছে। এদের মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগ নারী শিক্ষার্থী।

বেসরকারি পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে অসমান্য অবদান রাখার মাধ্যমে ইউসেপ সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং ইউসেপ এর কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ। অনুষ্ঠানে দক্ষ ও অদক্ষ বেকার চাকুরিপ্রার্থী যুবাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরে ইউসেপ একটি রোল মডেল: প্রতিমন্ত্রী রিমি

আপডেট সময় ০৬:০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ইউসেপ বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন ও চাকরির মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
শুরুতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। রোববার ইউসেপ গাজীপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয় প্রাঙ্গনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউসেপ বাংলাদেশের বোর্ড অব গভর্নরস এর চেয়ারপারসন ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও ইউসেপ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হাফিজ আহমেদ মজুমদার, ইউসেপ বোর্ড অব গভর্নরস এর সদস্য ও সাবেক সভাপতি ড. ওবায়দুর রব, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান, গাজীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার।

স্বাগত বক্তব্য দেন ইউসেপ বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক মূখ্য সচিব ড. মো. আব্দুল করিম।

সিমিন হোসেন রিমি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অংশগ্রহণকে সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউসেপ এর প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ৫০ ভাগই নারী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে কারিগরি শিক্ষার প্রসারকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছিলেন। এরই পৃষ্ঠপোষকতায় ইউসেপ বাংলাদেশ আজ এক অসাধারণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার জন্য অদক্ষ জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন, ইউসেপ এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, ইউসেপ বাংলাদেশ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলেছে এবং দেশে এমনকি বোয়েসেল এর মাধ্যমে বিদেশেও চাকরির ব্যবস্থা করছে।
ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও মূখ্য সচিব ড. মো. আবদুল করিম বলেন, বর্তমানে সারা দেশব্যাপী ইউসেপ বাংলাদেশ এর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। ইউসেপ বাংলাদেশর কার্যক্রম এখন ৮টি ভৌগলিক এলাকায় ৪১ টি ট্রেডকোর্স পরিচালিত হচ্ছে। এদের মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগ নারী শিক্ষার্থী।

বেসরকারি পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে অসমান্য অবদান রাখার মাধ্যমে ইউসেপ সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং ইউসেপ এর কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ। অনুষ্ঠানে দক্ষ ও অদক্ষ বেকার চাকুরিপ্রার্থী যুবাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।