ঢাকা , শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল Logo নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই : শফিকুল আলম Logo বিউটিফিকেশন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠান করলো মানব কল্যাণ পরিষদ Logo সিদ্ধিরগঞ্জে ফার্মেসিতে অভিযান, তিন প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা Logo ‘অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনসহ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’ Logo ফতুল্লায় কথিত বিএনপি নেতার হামলায় সাংবাদিকসহ আহত ৩ Logo সোনারগাঁয়ে রাস্তায় পড়ে রইল সরকারি ওএমএস চালের বস্তা, চাঞ্চল্য Logo ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটাচ্ছে- আবু জাফর আহমেদ বাবুল Logo রূপগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থী রেদুয়ান’র চোখ উপড়ে ফেলেও সন্ত্রাসী রিফাত গং থেমে নেই, উল্টো মামলা তুলতে ভয়ভীতি প্রদর্শন Logo যা ভালো লাগে তাই করতে চাই : ভাবনা

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করল আদানি

ভারতের আদানি পাওয়ার বৃহস্পতিবার রাতে তাদের ঝাড়খণ্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে কমিয়ে দিয়েছে। পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ-এর আমদানির তথ্য অনুযায়ী, সরকারের কাছে আদানির বড় অঙ্কের বিল বকেয়া রয়েছে।

বকেয়া বিল পরিশোধ না করা হলে ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হবে বলে কয়েক সপ্তাহ আগে ঘোষণা দিয়েছিল আদানি পাওয়ার। পিডিবির সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার একটি ইউনিট উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ায় ঝাড়খণ্ডে আদানির এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের অপর ইউনিট বর্তমানে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।

ফলে গত রাতে দেশে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল ৯৩৩ মেগাওয়াট।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিডিবি) কাছে আদানি পাওয়ারের আট-নয় মাসের বিদ্যুৎ বিলের ৮০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি পাওনা রয়েছে।

আগস্টের শেষ দিকে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এ দায় পরিশোধে হস্তক্ষেপ চেয়ে অনুরোধ করেন।

২৭ আগস্ট এক চিঠিতে আদানি উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছি। কিন্তু ঋণদাতারা এখন আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। আমি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বকেয়া ৮০০ মিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক পরিশোধ নিশ্চিত করতে আপনার সহায়তা কামনা করছি।’

এছাড়া, আদানি পাওয়ার আগস্টের শেষের দিকে পিডিবিকেও বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য একটি চিঠি দেয়। চিঠিতে পিডিবিকে জানানো হয়, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে ৩১ অক্টোবর থেকে ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হবে আদানি।

পিডিবি-সূত্রে জানা গেছে, বকেয়া পরিশোধ করতে পিডিবি ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে একটি ঋণপত্র (এলসি) খোলার পরিকল্পনা করেছিল। তবে ওই এলসি না খুলতে পারায় পিডিবি অর্থ পরিশোধের জন্য আরও সময় চায়। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ গণমাধ্যমে বলেন, বিষয়টির সমাধান হয়েছে।

‘আমরা আদানির সঙ্গে কথা বলেছি। একটি এলসি খোলা হয়েছে। এখনও প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না, তবে আমদানি বা বকেয়া পরিশোধ নিয়ে আর কোনো সমস্যা নেই,’ বলেন তিনি।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করল আদানি

আপডেট সময় ১০:২২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

ভারতের আদানি পাওয়ার বৃহস্পতিবার রাতে তাদের ঝাড়খণ্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে কমিয়ে দিয়েছে। পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ-এর আমদানির তথ্য অনুযায়ী, সরকারের কাছে আদানির বড় অঙ্কের বিল বকেয়া রয়েছে।

বকেয়া বিল পরিশোধ না করা হলে ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হবে বলে কয়েক সপ্তাহ আগে ঘোষণা দিয়েছিল আদানি পাওয়ার। পিডিবির সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার একটি ইউনিট উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ায় ঝাড়খণ্ডে আদানির এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের অপর ইউনিট বর্তমানে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।

ফলে গত রাতে দেশে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল ৯৩৩ মেগাওয়াট।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিডিবি) কাছে আদানি পাওয়ারের আট-নয় মাসের বিদ্যুৎ বিলের ৮০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি পাওনা রয়েছে।

আগস্টের শেষ দিকে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এ দায় পরিশোধে হস্তক্ষেপ চেয়ে অনুরোধ করেন।

২৭ আগস্ট এক চিঠিতে আদানি উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছি। কিন্তু ঋণদাতারা এখন আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। আমি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বকেয়া ৮০০ মিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক পরিশোধ নিশ্চিত করতে আপনার সহায়তা কামনা করছি।’

এছাড়া, আদানি পাওয়ার আগস্টের শেষের দিকে পিডিবিকেও বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য একটি চিঠি দেয়। চিঠিতে পিডিবিকে জানানো হয়, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে ৩১ অক্টোবর থেকে ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হবে আদানি।

পিডিবি-সূত্রে জানা গেছে, বকেয়া পরিশোধ করতে পিডিবি ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে একটি ঋণপত্র (এলসি) খোলার পরিকল্পনা করেছিল। তবে ওই এলসি না খুলতে পারায় পিডিবি অর্থ পরিশোধের জন্য আরও সময় চায়। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ গণমাধ্যমে বলেন, বিষয়টির সমাধান হয়েছে।

‘আমরা আদানির সঙ্গে কথা বলেছি। একটি এলসি খোলা হয়েছে। এখনও প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না, তবে আমদানি বা বকেয়া পরিশোধ নিয়ে আর কোনো সমস্যা নেই,’ বলেন তিনি।