ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচন

সরে দাঁড়ালেন আ.লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, জয়ের পথ সহজ সাত্তারের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তবে দলীয় কয়েকজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। এবার সেসব প্রার্থী সরে দাঁড়ালেন। এতে জয়ের পথ সহজ হয়ে গেলো স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী রবিবার (১৪ জানুয়ারি) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এই আসনে উপনির্বাচন হবে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এই তিন জন হলেন—জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন মঈন এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শনিবার স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। রবিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।’

জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, গতকাল শুক্রবার জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া দলের নেতাদের বৈঠক হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে হওয়া এই বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের এক বছর বাকি। এর আগে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া দলীয় নেতাদের সরে দাঁড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। কৌশলগত কারণে এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন দলীয় নেতারা। ফলে আওয়ামী লীগের যেসব নেতা প্রার্থী হয়েছেন তারা রবিবারের মধ্যে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন।

এদিকে, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে জয়ের পথ সহজ হয়ে গেলো সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার। ফলে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেন তিনি।

সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের এক সভায় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছিলেন, ‘সংসদ থেকে বিএনপির পদত্যাগ প্রশ্নবিদ্ধ করতে আবদুস সাত্তারকে এই নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে সরকার। তারা সফলভাবে কাজটি করেছে। তাকে চাপ দিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ।’

সংসদ থেকে পদত্যাগ করে আবারও আবদুস সাত্তার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় একই মন্তব্য করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু। তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পরই আবদুস সাত্তার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তবে তার সঙ্গে বিএনপির তৃণমূলের কেউ নেই।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া দলীয় নেতাদের এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।

তিনি বলেন, ‘এই আসনে দল থেকে প্রার্থী দেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে দলের কথা বলে কেউ প্রার্থী হতে পারেন না। শুক্রবার বৈঠক ডেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নেতাদের দলীয় সিদ্ধান্তের কথা স্মরণ করে দিয়েছি আমরা। শনিবার কয়েকজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। আশা করছি, অন্যরাও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে না গিয়ে এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৩ জন। এর মধ্যে আট জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হওয়া আট জন হলেন—স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন মঈন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলের যুগ্ম মহাসচিব আবদুল হামিদ ভাসানী, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ ও জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মনোনীত প্রার্থী মো. রাজ্জাক হোসেন, সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. আশরাফ উদ্দিন, শাহ মফিজ, মোহন মিয়া ও আবদুর রহিম। হলফনামায় স্বাক্ষর, এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর, ব্যাংক স্টেটমেন্ট দাখিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

এরই মধ্যে তিন জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় বৈধ প্রার্থী রয়েছেন পাঁচ জন। তারা হলেন—এই আসনের পাঁচ বারের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, জিয়াউল হক মৃধা, আবদুল হামিদ ভাসানী, আবু আসিফ আহমেদ ও জহিরুল ইসলাম।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, মূলত কৌশলগত কারণে এখানে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। এই আসনে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের নেতারা নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় সহজে জয়লাভ করবেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের লাভ হবে। কারণ আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার চেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী রুমিন ফারহানা। কাজেই আগামী নির্বাচনে আবদুস সাত্তার প্রার্থী হলে তাকে হারিয়ে জয় পেতে সহজ হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর।

জানা গেছে, ১৯৭৩ সালের পর এই আসনে আওয়ামী লীগের কোনও প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হননি। সারা দেশে যখন আওয়ামী লীগের জোয়ার তখনও (২০১৮) জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ায় দলীয় প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। তখন জাতীয় পার্টির প্রার্থীর ভরাডুবি হয়। নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আবদুস সাত্তার জয়লাভ করেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. মঈন উদ্দিন মঈন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচন

সরে দাঁড়ালেন আ.লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, জয়ের পথ সহজ সাত্তারের

আপডেট সময় ০৪:০০:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তবে দলীয় কয়েকজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। এবার সেসব প্রার্থী সরে দাঁড়ালেন। এতে জয়ের পথ সহজ হয়ে গেলো স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী রবিবার (১৪ জানুয়ারি) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এই আসনে উপনির্বাচন হবে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এই তিন জন হলেন—জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন মঈন এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শনিবার স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। রবিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।’

জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, গতকাল শুক্রবার জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া দলের নেতাদের বৈঠক হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে হওয়া এই বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের এক বছর বাকি। এর আগে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া দলীয় নেতাদের সরে দাঁড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। কৌশলগত কারণে এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন দলীয় নেতারা। ফলে আওয়ামী লীগের যেসব নেতা প্রার্থী হয়েছেন তারা রবিবারের মধ্যে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন।

এদিকে, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে জয়ের পথ সহজ হয়ে গেলো সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার। ফলে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেন তিনি।

সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের এক সভায় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছিলেন, ‘সংসদ থেকে বিএনপির পদত্যাগ প্রশ্নবিদ্ধ করতে আবদুস সাত্তারকে এই নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে সরকার। তারা সফলভাবে কাজটি করেছে। তাকে চাপ দিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ।’

সংসদ থেকে পদত্যাগ করে আবারও আবদুস সাত্তার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় একই মন্তব্য করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু। তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পরই আবদুস সাত্তার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তবে তার সঙ্গে বিএনপির তৃণমূলের কেউ নেই।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া দলীয় নেতাদের এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।

তিনি বলেন, ‘এই আসনে দল থেকে প্রার্থী দেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে দলের কথা বলে কেউ প্রার্থী হতে পারেন না। শুক্রবার বৈঠক ডেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নেতাদের দলীয় সিদ্ধান্তের কথা স্মরণ করে দিয়েছি আমরা। শনিবার কয়েকজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। আশা করছি, অন্যরাও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে না গিয়ে এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৩ জন। এর মধ্যে আট জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হওয়া আট জন হলেন—স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন মঈন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলের যুগ্ম মহাসচিব আবদুল হামিদ ভাসানী, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ ও জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মনোনীত প্রার্থী মো. রাজ্জাক হোসেন, সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. আশরাফ উদ্দিন, শাহ মফিজ, মোহন মিয়া ও আবদুর রহিম। হলফনামায় স্বাক্ষর, এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর, ব্যাংক স্টেটমেন্ট দাখিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

এরই মধ্যে তিন জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় বৈধ প্রার্থী রয়েছেন পাঁচ জন। তারা হলেন—এই আসনের পাঁচ বারের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, জিয়াউল হক মৃধা, আবদুল হামিদ ভাসানী, আবু আসিফ আহমেদ ও জহিরুল ইসলাম।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, মূলত কৌশলগত কারণে এখানে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। এই আসনে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের নেতারা নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় সহজে জয়লাভ করবেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের লাভ হবে। কারণ আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার চেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী রুমিন ফারহানা। কাজেই আগামী নির্বাচনে আবদুস সাত্তার প্রার্থী হলে তাকে হারিয়ে জয় পেতে সহজ হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর।

জানা গেছে, ১৯৭৩ সালের পর এই আসনে আওয়ামী লীগের কোনও প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হননি। সারা দেশে যখন আওয়ামী লীগের জোয়ার তখনও (২০১৮) জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ায় দলীয় প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। তখন জাতীয় পার্টির প্রার্থীর ভরাডুবি হয়। নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আবদুস সাত্তার জয়লাভ করেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. মঈন উদ্দিন মঈন।