ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবন থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে পর্যটক, বাগেরহাটে প্রস্তুত ৪৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র

বাগেরহাট জেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। মোংলা বন্দরে অবস্থানরত ৯টি বাণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদ আশ্রয়ে নোঙরের পাশাপাশি বন্দরের পশুর চ্যানেল থেকে সব লাইটার জাহাজকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

সুন্দরবন বনবিভাগসহ সব সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই সুন্দরবন থেকে দেশি-বিদেশি সব পর্যটকসহ বনজীবীদের নিরাপদ আশ্রয় নিতে কোস্টগার্ড ও বনবিভাগ কাজ শুরু করেছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় বাগেরহাটের কয়েকশ ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ফিশারি ঘাট, রায়েন্দা, মোংলা, রামপালে আশ্রয় নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা করে জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

প্রস্তুত রাখা রাখা হয়েছে জেলার ৪৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ঘূর্ণিঝড়ের সময় জেলার ৯টি উপজেলায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭৫ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মেডিকেল টিম। নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিসসহ তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহিন মজিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় মোংলা বন্দরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্দরের পশুর চ্যানেল থেকে সব লাইটার জাহাজকে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে মোংলা বন্দরে পণ্যবাহী ১১টি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। ওই সব জাহাজকে নিরাপদ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকায় এখনো মোংলা বন্দরে জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ চলছে। বন্দরে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হলেই জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করা হবে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় সুন্দরবন বিভাগের সব কর্মকর্তা কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপদ থেকে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই সুন্দরবন থেকে দেশি-বিদেশি সব পর্যটকসহ বনজীবীদের লোকালয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দরবন থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে পর্যটক, বাগেরহাটে প্রস্তুত ৪৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র

আপডেট সময় ০৪:০৫:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩

বাগেরহাট জেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। মোংলা বন্দরে অবস্থানরত ৯টি বাণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদ আশ্রয়ে নোঙরের পাশাপাশি বন্দরের পশুর চ্যানেল থেকে সব লাইটার জাহাজকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

সুন্দরবন বনবিভাগসহ সব সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই সুন্দরবন থেকে দেশি-বিদেশি সব পর্যটকসহ বনজীবীদের নিরাপদ আশ্রয় নিতে কোস্টগার্ড ও বনবিভাগ কাজ শুরু করেছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় বাগেরহাটের কয়েকশ ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ফিশারি ঘাট, রায়েন্দা, মোংলা, রামপালে আশ্রয় নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা করে জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

প্রস্তুত রাখা রাখা হয়েছে জেলার ৪৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ঘূর্ণিঝড়ের সময় জেলার ৯টি উপজেলায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭৫ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মেডিকেল টিম। নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিসসহ তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহিন মজিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় মোংলা বন্দরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্দরের পশুর চ্যানেল থেকে সব লাইটার জাহাজকে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে মোংলা বন্দরে পণ্যবাহী ১১টি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। ওই সব জাহাজকে নিরাপদ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকায় এখনো মোংলা বন্দরে জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ চলছে। বন্দরে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হলেই জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করা হবে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় সুন্দরবন বিভাগের সব কর্মকর্তা কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপদ থেকে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই সুন্দরবন থেকে দেশি-বিদেশি সব পর্যটকসহ বনজীবীদের লোকালয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।