ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্টার্লিং ঝড়ে শেষ টি-টোয়েন্টিতে দাপুটে জয় আইরিশদের

অবশেষে টাইগারদের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল আয়ারল্যান্ড। সফরে টাইগারদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ হারের পর এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে আইরিশরা। শুক্রবার চট্টগ্রামে শেষ টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে দলটি। বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে ৭ উইকেটে জিতেছে তারা।

এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচ-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে শেষ হল। তবে সিরিজের এক মাত্র টেস্টে আগে টি-টোয়েন্টি জিতে ফর্মে ফেরারা ইঙ্গিত দিল আইরিশ শিবির। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা ১৯.২ ওভারে ১২৪ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে ১৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তলে জয় নিশ্চিত করে দলটি।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ফিওন হ্যান্ডকে প্রথম বলেই ফ্লিক করে চার হাঁকান লিটন দাস। ওই ওভারে আসে ৯ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বল থেকেই ছন্দ পতনের শুরু হয় বাংলাদেশের। মার্ক অ্যাডায়ারের অফ স্টাম্পের বাইরের বাজে বলে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। ৪ বলে ৫ রান করেন লিটন। তিন নম্বরে খেলতে নেমে রান পাননি নাজমুল হোসেন শান্তও। ৮ বল খেলে ৪ রান করে কার্টিস ক্যাম্পারের হাতে ক্যাচ দিয়ে হ্যারি টেক্টরের বলে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।

অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও ৬ বলে ৬ রান করে আউট হন। আগের দুই ম্যাচে রান পাওয়া উদ্বোধনী ব্যাটার রনি তালুকদারও পারেননি এদিন রান করতে। ৩ চারে ১০ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। ৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে যায় বাংলাদেশ।

বলতে গেলে এরপর দলকে অনেকটা একাই টেনেছেন শামীম হোসেন। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ বলে ৫১ রান করেন তিনি। ফিওন হ্যান্ডের বলে জর্জ ডকরেলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শামীম। এছাড়া নাসুম হোসেন ১৭ বলে ১৩ ও তাওহিদ হৃদয় ১০ বলে ১২ রান করেন।

বল হাতে আইরিশদের পক্ষে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মার্ক অ্যাডায়ার। ২ ওভারে ১০ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন ম্যাথিউ হামফ্রিসও। এছাড়া ফিওন হ্যান্ড, হেরি টেক্টর, কার্টিস ক্যাম্পার, বেন হোয়াইট ও গ্যারেথ ডিল্যানি একটি করে উইকেট নেন।

জবাবে ১২৫ রানের লক্ষ্যে নেমে দলকে উড়ন্ত শুরু আনেন স্টার্লিং। উদ্বোধনী জুটি অবশ্য খুব বড় হয়নি। আরেক ওপেনার রস অ্যাডায়ার ফেরেন দুই অঙ্কের আগেই। তৃতীয় ওভারে দলের ১৭ রানে তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। স্টার্লিং চালাতে থাকেন। সাকিবের করা দ্বিতীয় ওভারে টানা দুই চার পেয়েছিলেন। পরে হাসান মাহমুদকে ছক্কার পর মারেন চার। দ্বিতীয় উইকেটে লোরকান টাকারের সঙ্গেও তার জুটিটা জমেনি। ১৫ বলে ২৪ রানের জুটির পর আত্মাহুতি দেন টাকার।

শরিফুল ইসলামের করা প্রথম বল এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে এজড হয়ে ধরা দেন লিটনের গ্লাভসে। তৃতীয় উইকেট জুটি বেশ জমে যায়। স্টার্লিংয়ের সঙ্গে সাবলীল খেলতে থাকেন হ্যারি টেক্টর। স্টার্লিং আগ্রাসী মেজাজ জারি রেখে ৩১ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। ১০ ওভারে ৭৭ নিয়ে নেয় আইরিশরা। ফিফটির পর আরও ডানা মেলেন স্টার্লিং। রিশাদ হোসেনকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম উইকেটের স্বাদ দিয়ে স্টার্লিং থামেন ৭৭ রানে। ছক্কা মারতে গিয়ে লং অন বাউন্ডারিতে ধরা দেন তিনি। ৪১ বলের ইনিংসে ১০ চার আর চার ছক্কা আসে তার ব্যাটে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্টার্লিং ঝড়ে শেষ টি-টোয়েন্টিতে দাপুটে জয় আইরিশদের

