ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুদান থেকে ৫৮৮ বাংলাদেশিকে উদ্ধার

আফ্রিকার সাব সাহারা অঞ্চলের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সুদানের রাজধানী খার্তুমের সাড়ে সিত্তিন এলাকা থেকে আজ মঙ্গলবার প্রথম ধাপে ১২টি বাস যোগে ৫৮৮জন বাংলাদেশি নাগরিক নিয়ে দেশটির পোর্ট সুদানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। গতকাল গভীর রাতে এসব বাংলাদেশিদের দেশটির পোর্ট সুদানে পৌঁছার কথা। খার্তুমের দূরদুরন্ত অঞ্চল থেকে গত তিন রাত পায়ে হেঁটে এসব আতঙ্কগ্রস্ত নাগরিক বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি ও প্রবাসী ব্যবসায়ী সুলতান দানিস আলীর নেতৃত্বে সাড়ে সিত্তিনে জড়ো হন। সেখানে বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যোগে বাংলাদেশিদের খাবার ও পানীয় সরবরাহ করা হয়। খার্তুমের বিভিন্ন এলাকায় এখনো বেশ কিছু বাংলাদেশি অবরুদ্ধ রয়েছে। তারা ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছে না।
দেশটির রাজধানী খার্তুমস্থ বাংলাদেশ মিশনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমদের ব্যবস্থাপনায় এসব অবরুদ্ধ বাংলাদেশিদের জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, রাষ্ট্রদূত তারেক আহমদ দেশটির পোর্ট সুদানের নিরাপদ এলাকায় অবস্থান করছেন। সুদানের রাজধানী থেকে বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি ও প্রবাসী ব্যবসায়ী সুলতান দানিস আলী গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সময় আজ সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ভাড়া করা এসব প্রত্যেক বাস ৪৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিয়ে পোর্ট সুদানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এসব যাত্রীর মধ্যে প্রায় ২০জন মহিলা ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। শিগগিরই উদ্ধারকৃত এসব বাংলাদেশিদের পোর্ট সুদান থেকে সউদীর জেদ্দায় নিয়ে আসা হতে পারে সুদানস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি সুলতান এ আভাস দিয়েছেন।
যুদ্ধবিধ্বংস্ত সুদানে এখনো অবরুদ্ধ বাংলাদেশিরা চরম উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। নিরাপত্তার অভাবে কেউ ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছে না। তুমুল সংঘাতময় দেশটিতে পানীয় ও খাবার সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করছে। বিদ্যুৎ নেই পানি নেই। চারদিকে আতঙ্ক আর হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মাঝে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কেউ কেউ সন্ত্রাসীদের হামলায় মোবাইল এবং নগদ অর্থও খুইছেন। সম্প্রতি দেশটির উন্দুরমান শহরে প্রবাসী সুমনের বাসায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। সউদী আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত জাভেদ পাটোয়ারী যুদ্ধবিধ্বংস্ত সুদানে অবরুদ্ধ বাংলাদেশিদের ধৈর্য্য ধারণের অনুরোধ জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। রাষ্ট্রদূত সুদানে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক ও ব্যবাসায়ীদের কোনো প্রকার হতাশ না হয়ে নিরাপদে অবস্থান করার অনুরোধ জানিয়েছেন। বাংলাদেশিদের উদ্ধারে সরকার দ্রুত বাস্তবমুখী উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত জাভেদ পাটোয়ারী বাংলাদেশ কমিউনিটি সুদান শাখার সভাপতি সুলতান দানিস আলীর কাছে পাঠানো এক বার্তায় এ অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক লোক প্রাণ হারিয়েছে। বাংলাদেশ কমিউনিটি সুদান শাখার মহাসচিব রাজাতুল্লাহ আজ মঙ্গলবার সুদান থেকে বলেন, রাজধানী খার্তুমে বহু বাংলাদেশি অবরুদ্ধ হয়ে চরম উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। তারা নিরাপত্তার অভাবে বন্দরনগরী পোর্ট সুদান শহরে আসতে পারছেন না।
