ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারকে বিদায় নিতেই হবে : মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে, প্রতারণা করে এই সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারকে অবশ্যই ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতেই হবে। জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তারা পরাজিত হবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সামনে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে সরকার পদত্যাগের ১০ দফা, বিদ্যুৎ-গ্যাস-নিত্যপণ্যের ঊধর্বগতি এবং সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে দুপুর ২টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথথা বলেন। রমজান মাসে হলেও মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে সহস্রাধিক নেতা-কর্মীরা এই কর্মসূচি অংশ নেয়। ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে মহানগর ও জেলা সদরে একযোগ কর্মসূচি হয়েছে।

মির্জা ফখরুল সরকারের বিরুদ্ধে সব মানুষকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বন্ধুগণ এখনো সর্তক হোন, সজাগ হোন। যারা আজকে ক্ষমতাকে বেআইনিভাবে জোর করে ধরে রাখার জন্য ভিন্নমত ধারণকারী মানুষকে হত্যা করছে, গুম করছে, নির্যাতন করছে, কারাগারে নিচ্ছে তাদের হাত থেকে আপনারাও মাফ পাবেন না। কারণ একদিন না একদিন আপনাদেরকেও ধরবে। তাই সকল মানুষের দায়িত্ব সকলে মিলে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

জার্মান বিখ্যাত কবি মার্টিন নিম্যোলার এর লেখা কবিতা ‘ফাস্ট দে কেইম’(ওরা প্রথমত: এসেছিলো) আবৃতি করে মির্জা ফখরুল বলেন, কবিতাটি হচ্ছে, “ওরা প্রথমে কমিউনিস্টদের জন্য এসেছিলো আমি কোনো কথা বলিনি। কারণ আমি কমিউনিস্ট নই। তারপর যখন ওরা ট্রেড ইউনিয়নের লোকগুলোকে ধরে নিয়ে গেলো, আমি নিরব ছিলাম কারণ আমি শ্রমিক নই, শেষ বার ওরা ফিরে এলো আমাকে ধরে নিয়ে যেতে। আমার পক্ষে কেউ কোনো কথা বললো না। কারণ কথা বলার মতো কারণ আর কেউ ছিলো না।” আপনারা ব্যাকগ্রাউন্ড জানেন। জামার্নের ইহুদিদের হত্যা করার জন্যে হিটলার ও হিটলারের গ্যাসটাবো বাহিনী যখন একেক করে কমিউনিস্ট, সাংবাদিক, লেখক যারা সত্য কথা বলে, যারা জনগণের কথা বলে শ্রমিকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছিল তখন কোনো কোনো মানুষ তারা নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সেদিন কোনো বিরোধিতা করেনি, কোনো কথা বলেনি। তাকে যখন ধরে নিতে আসলো তখন কথা বলার কেউ ছিলো না।

তিনি বলেন, আজকে ওই অবস্থা (জার্মানের মতো অবস্থা) এখানে হয়েছে। আজকে একেক করে যারা এই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছে তাদেরকে তারা ধরে নিয়ে গেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তাদের গুম করেছে, হত্যা করেছে। শ্রমিকদের ধরে নিয়ে গেছে, গুম করেছে হত্যা করেছে, ভিন্নমত পোষণ করেছে, গুম করেছে, হত্যা করেছে। এরপর পরে আমার দেশ সম্পাদককে অত্যাচার করেছে, নির্যাতন করেছে, দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছে, শফিক রেহমানকে একইভাবে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছে, আসাদ সাহেবকে দীর্ঘকাল কারাগারে আটক করে রেখেছিলো। তখন অনেকে কোনো কথা বলেননি।

