ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি সংস্থাগুলো দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ বলেই বার বার বিস্ফোরণ: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারি সংস্থাগুলো দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের মতো ঘটনাগুলো বার বার ঘটছে। ভবন-কারখানাগুলো ঠিকভাবে চলছে কি-না, নিয়ম মানছে কি-না, সেগুলো দেখার দায়িত্ব যেসব সংস্থার, তাদের ব্যর্থতার কারণে এমন প্রাণহানি ঘটছে। মূলত, সরকার যখন ব্যর্থ হয় তখন সবকিছুই ব্যর্থ হয়। গতকাল রোববার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিস্ফোরণের ঘটনার জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘পঞ্চগড়েও চরম সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দুইজন নিহত হয়েছেন, দোকানপাটসহ বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এই ধরনের একটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সরকার চুপ করে থাকল কেন? সেখানে সমাবেশ করা অনুমতিই বা দেওয়া হলো কেন। আবার পরবর্তীকালে যখন আক্রমণ হয়েছে তখন পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেটা দেখল কেন, সেটাকে তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হলো না কেন?’ তিনি বলেন, ‘এই যে সাম্প্রদায়িক সমস্যা সৃষ্টি করা, বিভেদ সৃষ্টি করা- এটা সরকার সৃষ্টি করছে। আমরা মনে করি তারা অত্যন্ত অসৎ উদ্দেশ্যে এগুলো করছে।’

 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক সংকট সরকারের সৃষ্টি। দেশের মানুষ যখন গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছে, অধিকার আদায়ের জন্য যখন সংগ্রাম শুরু করেছে, দ্রব্যমূল্য যখন জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে, মানুষ যখন এই নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে, মিছিল করছে, রাজনৈতিক দলগুলো যখন রাস্তায় নেমে এসেছে তখন সবার দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেওয়ার জন্য, শুধুমাত্র জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য, ঘটনা অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য এই ধরনের সাম্প্রদায়িকতা ঘটানো হয়েছে। যাতে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন ব্যহত হয়। এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী এই সরকার।’ বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলের লিয়াজোঁ কমিটির দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন। গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, নুরে আলম ও শাহজালাল মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন আল রশীদ খান বলেন, আদানি গ্রুপের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তির বিষয়টাকে ঘোরানোর জন্য পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্য়ন্ত রাজপথে অবস্থান করে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি সংস্থাগুলো দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ বলেই বার বার বিস্ফোরণ: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৪:০৫:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারি সংস্থাগুলো দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের মতো ঘটনাগুলো বার বার ঘটছে। ভবন-কারখানাগুলো ঠিকভাবে চলছে কি-না, নিয়ম মানছে কি-না, সেগুলো দেখার দায়িত্ব যেসব সংস্থার, তাদের ব্যর্থতার কারণে এমন প্রাণহানি ঘটছে। মূলত, সরকার যখন ব্যর্থ হয় তখন সবকিছুই ব্যর্থ হয়। গতকাল রোববার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিস্ফোরণের ঘটনার জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘পঞ্চগড়েও চরম সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দুইজন নিহত হয়েছেন, দোকানপাটসহ বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এই ধরনের একটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সরকার চুপ করে থাকল কেন? সেখানে সমাবেশ করা অনুমতিই বা দেওয়া হলো কেন। আবার পরবর্তীকালে যখন আক্রমণ হয়েছে তখন পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেটা দেখল কেন, সেটাকে তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হলো না কেন?’ তিনি বলেন, ‘এই যে সাম্প্রদায়িক সমস্যা সৃষ্টি করা, বিভেদ সৃষ্টি করা- এটা সরকার সৃষ্টি করছে। আমরা মনে করি তারা অত্যন্ত অসৎ উদ্দেশ্যে এগুলো করছে।’

 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক সংকট সরকারের সৃষ্টি। দেশের মানুষ যখন গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছে, অধিকার আদায়ের জন্য যখন সংগ্রাম শুরু করেছে, দ্রব্যমূল্য যখন জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে, মানুষ যখন এই নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে, মিছিল করছে, রাজনৈতিক দলগুলো যখন রাস্তায় নেমে এসেছে তখন সবার দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেওয়ার জন্য, শুধুমাত্র জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য, ঘটনা অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য এই ধরনের সাম্প্রদায়িকতা ঘটানো হয়েছে। যাতে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন ব্যহত হয়। এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী এই সরকার।’ বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলের লিয়াজোঁ কমিটির দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন। গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, নুরে আলম ও শাহজালাল মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন আল রশীদ খান বলেন, আদানি গ্রুপের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তির বিষয়টাকে ঘোরানোর জন্য পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্য়ন্ত রাজপথে অবস্থান করে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।