এবার সুদানে সেনাবাহিনী ও মিলিশিয়া বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপদে রাখা ও তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি আলোচনায় আসে। খার্তুমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে শুরু থেকেই সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে। এরই মধ্যে অন্য দেশের মাধ্যমে এসব নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছিল, প্রথম ধাপে আনুমানিক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। দেশে ফিরতে আগ্রহী পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে পোর্ট সুদানে এবং সেখান থেকে জাহাজে করে জেদ্দায় নিতে চায় খার্তুমের বাংলাদেশ মিশন। এরপর জেদ্দা থেকে বাংলাদেশিদের বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরানো হবে। সম্প্রতি সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি সুদান থেকে আরও কয়েকজন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে সউদী আরব। সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া সউদীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, দেশটির রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী জাহাজ আমানা প্রায় ১ হাজার ৯০০ জন মানুষকে নিয়ে সউদীর জেদ্দার কিং ফয়সাল নৌ ঘাঁটিতে এসে নোঙর করে। তাদের মধ্যে ঠিক কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন সেটি অবশ্য উল্লেখ করা হয়নি। এর আগে গত শুক্রবার বাংলাদেশিসহ ৫২ জন বিদেশিকে নিয়ে ওমান থেকে জেদ্দায় আসে সউদীর নৌবাহিনীর একটি জাহাজ।
সউদী সরকার আরও প্রায় ১ হাজার ৮৬৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, রুয়ান্ডা, গাম্বিয়া, ইরিত্রি, মালাওই, মেসেডোনিয়া, ফ্রান্স, ভারত, নরওয়ে, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, যুক্তরাষ্ট্র, সিরিয়া, ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া, সুইডেন, কেনিয়া, তিউনিসিয়া, ইরাক, লিবিয়া, মরক্কো, জর্ডান, মরিশানিয়া, তানজানিয়া, ইরান, পাকিস্তান, কানাডা, রাশিয়া, পানামা, ইকুয়েডর, আয়ারল্যান্ড, গ্রিস, ভিয়েতনাম, নেপাল, বসনিয়া, দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া, বুরকিনা ফাসো, আইভরি কোস্ট, ঘানা, জিম্বাবুয়ে, বুরুন্ডি, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, তাজিকিস্তান, মঙ্গোলিয়া, তুরস্ক, ইতালি, ইথিওপিয়া, চাঁদ, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, উগান্ডা, লাইবেরিয়া, নামিবিয়া, সিয়েরা লিয়ন, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, বেনিন, নেদারল্যান্ডস, মিসর, সুদান, মরিশাস ও রোমানিয়ার নাগরিক। এছাড়া উদ্ধারকৃতদের মধ্যে জাতিসংঘের কয়েকজন সদস্য রয়েছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সুদান থেকে ৫৮৮ বাংলাদেশিকে উদ্ধার

আপডেট সময় ০৪:৪৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

আফ্রিকার সাব সাহারা অঞ্চলের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সুদানের রাজধানী খার্তুমের সাড়ে সিত্তিন এলাকা থেকে আজ মঙ্গলবার প্রথম ধাপে ১২টি বাস যোগে ৫৮৮জন বাংলাদেশি নাগরিক নিয়ে দেশটির পোর্ট সুদানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। গতকাল গভীর রাতে এসব বাংলাদেশিদের দেশটির পোর্ট সুদানে পৌঁছার কথা। খার্তুমের দূরদুরন্ত অঞ্চল থেকে গত তিন রাত পায়ে হেঁটে এসব আতঙ্কগ্রস্ত নাগরিক বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি ও প্রবাসী ব্যবসায়ী সুলতান দানিস আলীর নেতৃত্বে সাড়ে সিত্তিনে জড়ো হন। সেখানে বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যোগে বাংলাদেশিদের খাবার ও পানীয় সরবরাহ করা হয়। খার্তুমের বিভিন্ন এলাকায় এখনো বেশ কিছু বাংলাদেশি অবরুদ্ধ রয়েছে। তারা ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছে না।
দেশটির রাজধানী খার্তুমস্থ বাংলাদেশ মিশনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমদের ব্যবস্থাপনায় এসব অবরুদ্ধ বাংলাদেশিদের জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, রাষ্ট্রদূত তারেক আহমদ দেশটির পোর্ট সুদানের নিরাপদ এলাকায় অবস্থান করছেন। সুদানের রাজধানী থেকে বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি ও প্রবাসী ব্যবসায়ী সুলতান দানিস আলী গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সময় আজ সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ভাড়া করা এসব প্রত্যেক বাস ৪৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিয়ে পোর্ট সুদানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এসব যাত্রীর মধ্যে প্রায় ২০জন মহিলা ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। শিগগিরই উদ্ধারকৃত এসব বাংলাদেশিদের পোর্ট সুদান থেকে সউদীর জেদ্দায় নিয়ে আসা হতে পারে সুদানস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি সুলতান এ আভাস দিয়েছেন।
