ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি

কোনভাবেই স্থানীয় সরকারসহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি যে, কোনো রকমের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা যাচ্ছি না। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচনই বলেন বা কমিশনার নির্বাচনই বলেন, এখানে আমাদের দলের কোনো অংশগ্রহণ থাকবে না।

গতকাল শনিবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিশ্বাস করে না অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ তো নির্বাচনে, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে তাদের যে পুরানো লক্ষ্য এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা, সে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালে নির্বাচনকে সম্পূর্ণভাবে একটি প্রহসনে পরিণত করেছে, সেখানে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। একইভাবে ২০১৮ তে আগের রাতে ভোট করে দিয়ে তারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। জনগণ সেখানে অংশগ্রহণ করেননি। এমনকি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও জনগণ অংশগ্রহণ করছে না তথা ভোট দিতে যাচ্ছে না।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ১৪ শতাংশ ভোট পড়ার কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের উপর আস্থা হারিয়ে কেন্দ্রবিমুখ হয়েছে মানুষ। নির্বাচনগুলোতে জনগণ অংশগ্রহণ করছে না, ভোটাররা কেন্দ্রে যাচ্ছে না। সম্প্রতি যে ভোট হয়ে গেলো (চট্টগ্রামে উপনির্বাচন) সেই ভোটে মাত্র মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে গেছে। সুতরাং জনগণ বোঝে, গোটা বিশ্ব বোঝে এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো দিনই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, জনগণ সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, খুব সহজেই জনগণ বুঝে, গোটা বিশ্ব বুঝে এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনদিনই কোন সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হবে না। জনগণ সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। সেই কারণে আজকে আওয়ামী লীগ এ সমস্ত কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়।
তিনি বলেন, এবার জনগণ জেগে উঠেছে, আমরা বিশ্বাস করি জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদেরকে (সরকার) পরাজিত করবে এবং সত্যিকার অর্থে একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হরণ করে নেওয়া হয়েছে। দানবীয় একটি সরকার যারা গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়ে রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে আজকে জোর করে অস্ত্রের মুখে ক্ষমতা দখল করে রয়েছে।

তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য এই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন যেন সফল করতে পারে স্বেচ্ছাসেবক দল সেখানে যেন তাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে। ইতিমধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন শহীদ হয়েছেন, ভোলাতে আব্দুর রহিমের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়। তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায় সেজন্য তারা শপথ নিয়েছেন। আন্দোলনকে আরো তীব্র বেগবান করে তারা এই আন্দোলনকে সফল করবে। এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের একটি সরকার তৈরি করবে জনগণের একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করবে একটি গণতান্ত্রিক মুক্ত সমাজ এখানে বিনির্মাণ করবে।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- সম্প্রতি কারামুক্ত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের নেতৃত্বে সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। গত ২০ এপ্রিল স্বেচ্ছাসেবক দলের ২১৩ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেয় বিএনপি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি

আপডেট সময় ০৩:৩০:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

কোনভাবেই স্থানীয় সরকারসহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি যে, কোনো রকমের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা যাচ্ছি না। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচনই বলেন বা কমিশনার নির্বাচনই বলেন, এখানে আমাদের দলের কোনো অংশগ্রহণ থাকবে না।

গতকাল শনিবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিশ্বাস করে না অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ তো নির্বাচনে, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে তাদের যে পুরানো লক্ষ্য এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা, সে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালে নির্বাচনকে সম্পূর্ণভাবে একটি প্রহসনে পরিণত করেছে, সেখানে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। একইভাবে ২০১৮ তে আগের রাতে ভোট করে দিয়ে তারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। জনগণ সেখানে অংশগ্রহণ করেননি। এমনকি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও জনগণ অংশগ্রহণ করছে না তথা ভোট দিতে যাচ্ছে না।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ১৪ শতাংশ ভোট পড়ার কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের উপর আস্থা হারিয়ে কেন্দ্রবিমুখ হয়েছে মানুষ। নির্বাচনগুলোতে জনগণ অংশগ্রহণ করছে না, ভোটাররা কেন্দ্রে যাচ্ছে না। সম্প্রতি যে ভোট হয়ে গেলো (চট্টগ্রামে উপনির্বাচন) সেই ভোটে মাত্র মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে গেছে। সুতরাং জনগণ বোঝে, গোটা বিশ্ব বোঝে এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো দিনই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, জনগণ সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, খুব সহজেই জনগণ বুঝে, গোটা বিশ্ব বুঝে এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনদিনই কোন সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হবে না। জনগণ সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। সেই কারণে আজকে আওয়ামী লীগ এ সমস্ত কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়।
তিনি বলেন, এবার জনগণ জেগে উঠেছে, আমরা বিশ্বাস করি জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদেরকে (সরকার) পরাজিত করবে এবং সত্যিকার অর্থে একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হরণ করে নেওয়া হয়েছে। দানবীয় একটি সরকার যারা গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়ে রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে আজকে জোর করে অস্ত্রের মুখে ক্ষমতা দখল করে রয়েছে।

তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য এই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন যেন সফল করতে পারে স্বেচ্ছাসেবক দল সেখানে যেন তাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে। ইতিমধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন শহীদ হয়েছেন, ভোলাতে আব্দুর রহিমের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়। তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায় সেজন্য তারা শপথ নিয়েছেন। আন্দোলনকে আরো তীব্র বেগবান করে তারা এই আন্দোলনকে সফল করবে। এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের একটি সরকার তৈরি করবে জনগণের একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করবে একটি গণতান্ত্রিক মুক্ত সমাজ এখানে বিনির্মাণ করবে।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- সম্প্রতি কারামুক্ত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের নেতৃত্বে সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। গত ২০ এপ্রিল স্বেচ্ছাসেবক দলের ২১৩ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেয় বিএনপি।