ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী দোসরদের কাছে জিম্মি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবী

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতিষ্ঠান হলেও দীর্ঘদিন যাবৎ কুক্ষিগত করে রেখেছে আওয়ামী পন্থি কথিত সাংবাদিকরা। যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে ভূমিদস্যুতা, ঝুট সেক্টর দখল সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ। প্রেসক্লাবে যাওয়া-আসা ছাড়া যাদের আর কোন কাজ নেই। অথচ তারাই স্থানীয় পর্যায়ের সংবাদকর্মীরা যারা বিগত ১৫ থেকে ২০ বছর যাবৎ মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন তাদের কাউকে তারা সংবাদকর্মী মনে করেন না। তাদের আচরণে মনে হয় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। যদি ঐসকল সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবের সদস্য পদ পেয়ে যায় তাহলে তাদের এ পৈত্রিক সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে যাবে। তারা হয়ে যাবে সহায় সম্বলহীন ভবঘুরে।
গত ২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জে কর্মরত স্থানীয় সংবাদকর্মীরা যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রেসক্লাবে সদস্য পদ প্রাপ্তির জন্য একটি স্মারকলিপি প্রদানের উদ্দেশ্যে সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে। তখন তিনি সবাইকে প্রেসক্লাবে যাওয়ার জন্য বলেন। এর প্রেক্ষিতে সকল সংবাদ কর্মীরা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হলে কোন কিছু বোঝার আগেই আওয়ামী পন্থী দালালরা তাদের উপর হামলা করে। হামলার সময় তারা স্টিল এর পাইপ, হকিষ্টিক, কাঠের রুলার, ইলেক্ট্রিক শর্ট দেয়ার যন্ত্র সহ অন্যান্য জিনিস ব্যবহার করে। এতে মাসুদ রানা রনি মারাত্মকভাবে আহত হন, তার বাম চোখের পাশে আট টি সেলাই পড়ে। এছাড়াও অন্যান্যরা নিলাফুলা জখম হয়। এ ঘটনায় প্রেস ক্লাবের ম্যানেজার মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা উভয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তবে ৩০ অক্টোবর মাসুদ রানা রনি ও ১ তারিখে বাকী ১৩ জন সাংবাদিক জামিন পেয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিউজ করায় প্রেস ক্লাবের আওয়ামী পন্থি সাংবাদিকরা। ঘটনার কারন জানতে পেরে জেলা পুলিশ সুপার উভয় পক্ষের মামলা না নেয়ার কথা বললেও কোন অদৃশ্য শক্তি বলে ঘটনার দিন রাতেই মামলা নেয় সদর থানা পুলিশ। মামলার কথা জানতে পেরে মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকরা সদর ওসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের পক্ষেও মামলা হয়েছে। অথচ নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দায়ের করা মামলায় শুনানিকালে তাদের পক্ষে কোন আইনজীবী বা মামলার বাদীও উপস্থিত ছিলোনা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো নারায়ণগঞ্জের সেই সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ কি সেদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে পুরোপুরি জানেন ? মাঠ পর্যায়ের পেশাদার সাংবাদিকরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেছে। সেই সাথে যারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তাদের ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবী জানিয়েছেন তারা।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী দোসরদের কাছে জিম্মি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবী

আপডেট সময় ০৯:৫৬:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতিষ্ঠান হলেও দীর্ঘদিন যাবৎ কুক্ষিগত করে রেখেছে আওয়ামী পন্থি কথিত সাংবাদিকরা। যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে ভূমিদস্যুতা, ঝুট সেক্টর দখল সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ। প্রেসক্লাবে যাওয়া-আসা ছাড়া যাদের আর কোন কাজ নেই। অথচ তারাই স্থানীয় পর্যায়ের সংবাদকর্মীরা যারা বিগত ১৫ থেকে ২০ বছর যাবৎ মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন তাদের কাউকে তারা সংবাদকর্মী মনে করেন না। তাদের আচরণে মনে হয় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। যদি ঐসকল সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবের সদস্য পদ পেয়ে যায় তাহলে তাদের এ পৈত্রিক সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে যাবে। তারা হয়ে যাবে সহায় সম্বলহীন ভবঘুরে।
গত ২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জে কর্মরত স্থানীয় সংবাদকর্মীরা যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রেসক্লাবে সদস্য পদ প্রাপ্তির জন্য একটি স্মারকলিপি প্রদানের উদ্দেশ্যে সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে। তখন তিনি সবাইকে প্রেসক্লাবে যাওয়ার জন্য বলেন। এর প্রেক্ষিতে সকল সংবাদ কর্মীরা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হলে কোন কিছু বোঝার আগেই আওয়ামী পন্থী দালালরা তাদের উপর হামলা করে। হামলার সময় তারা স্টিল এর পাইপ, হকিষ্টিক, কাঠের রুলার, ইলেক্ট্রিক শর্ট দেয়ার যন্ত্র সহ অন্যান্য জিনিস ব্যবহার করে। এতে মাসুদ রানা রনি মারাত্মকভাবে আহত হন, তার বাম চোখের পাশে আট টি সেলাই পড়ে। এছাড়াও অন্যান্যরা নিলাফুলা জখম হয়। এ ঘটনায় প্রেস ক্লাবের ম্যানেজার মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা উভয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তবে ৩০ অক্টোবর মাসুদ রানা রনি ও ১ তারিখে বাকী ১৩ জন সাংবাদিক জামিন পেয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিউজ করায় প্রেস ক্লাবের আওয়ামী পন্থি সাংবাদিকরা। ঘটনার কারন জানতে পেরে জেলা পুলিশ সুপার উভয় পক্ষের মামলা না নেয়ার কথা বললেও কোন অদৃশ্য শক্তি বলে ঘটনার দিন রাতেই মামলা নেয় সদর থানা পুলিশ। মামলার কথা জানতে পেরে মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকরা সদর ওসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের পক্ষেও মামলা হয়েছে। অথচ নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দায়ের করা মামলায় শুনানিকালে তাদের পক্ষে কোন আইনজীবী বা মামলার বাদীও উপস্থিত ছিলোনা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো নারায়ণগঞ্জের সেই সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ কি সেদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে পুরোপুরি জানেন ? মাঠ পর্যায়ের পেশাদার সাংবাদিকরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেছে। সেই সাথে যারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তাদের ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবী জানিয়েছেন তারা।