ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সারা দে‌শে বিএন‌পির গণঅবস্থান কর্মসূচি ১১ জানুয়ারি

আগামী ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারা দেশে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

দলটির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএন‌পির ১০ দফা দাবির প্রথম কর্মসূচি ছিল আজকের গণমিছিল। দ্বিতীয় কর্মসূচি আগামী ১১ জানুয়ারি গণঅবস্থান কর্মসূচি। ঢাকায় এ কর্মসূচি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে হবে। ঢাকা ছাড়াও সারা দেশে ৯টি বিভাগীয় শহরে একইভাবে ৪ ঘণ্টা গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে গণ‌মি‌ছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএন‌পি বিশ্বাস করে, আজ যেসব দল গণমিছিল কর্মসূচি পালন করছে, তারাও আগামী ১১ জানুয়ারি বিএন‌পির স‌ঙ্গে একাত্মতা জা‌নি‌য়ে এ গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিকভাবে হাইব্রিড সরকার নামে পরিচিত। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে ব‌লেই আজ ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। তারা দেশের সব টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোতে ডলার সংক‌টের কার‌ণে অনেক আমদানিকারক এলসি খুলতে পারছেন না।

সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, তা‌দের‌কে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে গঠন করতে হবে। সে সরকারই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তাদের অধীনে দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

মিছিল শুরুর আগে নয়াপল্ট‌নে আসা নেতাকর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে থেকে সবাই‌কে অভিনন্দন জানাই।

খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সব বন্দির মুক্তির দাবি জানিয়েছেন খন্দকার মোশাররফ।

তিনি বলেন, জনগণ রাস্তায় নেমে গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করবে। এ ধরনের স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতা ছাড়ে না। তাদের ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে হবে। যত চেষ্টা করুন, যত নির্যাতন করুন, লাভ হবে না। মানুষ রাস্তায় নেমে গেছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সারা দে‌শে বিএন‌পির গণঅবস্থান কর্মসূচি ১১ জানুয়ারি

আপডেট সময় ০৩:৩৭:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

আগামী ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারা দেশে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

দলটির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএন‌পির ১০ দফা দাবির প্রথম কর্মসূচি ছিল আজকের গণমিছিল। দ্বিতীয় কর্মসূচি আগামী ১১ জানুয়ারি গণঅবস্থান কর্মসূচি। ঢাকায় এ কর্মসূচি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে হবে। ঢাকা ছাড়াও সারা দেশে ৯টি বিভাগীয় শহরে একইভাবে ৪ ঘণ্টা গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে গণ‌মি‌ছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএন‌পি বিশ্বাস করে, আজ যেসব দল গণমিছিল কর্মসূচি পালন করছে, তারাও আগামী ১১ জানুয়ারি বিএন‌পির স‌ঙ্গে একাত্মতা জা‌নি‌য়ে এ গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিকভাবে হাইব্রিড সরকার নামে পরিচিত। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে ব‌লেই আজ ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। তারা দেশের সব টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোতে ডলার সংক‌টের কার‌ণে অনেক আমদানিকারক এলসি খুলতে পারছেন না।

সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, তা‌দের‌কে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে গঠন করতে হবে। সে সরকারই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তাদের অধীনে দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

মিছিল শুরুর আগে নয়াপল্ট‌নে আসা নেতাকর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে থেকে সবাই‌কে অভিনন্দন জানাই।

খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সব বন্দির মুক্তির দাবি জানিয়েছেন খন্দকার মোশাররফ।

তিনি বলেন, জনগণ রাস্তায় নেমে গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করবে। এ ধরনের স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতা ছাড়ে না। তাদের ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে হবে। যত চেষ্টা করুন, যত নির্যাতন করুন, লাভ হবে না। মানুষ রাস্তায় নেমে গেছে।