ঢাকা , রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রূপগঞ্জ থানার গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার একটি গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক প্রধান আসামী মোক্তার (২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃত মোক্তার (২৫) নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার ছোনার গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে।

শনিবার (৪ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১১’র মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া। এরআগে শুক্রবার (৩ মে) র‌্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ ও র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর যৌথ অভিযানে খাগড়াছাড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানা এলাকা হতে মোক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব- জানায়, গত ১৫ এপ্রিল রবিবার নারায়ণগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল আসামী মোক্তার (২৫) এবং আসামী খোকন @ খোকা (৩০)’দ্বয়কে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত একটি গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

উভয় আসামীই দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। বিজ্ঞ আদালতের রায় ঘোষনার পর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী খোকন @ খোকা (৩০)’কে ইতিপূর্বে র‌্যাব-১১ এর আভিযানিক দল গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও প্রধান আসামী মোক্তার (২৫) পলাতক ছিল। প্রধান আসামী মোক্তার (২৫)’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-১১ একটি গোয়েন্দা দল জোর তৎপরতা শুরু করে।

এক পর্যায়ে র‌্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে আসামী মোক্তার (২৫) এর অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ফলশ্রুতিতে র‌্যাব-১১ উক্ত আসামীকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৩ মে) র‌্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ ও র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর যৌথ অভিযানে খাগড়াছাড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানা এলাকা হতে মোক্তারকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলার ছোনাব গ্রামের ভিকটিম ও তার স্বামী উভয়ই পেশায় শ্রমিক। ভিকটিমের স্বামী ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ইং তারিখে ভাড়া বাসায় তার স্ত্রীকে রেখে কাজে চলে যায়।

বাসায় অন্য কেউ না থাকার সুযোগে ভিকটিমকে একা পেয়ে সন্ধ্যায় আসামী মোক্তার (২৫)সহ তার সহযোগীরা মিলে ভিকটিমের ঘরে প্রবেশ করে এবং ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে আসামীরা ভিকটিমকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কৌশলে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত/২০০৩) এর ৭/৯(৩) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জ থানার গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৯:৩৫:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার একটি গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক প্রধান আসামী মোক্তার (২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃত মোক্তার (২৫) নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার ছোনার গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে।

শনিবার (৪ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১১’র মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া। এরআগে শুক্রবার (৩ মে) র‌্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ ও র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর যৌথ অভিযানে খাগড়াছাড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানা এলাকা হতে মোক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব- জানায়, গত ১৫ এপ্রিল রবিবার নারায়ণগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল আসামী মোক্তার (২৫) এবং আসামী খোকন @ খোকা (৩০)’দ্বয়কে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত একটি গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

উভয় আসামীই দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। বিজ্ঞ আদালতের রায় ঘোষনার পর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী খোকন @ খোকা (৩০)’কে ইতিপূর্বে র‌্যাব-১১ এর আভিযানিক দল গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও প্রধান আসামী মোক্তার (২৫) পলাতক ছিল। প্রধান আসামী মোক্তার (২৫)’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-১১ একটি গোয়েন্দা দল জোর তৎপরতা শুরু করে।

এক পর্যায়ে র‌্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে আসামী মোক্তার (২৫) এর অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ফলশ্রুতিতে র‌্যাব-১১ উক্ত আসামীকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৩ মে) র‌্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ ও র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর যৌথ অভিযানে খাগড়াছাড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানা এলাকা হতে মোক্তারকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলার ছোনাব গ্রামের ভিকটিম ও তার স্বামী উভয়ই পেশায় শ্রমিক। ভিকটিমের স্বামী ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ইং তারিখে ভাড়া বাসায় তার স্ত্রীকে রেখে কাজে চলে যায়।

বাসায় অন্য কেউ না থাকার সুযোগে ভিকটিমকে একা পেয়ে সন্ধ্যায় আসামী মোক্তার (২৫)সহ তার সহযোগীরা মিলে ভিকটিমের ঘরে প্রবেশ করে এবং ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে আসামীরা ভিকটিমকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কৌশলে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত/২০০৩) এর ৭/৯(৩) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।