আপডেট সময় ০৪:২৬:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

অবশেষে টাইগারদের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল আয়ারল্যান্ড। সফরে টাইগারদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ হারের পর এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে আইরিশরা। শুক্রবার চট্টগ্রামে শেষ টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে দলটি। বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে ৭ উইকেটে জিতেছে তারা।

এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচ-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে শেষ হল। তবে সিরিজের এক মাত্র টেস্টে আগে টি-টোয়েন্টি জিতে ফর্মে ফেরারা ইঙ্গিত দিল আইরিশ শিবির। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা ১৯.২ ওভারে ১২৪ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে ১৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তলে জয় নিশ্চিত করে দলটি।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ফিওন হ্যান্ডকে প্রথম বলেই ফ্লিক করে চার হাঁকান লিটন দাস। ওই ওভারে আসে ৯ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বল থেকেই ছন্দ পতনের শুরু হয় বাংলাদেশের। মার্ক অ্যাডায়ারের অফ স্টাম্পের বাইরের বাজে বলে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। ৪ বলে ৫ রান করেন লিটন। তিন নম্বরে খেলতে নেমে রান পাননি নাজমুল হোসেন শান্তও। ৮ বল খেলে ৪ রান করে কার্টিস ক্যাম্পারের হাতে ক্যাচ দিয়ে হ্যারি টেক্টরের বলে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।

অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও ৬ বলে ৬ রান করে আউট হন। আগের দুই ম্যাচে রান পাওয়া উদ্বোধনী ব্যাটার রনি তালুকদারও পারেননি এদিন রান করতে। ৩ চারে ১০ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। ৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে যায় বাংলাদেশ।

বলতে গেলে এরপর দলকে অনেকটা একাই টেনেছেন শামীম হোসেন। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ বলে ৫১ রান করেন তিনি। ফিওন হ্যান্ডের বলে জর্জ ডকরেলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শামীম। এছাড়া নাসুম হোসেন ১৭ বলে ১৩ ও তাওহিদ হৃদয় ১০ বলে ১২ রান করেন।

বল হাতে আইরিশদের পক্ষে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মার্ক অ্যাডায়ার। ২ ওভারে ১০ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন ম্যাথিউ হামফ্রিসও। এছাড়া ফিওন হ্যান্ড, হেরি টেক্টর, কার্টিস ক্যাম্পার, বেন হোয়াইট ও গ্যারেথ ডিল্যানি একটি করে উইকেট নেন।

জবাবে ১২৫ রানের লক্ষ্যে নেমে দলকে উড়ন্ত শুরু আনেন স্টার্লিং। উদ্বোধনী জুটি অবশ্য খুব বড় হয়নি। আরেক ওপেনার রস অ্যাডায়ার ফেরেন দুই অঙ্কের আগেই। তৃতীয় ওভারে দলের ১৭ রানে তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। স্টার্লিং চালাতে থাকেন। সাকিবের করা দ্বিতীয় ওভারে টানা দুই চার পেয়েছিলেন। পরে হাসান মাহমুদকে ছক্কার পর মারেন চার। দ্বিতীয় উইকেটে লোরকান টাকারের সঙ্গেও তার জুটিটা জমেনি। ১৫ বলে ২৪ রানের জুটির পর আত্মাহুতি দেন টাকার।

শরিফুল ইসলামের করা প্রথম বল এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে এজড হয়ে ধরা দেন লিটনের গ্লাভসে। তৃতীয় উইকেট জুটি বেশ জমে যায়। স্টার্লিংয়ের সঙ্গে সাবলীল খেলতে থাকেন হ্যারি টেক্টর। স্টার্লিং আগ্রাসী মেজাজ জারি রেখে ৩১ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। ১০ ওভারে ৭৭ নিয়ে নেয় আইরিশরা। ফিফটির পর আরও ডানা মেলেন স্টার্লিং। রিশাদ হোসেনকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম উইকেটের স্বাদ দিয়ে স্টার্লিং থামেন ৭৭ রানে। ছক্কা মারতে গিয়ে লং অন বাউন্ডারিতে ধরা দেন তিনি। ৪১ বলের ইনিংসে ১০ চার আর চার ছক্কা আসে তার ব্যাটে।