ইসি আগাম নির্বাচনের ভিন্ন কৌশল নিচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরা সহজে যাবে না। গত বৃহস্পতিবার ইলেকশন কমিশনে একটা মিটিং হয়েছে। সেই মিটিংয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নির্বাচনের সব ব্যবস্থা গ্রহন করো, প্রয়োজনে আগাম নির্বাচনের জন্যও ব্যবস্থা গ্রহন করো। তারা এখন ভিন্ন কৌশল নিতে চায়। আগাম নির্বাচন করে জাতিকে বোকা বানিয়ে তারা আগের মতো নিজেদেরকে নির্বাচিত ঘোষণা করবে। আমরা পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, এবার আর জনগণ আপনাদের কোনো কৌশলকেই সফল হতে দেবে না, আপনাদেরকে কোনো ফাঁদে পা দেবে না। এবার জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে আপনাদের সমস্ত চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দেবে।

তিনি বলেন, এই সরকার ফ্যাসিস্ট, গণতন্ত্র মানে না, মানুষের মতামতকে কোনো গুরত্ব দেয় না এবং তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং যেসব নির্বাচন করেছে কোনো ভোট ছাড়াই, জোর করে বন্দুক-পিস্তল নিয়ে ক্ষমতা আঁখড়ে আছে। তাদেরকে কারা সাহায্য করছে? আজকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে জনগণের বেতনের আপনার যাদের জীবন চলে তারা আজকে ওদের সহযোগিতা করছে। এদেশের প্রশাসন, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা এই বৈআইনি, অবৈধ সরকারকে জনগণের সাথে যাদের সম্পর্ক নেই তাদেরকে টিকিয়ে রাখছে। আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই যে, এদেশের মানুষ কখনোই অন্যায়কে মেনে নেয়নি, এদেশের মানুষ সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, যুদ্ধ করেছে এবং তারা সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে।

১০ দফা দাবি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। আমরা অবশ্যই রাস্তায় থাকবো। জনগণ যেভাবে জেগে উঠেছে আমরা নিশ্চিত এই সরকারকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে। আসুন সমস্ত রাজনৈতিক দল, সংগঠন, সকল ব্যক্তি যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসি, গণতন্ত্রকে ভালোবাসি, স্বাধীনতাকে ভালোবাসি তারা আজেকে সবাই একতাবদ্ধ হয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ভয়াবহ দানবীয় মনোস্টার যাকে বলা হয় এই অবৈধ সরকারকে জনগণের অভ্যুত্থানে মধ্য দিয়ে পরাজিত করে আমরা জনগণের সরকার, জনগণের বাংলাদেশ, মুক্ত বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘ এই সরকার আমাদের যে বর্তমান সংকট এই সংকট থেকে আর উত্তরণ করতে পারবে না। তাই অনতিবিলম্বে এই সরকারকে বিদায় করাই হচ্ছে এদেশের জনগণের একমাত্র আওয়াজ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র এক সাথে যায় না। আর বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছে গণতন্ত্রকে এনেছে। তাই বিএনপিকে এদেশের জনগনকে নিয়ে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশের ক্ষমতার পরিবর্তন আনতে হবে। ইনশাল্লাহ প্রস্তুতি সম্পন্ন। আমরা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদায় করে নির্বাচন করব।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম, মহিলা দলের আফরোজা আাব্বাস, যুব দলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, মহানগর বিএনপির ইশরাক হোসেন, নবী উল্লাহ নবী, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, ছাত্র দলের কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমূখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি কখনো নির্বাচনে যাবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের পাতানো একটি কমিশন। কারণ আওয়ামী লীগের নির্দেশ ছাড়া আর কোন কিছু করার ক্ষমতা তাদের নেই। গতকাল শনিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় বিএনপির পার্টি অফিসের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

ড. মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে কানাডায় বেগম পাড়া করে দেশের উন্নয়ন করা যায় না। আওয়ামী লীগকে আর দিনের ভোট রাতে করতে দেওয়া হবে না। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রকে আবার ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসমত উল্লাহ নবী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু, নবাবগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবুল কালাম, সাভার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ও ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল কবীর পল প্রমুখ। কর্মসূচিতে ঢাকা জেলার ৭ থানার নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে।

মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা ভিক্ষা করে স্বাধীনতা অর্জন করি নাই, যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তাই এদেশে অন্য কোন দেশের খবরধারী চলবে না। গতকাল মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে কোট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে আজ অর্থনীতির সঙ্কট চলছে। ব্যবসায়ীরা আমদানি রফতানি করতে পারছেনা। অপর দিকে আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টে বসে জনগণের টাকা খরচ করে ফাইট্যা যায় ফাইট্যা গান শুনেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের ২০০৮ সাল পর্যন্ত কার কত টাকা ছিল এবং আজ পর্যন্ত কার কত টাকা হয়েছে তার হিসাব করতে হবে। বর্তমান সরকারের কাজকর্মে জনগণ অতিষ্ঠত হয়ে উঠেছে। তাই দেশের জনগণ সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের উচিত জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এস এ কবির জিন্নাহ, সহ-সভাপতি আব্দুল বাতেন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সত্রেজ কান্ত পন্ডিত, সাংগঠনিক সম্পাদক আ, ফ, ম নূরতাজ আলম বাহার, গোলাম আবেদীন কাউছার, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া সাবু প্রমুখ।

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমরা ঢালাওভাবে দোষারোপ করি না। তবে আজ যারা বাড়াবাড়ি করছেন, তারা ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবেন। আপনারা যেমন বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা করছেন, কীভাবে গ্রেফতার করবেন, গুম করবেন। আপনাদের তালিকা যে হচ্ছে না তা কে বলবে আপনাদের। পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা খেলা হবে স্লোগানে হুমকি দেয়, তাদের খেলোয়াড় আপনারা হতে যাবেন না। আমরা খেলবো আপনারা দূর থেকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করবেন। তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনারা দেখছেন কীভাবে কর্মসূচিতে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ছে। আপনারা বার্তা নিন। আপনারা পোশাক পড়ে বাংলাদেশের মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন না। আপনি বেতন রেশন পাচ্ছেন আপনার আত্মীয় স্বজনরা পাচ্ছে না। নিজেদের জেনে শুনে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন না। তিনি আরো বলেন, ভিখারি যে সারাদিন ভিক্ষা করে সেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাওয়ার অধিকার রাখে। তার কাছেও জবাবদিহি করতে হবে এ সরকারকে। নেতাকর্মীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে গায়ে হাত দিবেন না। এর পরিণতি ভালো হবে না। অনেক বড় বড় অফিসার ছিল। আজ তাদের খোঁজ কেউ নেয় না।

আলাল বলেন, সরকারের একজন মন্ত্রী আছেন। তিনি বলেন জিনিসপত্রের দাম নাকি অনেক কম। বিচারের দায়িত্ব মানুষের হাতে, জনগণের হাতে। আমরা জনগণকে পাশে চাই। যারা পাশে থাকতে না পারবেন দূর থেকে নীরব সমর্থন দিন। তিনি আরো বলেন, আপনারা কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি আপনাদের সহযোগিতা করে তাদের ধন্যবা দিবেন। বাধা দিলে কী হবে তা আমি বলে গেছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি প্রমুখ।

নোয়াখালী জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতিটি উন্নয়ন কাজে দুর্নীতি রয়েছে। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পুলিশ বাহিনী না থাকলে আওয়ামী লীগ ভোট কেন্দ্রের কাছেও যেতে পারতো না। ২০১৮ সালে নৈরাজ্য করা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের তালিকা করে আগামী ভোটের আগে প্রশাসনকে দিতে হবে।’ গতকাল শনিবার বিকেল ৩টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে নোয়াখালী জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অতীতে যেসব ভুল করেছে তার আর করবে না। সারাদেশের মানুষের মধ্যে একটি প্রশ্ন রয়েছে, যে জনগণের প্রতিপক্ষ কে আওয়ামী লীগ নাকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী? সবাই বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কিন্তু আমরা বলবো প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ। কারণ আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে যায়। নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান।

