ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারের অবৈধ আদেশ মানবেন না

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আপনারা জনগণের সেবক হওয়ার কথা। কিন্তু জনগণের ওপর গুলি চালাচ্ছেন। আপনারা এ পর্যন্ত যা করেছেন তা জনগণের বিপক্ষে করেছেন। মনে রাখবেন অবৈধ সরকারের অন্যায় হুকুম মানতে গিয়ে র‌্যাবকে স্যাংশন দেওয়া হয়েছে। আপনারা যারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবেন ও গুলি চালাবেন আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা কিন্তু আপনাদের ক্ষমা করবে না। আমরা একটি সভা-সমাবেশেও বিশৃঙ্খলা করিনি। বরং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছি।

গতকাল শনিবার বিকেলে বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানীর মতিঝিলে পীরজঙ্গী মাজারের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধিনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতিসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এই জনসমাবেশ করে বিএনপি।

এ সময় খুলনা, পটুয়াখালী, রাজবাড়ী, নেত্রকোনাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় বিএনপির সমাবেশে হামলা ও পুলিশের গুলির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল ১০টি বিভাগের ১৮টি সাংগঠনিক জেলা ও মহানগরে এই কর্মসূচি হয়েছে। তার মধ্যে পটুয়াখালী, রাজবাড়ী ও নেত্রকোনা জেলায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ বাধা দিলে তা প- হয়ে যায় এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করছে। আমরা এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, ভোটবিহীন সংসদ বিলুপ্ত করে এবং সবার অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানাই। এই দাবি শুধু বিএনপির নয়। এই দাবিতে গোটা দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশে গণতন্ত্র হত্যা করে মানুষের ভোটাধিকারও হরণ করেছে। আওয়ামী লীগ ’৭২-’৭৫ সালেও এই কাজ করেছিল বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

তিনি বলেন, তারা গত ১৪ বছর দেশে দিনের ভোট রাতে কেটেছে। এখনো অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি ও দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। দলীয়করণের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। তারা বারবার দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। জনগণ এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনগণের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। গরিব আরও গরিব হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম এই সদস্য বলেন, জনগণের এখন একটাই দাবি—অনতিবিলম্বে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। কারণ তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অর্থনীতি মেরামত করতে পারবে না। এ জন্যই মানুষ চায় শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সুতরাং আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থেকে এই সরকারকে বিদায় করি।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন থেকে পাল্টা আক্রমণ করতে হবে। কেউ আমাদেরকে কামড়াবে আর আমরা বসে বাঁশি বাজাবো তা হতে পারে না। বর্তমান অবৈধ নিশিরাতের সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। আসুন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রস্তুতি নিই। ইনশাআল্লাহ আমাগীদিনে এই সরকারকে বানের পানির মতো ভাসিয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, ব্যালটের বদলে বুলেট কেনো? অধিকারের কথা বলতে গেলে পুলিশের পিটুনি খাচ্ছে মানুষ। এই দেশের মানুষ ভোটাধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামলেই তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। যা বিশে^র কোনো সভ্য দেশে হয় না। প্রতিবেশি ভারতেও গুলি করা হয় না। শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য খুনি হাসিনার সরকার গুলি চালায়। তারা ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই ভোটের তোয়াক্কা করে না। তারা জনগণকে ধাপ্পা দিয়ে দিনের ভোট রাতে করেছে। সুতরাং তারা ভোটের তোয়াক্কা করবেও না। তোয়াক্কা করলে আজকে জিনিসপত্রের দাম এমন বাড়তো না।

মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে সরকারের শিল্পপ্রতিমন্ত্রী নিজের মুখেই বলেছেন, ‘সব কথা বলতে গেলে দেখবেন আমার লাশটা রাস্তায় পড়ে আছে’। এ ধরনের কথা যখন মন্ত্রী বলেন তখন আমরা আর কী বলতে পারি। আমাদের নেতাকর্মীরা তো অহরহ মার খাচ্ছে। গুলি খাচ্ছে। তাদের লাশ পড়ছে। গত শুক্রবার খুলনায় বিএনপির সমাবেশে গুলি করেছে। কেনো? আপনারা তো আমাদের ট্যাক্সের টাকায় চলেন। যারা গুলি করছেন মনে রাখবেন এই পোশাক কিন্তু সারাজীবন আপনাদের গায়ে থাকবেনা। সুতরাং গুলি চালানোর সময় ভবিষ্যতের জন্য এবং পরিবার ও সন্তানের বিষয়টি চিন্তা করবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ৪৮ বছর পর যদি আপনার জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে পারেন। আমরাও ৪৮ বছর পর আপনাদের বিরুদ্ধে আজকের অত্যাচার নিপীড়নের বিচার করবো। আমাদের নতুন প্রজন্মকে বলবো তোমরা দেখে নাও এবং জেনে নাও আমাদের ওপর কি ধরনের অত্যাচার চালানো হচ্ছে। বিএনপি নাকি হাঁটু ভাঙা দল। তবে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেখুন না। বিএনপি হাঁটু ভাঙা নাকি কে হাঁটু ভাঙা? আজকে নতুন প্রজন্মের কেউ ভোট দিতে পারে না। তারা জানেনা ভোটের রং কি? তাদেরকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিলেই বুঝবেন কোমরে জোর আছে নাকি হাঁটুতে। তখন পালানোর পথ পাবেন না। এখন ক্ষমতায় আছেন তো টের পাচ্ছেন না। আসলে আওয়ামী লীগ মিথ্যা বলতে বলতে অভ্যাস হয়ে গেছে। এখন শুধু শিল্প প্রতিমন্ত্রীর হুঁশ হয়েছে তবে সবার এখনো হুঁশ হয়নি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মো. রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় জনসমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভুইয়া, এডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, মীর সরফত আলী সপু, কামরুজ্জামান রতন, রকিবুল ইসলাম বকুল, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মহানগর বিএনপির নবীউল্লাহ নবী, হাবিবুর রশিদ হাবিব, লিটন মাহমুদ, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, কৃষকদলের শহীদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, ওলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব প্রমুখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারের অবৈধ আদেশ মানবেন না

আপডেট সময় ০৩:৪৬:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আপনারা জনগণের সেবক হওয়ার কথা। কিন্তু জনগণের ওপর গুলি চালাচ্ছেন। আপনারা এ পর্যন্ত যা করেছেন তা জনগণের বিপক্ষে করেছেন। মনে রাখবেন অবৈধ সরকারের অন্যায় হুকুম মানতে গিয়ে র‌্যাবকে স্যাংশন দেওয়া হয়েছে। আপনারা যারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবেন ও গুলি চালাবেন আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা কিন্তু আপনাদের ক্ষমা করবে না। আমরা একটি সভা-সমাবেশেও বিশৃঙ্খলা করিনি। বরং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছি।

গতকাল শনিবার বিকেলে বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানীর মতিঝিলে পীরজঙ্গী মাজারের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধিনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতিসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এই জনসমাবেশ করে বিএনপি।

এ সময় খুলনা, পটুয়াখালী, রাজবাড়ী, নেত্রকোনাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় বিএনপির সমাবেশে হামলা ও পুলিশের গুলির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল ১০টি বিভাগের ১৮টি সাংগঠনিক জেলা ও মহানগরে এই কর্মসূচি হয়েছে। তার মধ্যে পটুয়াখালী, রাজবাড়ী ও নেত্রকোনা জেলায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ বাধা দিলে তা প- হয়ে যায় এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করছে। আমরা এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, ভোটবিহীন সংসদ বিলুপ্ত করে এবং সবার অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানাই। এই দাবি শুধু বিএনপির নয়। এই দাবিতে গোটা দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশে গণতন্ত্র হত্যা করে মানুষের ভোটাধিকারও হরণ করেছে। আওয়ামী লীগ ’৭২-’৭৫ সালেও এই কাজ করেছিল বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

তিনি বলেন, তারা গত ১৪ বছর দেশে দিনের ভোট রাতে কেটেছে। এখনো অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি ও দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। দলীয়করণের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। তারা বারবার দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। জনগণ এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনগণের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। গরিব আরও গরিব হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম এই সদস্য বলেন, জনগণের এখন একটাই দাবি—অনতিবিলম্বে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। কারণ তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অর্থনীতি মেরামত করতে পারবে না। এ জন্যই মানুষ চায় শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সুতরাং আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থেকে এই সরকারকে বিদায় করি।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন থেকে পাল্টা আক্রমণ করতে হবে। কেউ আমাদেরকে কামড়াবে আর আমরা বসে বাঁশি বাজাবো তা হতে পারে না। বর্তমান অবৈধ নিশিরাতের সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। আসুন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রস্তুতি নিই। ইনশাআল্লাহ আমাগীদিনে এই সরকারকে বানের পানির মতো ভাসিয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, ব্যালটের বদলে বুলেট কেনো? অধিকারের কথা বলতে গেলে পুলিশের পিটুনি খাচ্ছে মানুষ। এই দেশের মানুষ ভোটাধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামলেই তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। যা বিশে^র কোনো সভ্য দেশে হয় না। প্রতিবেশি ভারতেও গুলি করা হয় না। শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য খুনি হাসিনার সরকার গুলি চালায়। তারা ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই ভোটের তোয়াক্কা করে না। তারা জনগণকে ধাপ্পা দিয়ে দিনের ভোট রাতে করেছে। সুতরাং তারা ভোটের তোয়াক্কা করবেও না। তোয়াক্কা করলে আজকে জিনিসপত্রের দাম এমন বাড়তো না।

মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে সরকারের শিল্পপ্রতিমন্ত্রী নিজের মুখেই বলেছেন, ‘সব কথা বলতে গেলে দেখবেন আমার লাশটা রাস্তায় পড়ে আছে’। এ ধরনের কথা যখন মন্ত্রী বলেন তখন আমরা আর কী বলতে পারি। আমাদের নেতাকর্মীরা তো অহরহ মার খাচ্ছে। গুলি খাচ্ছে। তাদের লাশ পড়ছে। গত শুক্রবার খুলনায় বিএনপির সমাবেশে গুলি করেছে। কেনো? আপনারা তো আমাদের ট্যাক্সের টাকায় চলেন। যারা গুলি করছেন মনে রাখবেন এই পোশাক কিন্তু সারাজীবন আপনাদের গায়ে থাকবেনা। সুতরাং গুলি চালানোর সময় ভবিষ্যতের জন্য এবং পরিবার ও সন্তানের বিষয়টি চিন্তা করবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ৪৮ বছর পর যদি আপনার জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে পারেন। আমরাও ৪৮ বছর পর আপনাদের বিরুদ্ধে আজকের অত্যাচার নিপীড়নের বিচার করবো। আমাদের নতুন প্রজন্মকে বলবো তোমরা দেখে নাও এবং জেনে নাও আমাদের ওপর কি ধরনের অত্যাচার চালানো হচ্ছে। বিএনপি নাকি হাঁটু ভাঙা দল। তবে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেখুন না। বিএনপি হাঁটু ভাঙা নাকি কে হাঁটু ভাঙা? আজকে নতুন প্রজন্মের কেউ ভোট দিতে পারে না। তারা জানেনা ভোটের রং কি? তাদেরকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিলেই বুঝবেন কোমরে জোর আছে নাকি হাঁটুতে। তখন পালানোর পথ পাবেন না। এখন ক্ষমতায় আছেন তো টের পাচ্ছেন না। আসলে আওয়ামী লীগ মিথ্যা বলতে বলতে অভ্যাস হয়ে গেছে। এখন শুধু শিল্প প্রতিমন্ত্রীর হুঁশ হয়েছে তবে সবার এখনো হুঁশ হয়নি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মো. রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় জনসমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভুইয়া, এডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, মীর সরফত আলী সপু, কামরুজ্জামান রতন, রকিবুল ইসলাম বকুল, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মহানগর বিএনপির নবীউল্লাহ নবী, হাবিবুর রশিদ হাবিব, লিটন মাহমুদ, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, কৃষকদলের শহীদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, ওলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব প্রমুখ।