যুদ্ধবিধ্বংস্ত সুদানে এখনো অবরুদ্ধ বাংলাদেশিরা চরম উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। নিরাপত্তার অভাবে কেউ ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছে না। তুমুল সংঘাতময় দেশটিতে পানীয় ও খাবার সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করছে। বিদ্যুৎ নেই পানি নেই। চারদিকে আতঙ্ক আর হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মাঝে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কেউ কেউ সন্ত্রাসীদের হামলায় মোবাইল এবং নগদ অর্থও খুইছেন। সম্প্রতি দেশটির উন্দুরমান শহরে প্রবাসী সুমনের বাসায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। সউদী আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত জাভেদ পাটোয়ারী যুদ্ধবিধ্বংস্ত সুদানে অবরুদ্ধ বাংলাদেশিদের ধৈর্য্য ধারণের অনুরোধ জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। রাষ্ট্রদূত সুদানে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক ও ব্যবাসায়ীদের কোনো প্রকার হতাশ না হয়ে নিরাপদে অবস্থান করার অনুরোধ জানিয়েছেন। বাংলাদেশিদের উদ্ধারে সরকার দ্রুত বাস্তবমুখী উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত জাভেদ পাটোয়ারী বাংলাদেশ কমিউনিটি সুদান শাখার সভাপতি সুলতান দানিস আলীর কাছে পাঠানো এক বার্তায় এ অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক লোক প্রাণ হারিয়েছে। বাংলাদেশ কমিউনিটি সুদান শাখার মহাসচিব রাজাতুল্লাহ আজ মঙ্গলবার সুদান থেকে বলেন, রাজধানী খার্তুমে বহু বাংলাদেশি অবরুদ্ধ হয়ে চরম উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। তারা নিরাপত্তার অভাবে বন্দরনগরী পোর্ট সুদান শহরে আসতে পারছেন না।
এবার সুদানে সেনাবাহিনী ও মিলিশিয়া বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপদে রাখা ও তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি আলোচনায় আসে। খার্তুমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে শুরু থেকেই সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে। এরই মধ্যে অন্য দেশের মাধ্যমে এসব নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছিল, প্রথম ধাপে আনুমানিক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। দেশে ফিরতে আগ্রহী পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে পোর্ট সুদানে এবং সেখান থেকে জাহাজে করে জেদ্দায় নিতে চায় খার্তুমের বাংলাদেশ মিশন। এরপর জেদ্দা থেকে বাংলাদেশিদের বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরানো হবে। সম্প্রতি সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি সুদান থেকে আরও কয়েকজন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে সউদী আরব। সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া সউদীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, দেশটির রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী জাহাজ আমানা প্রায় ১ হাজার ৯০০ জন মানুষকে নিয়ে সউদীর জেদ্দার কিং ফয়সাল নৌ ঘাঁটিতে এসে নোঙর করে। তাদের মধ্যে ঠিক কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন সেটি অবশ্য উল্লেখ করা হয়নি। এর আগে গত শুক্রবার বাংলাদেশিসহ ৫২ জন বিদেশিকে নিয়ে ওমান থেকে জেদ্দায় আসে সউদীর নৌবাহিনীর একটি জাহাজ।
সউদী সরকার আরও প্রায় ১ হাজার ৮৬৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, রুয়ান্ডা, গাম্বিয়া, ইরিত্রি, মালাওই, মেসেডোনিয়া, ফ্রান্স, ভারত, নরওয়ে, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, যুক্তরাষ্ট্র, সিরিয়া, ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া, সুইডেন, কেনিয়া, তিউনিসিয়া, ইরাক, লিবিয়া, মরক্কো, জর্ডান, মরিশানিয়া, তানজানিয়া, ইরান, পাকিস্তান, কানাডা, রাশিয়া, পানামা, ইকুয়েডর, আয়ারল্যান্ড, গ্রিস, ভিয়েতনাম, নেপাল, বসনিয়া, দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া, বুরকিনা ফাসো, আইভরি কোস্ট, ঘানা, জিম্বাবুয়ে, বুরুন্ডি, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, তাজিকিস্তান, মঙ্গোলিয়া, তুরস্ক, ইতালি, ইথিওপিয়া, চাঁদ, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, উগান্ডা, লাইবেরিয়া, নামিবিয়া, সিয়েরা লিয়ন, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, বেনিন, নেদারল্যান্ডস, মিসর, সুদান, মরিশাস ও রোমানিয়ার নাগরিক। এছাড়া উদ্ধারকৃতদের মধ্যে জাতিসংঘের কয়েকজন সদস্য রয়েছেন।