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর থেকে জানান, সত্য কথা বলার দিন শেষ হয়ে গেছে। যারা সত্য কথা লেখে তাদেরই এই সরকার মামলা দিয়ে জেলে ভয়ে দেয় বলে দাবি করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে মাদারীপুর জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. জাফর আলী মিয়া। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান, যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান মুরাদ প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে জানান, মাগুরায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। জেলা বিএনপির আহবায়ক আলী আহাম্মদ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির উপ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ সামিমুর রহমান। জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবীব কিশোর, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বিএনপি নেতা ইকবাল আখতার খান, যুগ্ম আহবায়ক খান হাসান ইমাম সুজা, আলমগীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রিন্সিপাল আবুস সেলিম ভূঁইয়া বলেন, হাসিনা সরকার ফেসিস্ট সরকার। গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে সাতক্ষীরা তালতলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকি সবগুলা বন্ধ করেছে। আর এখন সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার নিপীড়ন শুরু করেছে। এই আওয়ামী লীগের চরিত্র দেশের মানুষ এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। জনগণ এই সরকারকে আর দেখতে চায় না। দেশের যে সঙ্কট সেটা এই সরকার নিরসন করতে পারবে না। তাই জনগণ এই সরকারকে বিদায় দিতে চায়। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী।

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. শাহাদাৎ হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এজাজ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক খোকন মল্লিক, পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান তাপু প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে গতকাল কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদ জিয়ার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী। এতে জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক স্বপন। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান কচিসহ জেলা বিএনপির নেতৃবন্দরা।

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা জানান, রাজবাড়ীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা মন্ডলির সদস্য জহুরুল হক শাহজাদা মিয়া, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. লিয়াকত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম পিন্টু, সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা জানান, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নওশাদ জমির। জেলা বিএনপির আহবায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, কর্মসূচিতে অংশ নেন।

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, নওগাঁয় গতকাল বিকাল ২টায় শহরের কেডির মোড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মো. শাহজাহান মিয়া।

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আয়োজনে গণ অনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। জেলা বিএনপির সহ সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবুর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, যুগ্ম সম্পাদক আলতাফ হোসেন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক রুবেল প্রমুখ।

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আসাদুজ্জামান। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাড, কামাল আজাদ পান্নু, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ^াস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, অবস্থান কর্মসূচি করেছে ভোলা জেলা বিএনপি। ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীরের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রাইসুল আলম।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারকে বিদায় নিতেই হবে : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৪:১৭:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩

বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে, প্রতারণা করে এই সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারকে অবশ্যই ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতেই হবে। জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তারা পরাজিত হবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সামনে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে সরকার পদত্যাগের ১০ দফা, বিদ্যুৎ-গ্যাস-নিত্যপণ্যের ঊধর্বগতি এবং সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে দুপুর ২টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথথা বলেন। রমজান মাসে হলেও মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে সহস্রাধিক নেতা-কর্মীরা এই কর্মসূচি অংশ নেয়। ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে মহানগর ও জেলা সদরে একযোগ কর্মসূচি হয়েছে।

মির্জা ফখরুল সরকারের বিরুদ্ধে সব মানুষকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বন্ধুগণ এখনো সর্তক হোন, সজাগ হোন। যারা আজকে ক্ষমতাকে বেআইনিভাবে জোর করে ধরে রাখার জন্য ভিন্নমত ধারণকারী মানুষকে হত্যা করছে, গুম করছে, নির্যাতন করছে, কারাগারে নিচ্ছে তাদের হাত থেকে আপনারাও মাফ পাবেন না। কারণ একদিন না একদিন আপনাদেরকেও ধরবে। তাই সকল মানুষের দায়িত্ব সকলে মিলে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

জার্মান বিখ্যাত কবি মার্টিন নিম্যোলার এর লেখা কবিতা ‘ফাস্ট দে কেইম’(ওরা প্রথমত: এসেছিলো) আবৃতি করে মির্জা ফখরুল বলেন, কবিতাটি হচ্ছে, “ওরা প্রথমে কমিউনিস্টদের জন্য এসেছিলো আমি কোনো কথা বলিনি। কারণ আমি কমিউনিস্ট নই। তারপর যখন ওরা ট্রেড ইউনিয়নের লোকগুলোকে ধরে নিয়ে গেলো, আমি নিরব ছিলাম কারণ আমি শ্রমিক নই, শেষ বার ওরা ফিরে এলো আমাকে ধরে নিয়ে যেতে। আমার পক্ষে কেউ কোনো কথা বললো না। কারণ কথা বলার মতো কারণ আর কেউ ছিলো না।” আপনারা ব্যাকগ্রাউন্ড জানেন। জামার্নের ইহুদিদের হত্যা করার জন্যে হিটলার ও হিটলারের গ্যাসটাবো বাহিনী যখন একেক করে কমিউনিস্ট, সাংবাদিক, লেখক যারা সত্য কথা বলে, যারা জনগণের কথা বলে শ্রমিকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছিল তখন কোনো কোনো মানুষ তারা নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সেদিন কোনো বিরোধিতা করেনি, কোনো কথা বলেনি। তাকে যখন ধরে নিতে আসলো তখন কথা বলার কেউ ছিলো না।

তিনি বলেন, আজকে ওই অবস্থা (জার্মানের মতো অবস্থা) এখানে হয়েছে। আজকে একেক করে যারা এই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছে তাদেরকে তারা ধরে নিয়ে গেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তাদের গুম করেছে, হত্যা করেছে। শ্রমিকদের ধরে নিয়ে গেছে, গুম করেছে হত্যা করেছে, ভিন্নমত পোষণ করেছে, গুম করেছে, হত্যা করেছে। এরপর পরে আমার দেশ সম্পাদককে অত্যাচার করেছে, নির্যাতন করেছে, দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছে, শফিক রেহমানকে একইভাবে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছে, আসাদ সাহেবকে দীর্ঘকাল কারাগারে আটক করে রেখেছিলো। তখন অনেকে কোনো কথা বলেননি।

ইসি আগাম নির্বাচনের ভিন্ন কৌশল নিচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরা সহজে যাবে না। গত বৃহস্পতিবার ইলেকশন কমিশনে একটা মিটিং হয়েছে। সেই মিটিংয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নির্বাচনের সব ব্যবস্থা গ্রহন করো, প্রয়োজনে আগাম নির্বাচনের জন্যও ব্যবস্থা গ্রহন করো। তারা এখন ভিন্ন কৌশল নিতে চায়। আগাম নির্বাচন করে জাতিকে বোকা বানিয়ে তারা আগের মতো নিজেদেরকে নির্বাচিত ঘোষণা করবে। আমরা পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, এবার আর জনগণ আপনাদের কোনো কৌশলকেই সফল হতে দেবে না, আপনাদেরকে কোনো ফাঁদে পা দেবে না। এবার জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে আপনাদের সমস্ত চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দেবে।

তিনি বলেন, এই সরকার ফ্যাসিস্ট, গণতন্ত্র মানে না, মানুষের মতামতকে কোনো গুরত্ব দেয় না এবং তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং যেসব নির্বাচন করেছে কোনো ভোট ছাড়াই, জোর করে বন্দুক-পিস্তল নিয়ে ক্ষমতা আঁখড়ে আছে। তাদেরকে কারা সাহায্য করছে? আজকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে জনগণের বেতনের আপনার যাদের জীবন চলে তারা আজকে ওদের সহযোগিতা করছে। এদেশের প্রশাসন, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা এই বৈআইনি, অবৈধ সরকারকে জনগণের সাথে যাদের সম্পর্ক নেই তাদেরকে টিকিয়ে রাখছে। আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই যে, এদেশের মানুষ কখনোই অন্যায়কে মেনে নেয়নি, এদেশের মানুষ সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, যুদ্ধ করেছে এবং তারা সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে।

১০ দফা দাবি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। আমরা অবশ্যই রাস্তায় থাকবো। জনগণ যেভাবে জেগে উঠেছে আমরা নিশ্চিত এই সরকারকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে। আসুন সমস্ত রাজনৈতিক দল, সংগঠন, সকল ব্যক্তি যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসি, গণতন্ত্রকে ভালোবাসি, স্বাধীনতাকে ভালোবাসি তারা আজেকে সবাই একতাবদ্ধ হয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ভয়াবহ দানবীয় মনোস্টার যাকে বলা হয় এই অবৈধ সরকারকে জনগণের অভ্যুত্থানে মধ্য দিয়ে পরাজিত করে আমরা জনগণের সরকার, জনগণের বাংলাদেশ, মুক্ত বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘ এই সরকার আমাদের যে বর্তমান সংকট এই সংকট থেকে আর উত্তরণ করতে পারবে না। তাই অনতিবিলম্বে এই সরকারকে বিদায় করাই হচ্ছে এদেশের জনগণের একমাত্র আওয়াজ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র এক সাথে যায় না। আর বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছে গণতন্ত্রকে এনেছে। তাই বিএনপিকে এদেশের জনগনকে নিয়ে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশের ক্ষমতার পরিবর্তন আনতে হবে। ইনশাল্লাহ প্রস্তুতি সম্পন্ন। আমরা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদায় করে নির্বাচন করব।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম, মহিলা দলের আফরোজা আাব্বাস, যুব দলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, মহানগর বিএনপির ইশরাক হোসেন, নবী উল্লাহ নবী, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, ছাত্র দলের কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমূখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি কখনো নির্বাচনে যাবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের পাতানো একটি কমিশন। কারণ আওয়ামী লীগের নির্দেশ ছাড়া আর কোন কিছু করার ক্ষমতা তাদের নেই। গতকাল শনিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় বিএনপির পার্টি অফিসের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

ড. মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে কানাডায় বেগম পাড়া করে দেশের উন্নয়ন করা যায় না। আওয়ামী লীগকে আর দিনের ভোট রাতে করতে দেওয়া হবে না। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রকে আবার ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসমত উল্লাহ নবী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু, নবাবগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবুল কালাম, সাভার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ও ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল কবীর পল প্রমুখ। কর্মসূচিতে ঢাকা জেলার ৭ থানার নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে।

মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা ভিক্ষা করে স্বাধীনতা অর্জন করি নাই, যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তাই এদেশে অন্য কোন দেশের খবরধারী চলবে না। গতকাল মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে কোট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে আজ অর্থনীতির সঙ্কট চলছে। ব্যবসায়ীরা আমদানি রফতানি করতে পারছেনা। অপর দিকে আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টে বসে জনগণের টাকা খরচ করে ফাইট্যা যায় ফাইট্যা গান শুনেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের ২০০৮ সাল পর্যন্ত কার কত টাকা ছিল এবং আজ পর্যন্ত কার কত টাকা হয়েছে তার হিসাব করতে হবে। বর্তমান সরকারের কাজকর্মে জনগণ অতিষ্ঠত হয়ে উঠেছে। তাই দেশের জনগণ সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের উচিত জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এস এ কবির জিন্নাহ, সহ-সভাপতি আব্দুল বাতেন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সত্রেজ কান্ত পন্ডিত, সাংগঠনিক সম্পাদক আ, ফ, ম নূরতাজ আলম বাহার, গোলাম আবেদীন কাউছার, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া সাবু প্রমুখ।

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমরা ঢালাওভাবে দোষারোপ করি না। তবে আজ যারা বাড়াবাড়ি করছেন, তারা ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবেন। আপনারা যেমন বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা করছেন, কীভাবে গ্রেফতার করবেন, গুম করবেন। আপনাদের তালিকা যে হচ্ছে না তা কে বলবে আপনাদের। পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা খেলা হবে স্লোগানে হুমকি দেয়, তাদের খেলোয়াড় আপনারা হতে যাবেন না। আমরা খেলবো আপনারা দূর থেকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করবেন। তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনারা দেখছেন কীভাবে কর্মসূচিতে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ছে। আপনারা বার্তা নিন। আপনারা পোশাক পড়ে বাংলাদেশের মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন না। আপনি বেতন রেশন পাচ্ছেন আপনার আত্মীয় স্বজনরা পাচ্ছে না। নিজেদের জেনে শুনে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন না। তিনি আরো বলেন, ভিখারি যে সারাদিন ভিক্ষা করে সেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাওয়ার অধিকার রাখে। তার কাছেও জবাবদিহি করতে হবে এ সরকারকে। নেতাকর্মীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে গায়ে হাত দিবেন না। এর পরিণতি ভালো হবে না। অনেক বড় বড় অফিসার ছিল। আজ তাদের খোঁজ কেউ নেয় না।

আলাল বলেন, সরকারের একজন মন্ত্রী আছেন। তিনি বলেন জিনিসপত্রের দাম নাকি অনেক কম। বিচারের দায়িত্ব মানুষের হাতে, জনগণের হাতে। আমরা জনগণকে পাশে চাই। যারা পাশে থাকতে না পারবেন দূর থেকে নীরব সমর্থন দিন। তিনি আরো বলেন, আপনারা কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি আপনাদের সহযোগিতা করে তাদের ধন্যবা দিবেন। বাধা দিলে কী হবে তা আমি বলে গেছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি প্রমুখ।

নোয়াখালী জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতিটি উন্নয়ন কাজে দুর্নীতি রয়েছে। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পুলিশ বাহিনী না থাকলে আওয়ামী লীগ ভোট কেন্দ্রের কাছেও যেতে পারতো না। ২০১৮ সালে নৈরাজ্য করা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের তালিকা করে আগামী ভোটের আগে প্রশাসনকে দিতে হবে।’ গতকাল শনিবার বিকেল ৩টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে নোয়াখালী জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অতীতে যেসব ভুল করেছে তার আর করবে না। সারাদেশের মানুষের মধ্যে একটি প্রশ্ন রয়েছে, যে জনগণের প্রতিপক্ষ কে আওয়ামী লীগ নাকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী? সবাই বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কিন্তু আমরা বলবো প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ। কারণ আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে যায়। নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান।

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর থেকে জানান, সত্য কথা বলার দিন শেষ হয়ে গেছে। যারা সত্য কথা লেখে তাদেরই এই সরকার মামলা দিয়ে জেলে ভয়ে দেয় বলে দাবি করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে মাদারীপুর জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. জাফর আলী মিয়া। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান, যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান মুরাদ প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে জানান, মাগুরায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। জেলা বিএনপির আহবায়ক আলী আহাম্মদ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির উপ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ সামিমুর রহমান। জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবীব কিশোর, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বিএনপি নেতা ইকবাল আখতার খান, যুগ্ম আহবায়ক খান হাসান ইমাম সুজা, আলমগীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রিন্সিপাল আবুস সেলিম ভূঁইয়া বলেন, হাসিনা সরকার ফেসিস্ট সরকার। গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে সাতক্ষীরা তালতলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকি সবগুলা বন্ধ করেছে। আর এখন সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার নিপীড়ন শুরু করেছে। এই আওয়ামী লীগের চরিত্র দেশের মানুষ এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। জনগণ এই সরকারকে আর দেখতে চায় না। দেশের যে সঙ্কট সেটা এই সরকার নিরসন করতে পারবে না। তাই জনগণ এই সরকারকে বিদায় দিতে চায়। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী।

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. শাহাদাৎ হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এজাজ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক খোকন মল্লিক, পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান তাপু প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে গতকাল কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদ জিয়ার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী। এতে জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক স্বপন। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান কচিসহ জেলা বিএনপির নেতৃবন্দরা।

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা জানান, রাজবাড়ীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা মন্ডলির সদস্য জহুরুল হক শাহজাদা মিয়া, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. লিয়াকত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম পিন্টু, সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা জানান, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নওশাদ জমির। জেলা বিএনপির আহবায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, কর্মসূচিতে অংশ নেন।

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, নওগাঁয় গতকাল বিকাল ২টায় শহরের কেডির মোড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মো. শাহজাহান মিয়া।

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আয়োজনে গণ অনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। জেলা বিএনপির সহ সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবুর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, যুগ্ম সম্পাদক আলতাফ হোসেন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক রুবেল প্রমুখ।

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আসাদুজ্জামান। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাড, কামাল আজাদ পান্নু, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ^াস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, অবস্থান কর্মসূচি করেছে ভোলা জেলা বিএনপি। ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীরের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রাইসুল আলম।