ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর অবৈধ সম্পদের মালিক মির্জা আব্বা‌স, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

বিএন‌পির স্থায়ী ক‌মি‌টির সদস‌্য ও সা‌বেক মন্ত্রী মির্জা আব্বা‌সের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার অবৈধ সম্প‌দের তথ‌্য-প্রমাণ পে‌য়ে‌ছে দুর্নীতি দমন ক‌মিশন। এই সম্পদ মূলত তার স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তায় মা‌লিক হ‌য়ে‌ছেন। আফরোজা আব্বাস একজন গৃহিণী, সে হিসাবে ওই সম্পদ অবৈধ উৎসের আয় থেকে অর্জিত বলেও প্রমাণ পেয়েছে সংস্থা‌টি।

দীর্ঘ তদন্ত শে‌ষে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ‌্য পে‌য়ে এক‌টি মামলায় চার্জ‌শিট দা‌খিল ক‌রে‌ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মোহা. নুরুল হুদা মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিকেলে দুদক কার্যাল‌য়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের নামে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের সচিব বলেন, এখানে পলিটিক্যাল কোনও যোগসূত্র নেই। দুদক তার নিজস্ব আইনবিধি মেনে তদন্তকাজ পরিচালনা করে থাকে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার যে সম্পদ দেখানো হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে এ সম্পদ তার স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদের সহায়তায় অর্জন করেছেন। আফরোজা আব্বাস একজন গৃহিণী, সে হিসাবে ওই সম্পদ অবৈধ উৎসের আয় থেকে অর্জিত বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

মির্জা আব্বাস ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য, মেয়র ও মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত আফরোজা আব্বাসের নামে ওই টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

২০১৯ সালের ৭ জুলাই দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন রাজধানীর শাহজাহানপুর (ডিএমপি) থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

দুদক তদন্তে অবৈধ সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করার কৌশল অবলম্বন করার অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। দু’জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় এবং সেই সঙ্গে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৮; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

মির্জা আব্বাস বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। আফরোজা আব্বাস বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি। মির্জা আব্বাস বর্তমানে কারাগারে আছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্ত্রীর অবৈধ সম্পদের মালিক মির্জা আব্বা‌স, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

আপডেট সময় ০৩:৪৫:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

বিএন‌পির স্থায়ী ক‌মি‌টির সদস‌্য ও সা‌বেক মন্ত্রী মির্জা আব্বা‌সের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার অবৈধ সম্প‌দের তথ‌্য-প্রমাণ পে‌য়ে‌ছে দুর্নীতি দমন ক‌মিশন। এই সম্পদ মূলত তার স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তায় মা‌লিক হ‌য়ে‌ছেন। আফরোজা আব্বাস একজন গৃহিণী, সে হিসাবে ওই সম্পদ অবৈধ উৎসের আয় থেকে অর্জিত বলেও প্রমাণ পেয়েছে সংস্থা‌টি।

দীর্ঘ তদন্ত শে‌ষে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ‌্য পে‌য়ে এক‌টি মামলায় চার্জ‌শিট দা‌খিল ক‌রে‌ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মোহা. নুরুল হুদা মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিকেলে দুদক কার্যাল‌য়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের নামে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের সচিব বলেন, এখানে পলিটিক্যাল কোনও যোগসূত্র নেই। দুদক তার নিজস্ব আইনবিধি মেনে তদন্তকাজ পরিচালনা করে থাকে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার যে সম্পদ দেখানো হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে এ সম্পদ তার স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদের সহায়তায় অর্জন করেছেন। আফরোজা আব্বাস একজন গৃহিণী, সে হিসাবে ওই সম্পদ অবৈধ উৎসের আয় থেকে অর্জিত বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

মির্জা আব্বাস ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য, মেয়র ও মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত আফরোজা আব্বাসের নামে ওই টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

২০১৯ সালের ৭ জুলাই দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন রাজধানীর শাহজাহানপুর (ডিএমপি) থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

দুদক তদন্তে অবৈধ সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করার কৌশল অবলম্বন করার অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। দু’জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় এবং সেই সঙ্গে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৮; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

মির্জা আব্বাস বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। আফরোজা আব্বাস বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি। মির্জা আব্বাস বর্তমানে কারাগারে আছেন।