ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বস্তিতে ঢাকায় ফেরা

ঈদের সপ্তম দিন গতকাল শুক্রবারও নাড়ির টানে গ্রামে ছুটে যাওয়া মানুষজন ব্যস্ত নগরীতে ফিরছেন। সকাল থেকে গাবতলী ও কল্যাণপুর এলাকার করে ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সরকারি ছুটি শেষ হয়েছে আরও তিন দিন আগে। এখন যারা আসছেন অতিরিক্ত ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দেওয়া তাদের লক্ষ্য। কেউ আসছেন জরুরি প্রয়োজনে। কেউ স্বজনদের সাথে ঈদ করে ঢাকায় ফিরছেন।
গাবতলী ঘুরে দেখা গেছে, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে দূরপাল্লার বাসে করে লোকজন এসে গাবতলীর বিভিন্ন পয়েন্টে নামছে। অধিকাংশ যাত্রীই বাস থেকে নামার পরে সিএনজি এবং রিকশা খুঁজছে। কারও সামর্থ্য না থাকলে লোকাল বাস ধরে ছুটছে বাসা অথবা গন্তব্যে। তবে রাস্তার সরকারি ছুটি থাকায় মানুষজনের ঢাকায় ফেরাটা অনেকটা স্বস্তির হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।

ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বাস কাউন্টার থেকে তারা ঈদের আগে যে টিকিট কিনেছিলেন সেই টিকিট নিয়েই ফিরেছেন ঢাকায়। তবে তাদের অনেককে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়নি। যাত্রাপথে তেমন কোনো ভোগান্তি ছিল না। অধিকাংশ যাত্রী রাতের বাসে চড়ে কেউ ভোর বেলা, কেউ আবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন।

গাবতলী হানিফ কাউন্টার টাঙ্গাইল থেকে ফেরা এক মহিলা যাত্রী বলেন, স্বামী বাচ্চাদের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করে ভালোই কাটল। কিন্তু ঢাকায় তো ফিরতে হবে এ কারণে ফেরা।
পাবনা থেকে আসা আরেক যাত্রী জানালেন, তারা দুই বন্ধু ও এক বান্ধবী একই গ্রামের। ঢাকায় একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা পড়াশোনা করেন। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলেন। তারা ফিরলেন ঢাকায়।
হানিফ কাউন্টারের কর্মী এক জানান, সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের সকল রুটের তাদের বাসগুলো ডিপোতে এসে পৌঁছেছে। আরও কয়েকটা বাস পথে আছে।

গাবতলী থেকে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা কোনো দূরপাল্লার বাসগুলো ঢুকছে। বাসচালক ও হেলপার জানালেন, সরকারি ছুটি কাটানোর পর যারা কাজে যোগ দেবেন এমন চাকরিজীবী মানুষই বেশি আজ ফিরছে।
রফিক নামের এক যাত্রী বলছিলেন, যাওয়ার সময় টাঙ্গাইল এলেঙ্গা যমুনা সেতু পার হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছিলাম। কিন্তু আসার সময়ে কোন বেগ পাইনি। পুরো রাস্তায় বাস চলমান ছিল। ঘুমিয়ে চলে আসলাম আর গাবতলীতে নেমে ফ্রেশ হলাম।

এদিকে, ঈদের প্রায় এক সপ্তাহ পরেও ঢাকায় প্রবেশের বিভিন্ন পথগুলোতে ঘর ফেরত মানুষদের চাপ দেখা যাচ্ছে। পরিবারের সাথে কাটানো ভালো মুহূর্ত এবং স্বস্তির ফিরতি যাত্রা কর্মজীবী মানুষের চেহারায় প্রশান্তির ছাপ। বিশেষ করে রেলওয়ে যাত্রীদের। এবারের ট্রেনযাত্রা অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় অনেক বেশি স্বস্তির ও ঝামেলামুক্ত বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। গতকাল শুক্রবার কমলাপুর রেল স্টেশন ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।

দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেসের একাধিক যাত্রী বলেন, এবছর ট্রেনের নতুন পদ্ধতি অনেক বেশি কার্যকর ছিল। ফলে সাধারণ যাত্রীরা এর সুবিধা পেয়েছেন। যাত্রাপথে কিংবা ফেরার পথে কোন সময়ে তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। বিশেষ করে টিকেট ছাড়ার যাত্রীরা প্লাটফর্মে প্রবেশ করতে না পারায় অনেকটাই স্বস্তিতে ট্রেনযাত্রা হয়েছে বলে জানান তারা। যদিও শেষ দুই দিন এটি ধরে রাখা সম্ভব হয়নি বলেও জানান যাত্রীরা। শেষ দুই দিন টিকিট ছাড়া অনেক যাত্রী ট্রেনে উঠেছে। এমনকি ছাদেও যাত্রীদের উঠতে দেখা গেছে।
পরিবারসহ দিনাজপুরে ঈদ করতে গিয়েছিলেন রাজধানীর একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রতন। তিনি বলেন, এবার আসা ও যাওয়া দুইবারই যাত্রা অনেকটাই প্রশান্তির ছিল। আমি পরিবার নিয়ে ঈদের তিন দিন আগে ঢাকায় ছেড়েছিলাম। ফলে শেষ মুহূর্তে যে চাপ তা পাইনি। আবার ফিরেছি মোটামুটি দেরি করে। ফলে কোন ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা থাকায় এবার কিছুটা দেরিতে ঢাকা ছেড়েছিলাম। ফলে শেষ দিন ট্রেনে অনেক ভীড় লক্ষ্য করেছি। যদিও তা অন্য যেকোন বছরের তুলনায় কম ছিল। এবার চাপাচাপি করে ট্রেনে উঠতে পেরেছি, যদিও অন্য বছরগুলোতে শেষ দিন টিকিট থাকার পরেও ট্রেনে উঠতে পারার ঘটনা প্রায়ই শুনা যায়। তবে ফিরতি পথের যাত্রাটি খুবই স্বস্তির ছিল। এদিকে ট্রেনের সিডিউল সামান্য এদিক-সেদিক হলেও ঠিকভাবে ঢাকা ফিরতে পারায় সন্তুষ্টি জানান যাত্রীরা।

এছাড়া ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষেরা। রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল থেকে শুরু করে রাজধানীতে প্রবেশের প্রতিটি পয়েন্টে ফিরতি যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে এর মধ্যে ভিন্ন চিত্রও রয়েছে। ঢাকামুখী স্রোতের বিপরীতে অনেকেই এখন ঢাকা ছাড়ছেন। এসব যাত্রীদের বেশিরভাগই ঈদযাত্রার চাপ এড়াতে এখন বাড়িতে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই ঈদের সময় বিশেষ ডিউটি করায় এখন বাড়ি ফিরছেন। কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।

যাত্রীরা জানায়, ঈদের আগে ট্রেনসহ সড়কপথে যাত্রীদের অনেক চাপ থাকে। ফলে ওই সময়টাই বাড়িতে যাওয়া অনেক বেশি কষ্টের হয়ে যায়। তাই তারা ছুটি শেষে যাচ্ছেন। অনেকে আবার ছুটির সময় বিশেষ ডিউটি পালন করায় ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঈদের ছুটি শেষে অফিসের অন্যান্যরা ফিরে আসায় এখন তারা ছুটিতে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই ঢাকায় ঈদ শেষে আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন। তবে এই দলে নারী ও শিশুদের সংখ্যায় বেশি।

এ অবস্থায় কমলাপুর রেলস্টেশনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলগামী যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলগামী যাত্রীদের। প্রায় প্রতিটি ট্রেন যাত্রী পূর্ণ অবস্থায় কমলাপুর ছেড়েছে। তবে এদিন রেলের সিডিউল বিপর্যয় লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকা থেকে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও, ট্রেনটি ছেড়ে গেছে ১০টা ২৪ মিনিটে। এদিকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ১০টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও এ প্রতিবেদন লেখার সময় (সকাল ১০টা ৫০ মিনিট) পর্যন্ত ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢুকেনি। একই অবস্থা জামালপুরগামী জামালপুর এক্সপ্রেসসহ অন্যান্য ট্রেনের। ফলে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় প্লাটফর্মে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্বস্তিতে ঢাকায় ফেরা

আপডেট সময় ০৩:৪১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

ঈদের সপ্তম দিন গতকাল শুক্রবারও নাড়ির টানে গ্রামে ছুটে যাওয়া মানুষজন ব্যস্ত নগরীতে ফিরছেন। সকাল থেকে গাবতলী ও কল্যাণপুর এলাকার করে ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সরকারি ছুটি শেষ হয়েছে আরও তিন দিন আগে। এখন যারা আসছেন অতিরিক্ত ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দেওয়া তাদের লক্ষ্য। কেউ আসছেন জরুরি প্রয়োজনে। কেউ স্বজনদের সাথে ঈদ করে ঢাকায় ফিরছেন।
গাবতলী ঘুরে দেখা গেছে, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে দূরপাল্লার বাসে করে লোকজন এসে গাবতলীর বিভিন্ন পয়েন্টে নামছে। অধিকাংশ যাত্রীই বাস থেকে নামার পরে সিএনজি এবং রিকশা খুঁজছে। কারও সামর্থ্য না থাকলে লোকাল বাস ধরে ছুটছে বাসা অথবা গন্তব্যে। তবে রাস্তার সরকারি ছুটি থাকায় মানুষজনের ঢাকায় ফেরাটা অনেকটা স্বস্তির হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।

ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বাস কাউন্টার থেকে তারা ঈদের আগে যে টিকিট কিনেছিলেন সেই টিকিট নিয়েই ফিরেছেন ঢাকায়। তবে তাদের অনেককে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়নি। যাত্রাপথে তেমন কোনো ভোগান্তি ছিল না। অধিকাংশ যাত্রী রাতের বাসে চড়ে কেউ ভোর বেলা, কেউ আবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন।

গাবতলী হানিফ কাউন্টার টাঙ্গাইল থেকে ফেরা এক মহিলা যাত্রী বলেন, স্বামী বাচ্চাদের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করে ভালোই কাটল। কিন্তু ঢাকায় তো ফিরতে হবে এ কারণে ফেরা।
পাবনা থেকে আসা আরেক যাত্রী জানালেন, তারা দুই বন্ধু ও এক বান্ধবী একই গ্রামের। ঢাকায় একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা পড়াশোনা করেন। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলেন। তারা ফিরলেন ঢাকায়।
হানিফ কাউন্টারের কর্মী এক জানান, সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের সকল রুটের তাদের বাসগুলো ডিপোতে এসে পৌঁছেছে। আরও কয়েকটা বাস পথে আছে।

গাবতলী থেকে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা কোনো দূরপাল্লার বাসগুলো ঢুকছে। বাসচালক ও হেলপার জানালেন, সরকারি ছুটি কাটানোর পর যারা কাজে যোগ দেবেন এমন চাকরিজীবী মানুষই বেশি আজ ফিরছে।
রফিক নামের এক যাত্রী বলছিলেন, যাওয়ার সময় টাঙ্গাইল এলেঙ্গা যমুনা সেতু পার হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছিলাম। কিন্তু আসার সময়ে কোন বেগ পাইনি। পুরো রাস্তায় বাস চলমান ছিল। ঘুমিয়ে চলে আসলাম আর গাবতলীতে নেমে ফ্রেশ হলাম।

এদিকে, ঈদের প্রায় এক সপ্তাহ পরেও ঢাকায় প্রবেশের বিভিন্ন পথগুলোতে ঘর ফেরত মানুষদের চাপ দেখা যাচ্ছে। পরিবারের সাথে কাটানো ভালো মুহূর্ত এবং স্বস্তির ফিরতি যাত্রা কর্মজীবী মানুষের চেহারায় প্রশান্তির ছাপ। বিশেষ করে রেলওয়ে যাত্রীদের। এবারের ট্রেনযাত্রা অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় অনেক বেশি স্বস্তির ও ঝামেলামুক্ত বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। গতকাল শুক্রবার কমলাপুর রেল স্টেশন ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।

দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেসের একাধিক যাত্রী বলেন, এবছর ট্রেনের নতুন পদ্ধতি অনেক বেশি কার্যকর ছিল। ফলে সাধারণ যাত্রীরা এর সুবিধা পেয়েছেন। যাত্রাপথে কিংবা ফেরার পথে কোন সময়ে তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। বিশেষ করে টিকেট ছাড়ার যাত্রীরা প্লাটফর্মে প্রবেশ করতে না পারায় অনেকটাই স্বস্তিতে ট্রেনযাত্রা হয়েছে বলে জানান তারা। যদিও শেষ দুই দিন এটি ধরে রাখা সম্ভব হয়নি বলেও জানান যাত্রীরা। শেষ দুই দিন টিকিট ছাড়া অনেক যাত্রী ট্রেনে উঠেছে। এমনকি ছাদেও যাত্রীদের উঠতে দেখা গেছে।
পরিবারসহ দিনাজপুরে ঈদ করতে গিয়েছিলেন রাজধানীর একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রতন। তিনি বলেন, এবার আসা ও যাওয়া দুইবারই যাত্রা অনেকটাই প্রশান্তির ছিল। আমি পরিবার নিয়ে ঈদের তিন দিন আগে ঢাকায় ছেড়েছিলাম। ফলে শেষ মুহূর্তে যে চাপ তা পাইনি। আবার ফিরেছি মোটামুটি দেরি করে। ফলে কোন ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা থাকায় এবার কিছুটা দেরিতে ঢাকা ছেড়েছিলাম। ফলে শেষ দিন ট্রেনে অনেক ভীড় লক্ষ্য করেছি। যদিও তা অন্য যেকোন বছরের তুলনায় কম ছিল। এবার চাপাচাপি করে ট্রেনে উঠতে পেরেছি, যদিও অন্য বছরগুলোতে শেষ দিন টিকিট থাকার পরেও ট্রেনে উঠতে পারার ঘটনা প্রায়ই শুনা যায়। তবে ফিরতি পথের যাত্রাটি খুবই স্বস্তির ছিল। এদিকে ট্রেনের সিডিউল সামান্য এদিক-সেদিক হলেও ঠিকভাবে ঢাকা ফিরতে পারায় সন্তুষ্টি জানান যাত্রীরা।

এছাড়া ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষেরা। রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল থেকে শুরু করে রাজধানীতে প্রবেশের প্রতিটি পয়েন্টে ফিরতি যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে এর মধ্যে ভিন্ন চিত্রও রয়েছে। ঢাকামুখী স্রোতের বিপরীতে অনেকেই এখন ঢাকা ছাড়ছেন। এসব যাত্রীদের বেশিরভাগই ঈদযাত্রার চাপ এড়াতে এখন বাড়িতে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই ঈদের সময় বিশেষ ডিউটি করায় এখন বাড়ি ফিরছেন। কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।

যাত্রীরা জানায়, ঈদের আগে ট্রেনসহ সড়কপথে যাত্রীদের অনেক চাপ থাকে। ফলে ওই সময়টাই বাড়িতে যাওয়া অনেক বেশি কষ্টের হয়ে যায়। তাই তারা ছুটি শেষে যাচ্ছেন। অনেকে আবার ছুটির সময় বিশেষ ডিউটি পালন করায় ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঈদের ছুটি শেষে অফিসের অন্যান্যরা ফিরে আসায় এখন তারা ছুটিতে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই ঢাকায় ঈদ শেষে আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন। তবে এই দলে নারী ও শিশুদের সংখ্যায় বেশি।

এ অবস্থায় কমলাপুর রেলস্টেশনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলগামী যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলগামী যাত্রীদের। প্রায় প্রতিটি ট্রেন যাত্রী পূর্ণ অবস্থায় কমলাপুর ছেড়েছে। তবে এদিন রেলের সিডিউল বিপর্যয় লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকা থেকে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও, ট্রেনটি ছেড়ে গেছে ১০টা ২৪ মিনিটে। এদিকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ১০টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও এ প্রতিবেদন লেখার সময় (সকাল ১০টা ৫০ মিনিট) পর্যন্ত ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢুকেনি। একই অবস্থা জামালপুরগামী জামালপুর এক্সপ্রেসসহ অন্যান্য ট্রেনের। ফলে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় প্লাটফর্মে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।