ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আড়াইহাজারের যুবকের মৃত্যু

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সড়ক দুর্ঘটনায় নুরুল ইসলাম (৩৫ ) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

নিহতের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের হাজিরটেক গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। তার বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে এবং এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সৌদি আরবের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৩ টায় রিয়াদের আল খারিজ নামক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নুরুল ইসলাম নিহতের খবরে পরিবার ও গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার লাশ বর্তমানে রিয়াদের সমুছি হাসপাতাল মর্গে আছে। এঘটনায় সৌদি পুলিশ ঘাতক মালবাহী ট্রাক ও চালককে আটক করেছে।

নিহতের সহকর্মী সৌদি প্রবাসী আরিফুল ইসলাম জানান, নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত সিডর কোম্পানিতে গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও নিজে গাড়ি চালিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বাহির হন।

পথে হঠাৎ একটি মালবাহী ট্রাক তার গাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে ঘটনাস্থলেই নুরুল ইসলাম নিহত হন। সৌদি আরবের আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এদিকে ছেলের শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন নুরুল ইসলামের বৃদ্ধা মা। কিছুক্ষণ পরপর উচ্চস্বরে চিৎকার ও বিলাপ করছিলেন তিনি।

স্বামীর শোকে পাথর হয়ে পড়েছেন নুরুল ইসলামের স্ত্রী। বোবা কান্নায় পাথর হয়ে গেছেন তিনি। কারো সঙ্গে কোনো কথা বলছেন না। বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন স্বজনরা।

তাদেরকে সান্ত্বনা দেয়ার সাধ্য যেন নেই কারো। শুধু বাড়ি নয়, গোটা গ্রামেই চলছে শোকের মাতম। সদা হাস্যোজ্জ্বল সদালাপি নিষ্ঠাবান নুরুল ইসলামের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউ।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আড়াইহাজারের যুবকের মৃত্যু

আপডেট সময় ১০:০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সড়ক দুর্ঘটনায় নুরুল ইসলাম (৩৫ ) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

নিহতের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের হাজিরটেক গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। তার বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে এবং এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সৌদি আরবের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৩ টায় রিয়াদের আল খারিজ নামক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নুরুল ইসলাম নিহতের খবরে পরিবার ও গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার লাশ বর্তমানে রিয়াদের সমুছি হাসপাতাল মর্গে আছে। এঘটনায় সৌদি পুলিশ ঘাতক মালবাহী ট্রাক ও চালককে আটক করেছে।

নিহতের সহকর্মী সৌদি প্রবাসী আরিফুল ইসলাম জানান, নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত সিডর কোম্পানিতে গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও নিজে গাড়ি চালিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বাহির হন।

পথে হঠাৎ একটি মালবাহী ট্রাক তার গাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে ঘটনাস্থলেই নুরুল ইসলাম নিহত হন। সৌদি আরবের আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এদিকে ছেলের শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন নুরুল ইসলামের বৃদ্ধা মা। কিছুক্ষণ পরপর উচ্চস্বরে চিৎকার ও বিলাপ করছিলেন তিনি।

স্বামীর শোকে পাথর হয়ে পড়েছেন নুরুল ইসলামের স্ত্রী। বোবা কান্নায় পাথর হয়ে গেছেন তিনি। কারো সঙ্গে কোনো কথা বলছেন না। বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন স্বজনরা।

তাদেরকে সান্ত্বনা দেয়ার সাধ্য যেন নেই কারো। শুধু বাড়ি নয়, গোটা গ্রামেই চলছে শোকের মাতম। সদা হাস্যোজ্জ্বল সদালাপি নিষ্ঠাবান নুরুল ইসলামের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউ।