বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীসহ দুজনকে কুপিয়ে হত্যা 
ফেনীর ফাজিলপুর মুহুরীগঞ্জে একটি বালুবাহী ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন বালুমহাল এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কাউয়ারাকা গ্রামের আবুল হাওলাদারের ছেলে ট্রাক চালক মো. মিজান (৩২), কুমিল্লা জেলার লাকসাম মনোহরপুর এলাকার আমির হোসেনের ছেলে আবুল খায়ের (৩৮), তার ছেলে আশিক, একই জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের শাকতলা গ্রামের তিন বন্ধু ইয়াসিনের ছেলে সাজ্জাদ, রুহুল আমিনের ছেলে রিফাত এবং আমেরুন্নেসার ছেলে দ্বীন মোহাম্মদ।
নিহত দ্বীন মোহাম্মদের ফুফাতো ভাই ওমর ফারুক হৃদয় বলেন, সকালের দিকে গ্রামের ১১ জন বন্ধু ঈদ শপিং করতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তাদের মধ্যে তিন জন ট্রেনের সামনে বসেছিল। মুহুরীগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে ট্রেনটি একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান। ময়নাতদন্ত ছাড়াই ঘটনাস্থল থেকে তাদের মরদেহ বাড়ি এনে দাফন করা হয়েছে।
মালেক নামে নিহতদের এক প্রতিবেশী বলেন, জুমার নামাজের আগে তিনজনের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এমন আকস্মিক মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত আবুল খায়েরের শ্যালক রুবেল বলেন, আশিক ও তার বাবা আবুল খায়ের ট্রেনের ইঞ্জিনে বসে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঘটা দুর্ঘটনায় আবুল খায়ের ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আশিককে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সেও মারা যায়।
চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, বন্ধুরা মিলে ঈদের শপিং করতে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এ দুর্ঘটনায় তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। বিকেলে শাকতলা আজিজিয়া মাদ্রাসার মাঠে জানাজা শেষে পাশাপাশি কবরে তাদের দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন বালুমহাল এলাকায় চট্টগ্রামগামী একটি ট্রেন বালুবাহী ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাকটি অন্তত ১০০ মিটার সামনে গিয়ে পড়ে।
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, চট্টগ্রামগামী একটি ট্রেন মুহুরীগঞ্জ এলাকায় বালুবাহী ট্রাককে ধাক্কা দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে আরও একজন মারা যান। ওই ঘটনায় এখন আরও তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
