ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সপ্তাহ ব্যবধানে স্বস্তি ফিরেছে সবজিতে, কমছে চালের দাম

সপ্তাহ ব্যবধানে স্বস্তি ফিরেছে সবজিতে। বাজারে পর্যাপ্ত জোগান থাকায় কমেছে সবজির দাম। অন্যদিকে আমন চালের সরবরাহ বাড়ায় বাজারে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। দিগুবাবু বাজারের চালের ব্যাবসায়িরা জানিয়েছেন, সকল প্রকার চাল প্রতি কেজিতে ১-২ টাকা করে কমেছে বলে জানিয়েছেন চালের ব্যাবসায়িরা। পাইজাম ও বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকায়। তবে মিনিকেট চালের দাম এখনও কমেনি।
এদিকে প্রতি কেজি খিালা চিনি ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হলেও বাজার থেকে প্যাকেট চিনি উধাও। কোনো কোনো দোকানে স্বল্প পরিমাণ প্যাকেট চিনি মিললেও তা বিক্রি হচ্ছে ৫-১০ টাকা বেশি দামে। প্রতি কেজি দেশি মসুরের ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ভারতীয় মসুর ডালের দাম লাগছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।
খোলা আটার দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। দুই কেজির প্যাকেট আটার দাম পড়ছে ১৪০-১৪৫ টাকা। এ ছাড়া বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। প্রতি ডজন ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, হাঁসের ডিম ২১০ থেকে ২২০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিমের দাম পড়ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।
মাছ-মাংস আগের মতোই চড়া, পাঙাশ ছাড়া বাজারে ২০০ টাকার নিচে কোনো মাছ বিক্রি হচ্ছে না। আর সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারে শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩-৪ শত টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ অর গুলশা ৫০০ টাকা। রুই ৩০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ টাকা, কাতল ৩০০ টাকা কালিবাউশ ২৫০ টাকা, টাকি মাছ ৩ শত টাকা, ছোট পাঁচ মিশালী মাছ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়াও কই মাছ ২০০ টাকা, পাঙাশ ১৬০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭০০ টাকা, বাঘাইড় মাছ ৯০০ টাকা কেজি, বাইং (বাইন) মাছ কেজি ৭৫০ টাকা, চিতল সাড়ে ৫০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ ব্যবসায়ী রিয়াজুল বলেন, শীতের কারণে বাজারে মানুষ নেই। আর যারা আছে তারাও বাজারে দ্রব্যের দামের ঊর্ধ্বগতি জেনে চলে যাচ্ছে। এছাড়াও ফুটপাতের দোকানের কারণে বাজারে ক্রেতা কম।
তিনি আরও বলেন, ফুটপাতে ও ভ্যানের বিক্রেতাদেও তো দোকান ভাড়া, কারেন্ট বিল ও অন্যান্য খরচ লাগে না। তাদের শুধু চাঁদা দিলেই হয়ে যায়। ফলে আমাদের তুলনায় তারা একটু কম দামে বিক্রি করতে পারে। ফলে, ক্রেতারা সেই দিকে চলে যায়।
প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ ও লেয়ার মুরগি ২১০-২৩০ দেশী মুরগী ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে ৬৮০-৭০০ টাকা কেজি গরুর মাংস এবং ৯০০ টাকা কেজি দরে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে কাঁচা মরিচ ও চিনির দাম। করল্লার দাম আগের মতোই আছে। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপির দাম পড়ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। পটল ৬০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা িেজ দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং করলা ৮০-১২০ আর টমেটো ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং বরবটি ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৩০-৫৫ টাকা কেজি দরে শিম এবং ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে শসা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি পিস চাল কুমড়া ৪০-৬০ টাকা এবং লাউ আকারভেদে ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি লেবু ১৫-২০ টাকা এবং কাঁচকলা ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। নতুন আলু ২০-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৮০-৯০ টাকা।
প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আদার দাম পড়ছে ১২০ টাকা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সপ্তাহ ব্যবধানে স্বস্তি ফিরেছে সবজিতে, কমছে চালের দাম

আপডেট সময় ০৩:১৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

সপ্তাহ ব্যবধানে স্বস্তি ফিরেছে সবজিতে। বাজারে পর্যাপ্ত জোগান থাকায় কমেছে সবজির দাম। অন্যদিকে আমন চালের সরবরাহ বাড়ায় বাজারে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। দিগুবাবু বাজারের চালের ব্যাবসায়িরা জানিয়েছেন, সকল প্রকার চাল প্রতি কেজিতে ১-২ টাকা করে কমেছে বলে জানিয়েছেন চালের ব্যাবসায়িরা। পাইজাম ও বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকায়। তবে মিনিকেট চালের দাম এখনও কমেনি।
এদিকে প্রতি কেজি খিালা চিনি ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হলেও বাজার থেকে প্যাকেট চিনি উধাও। কোনো কোনো দোকানে স্বল্প পরিমাণ প্যাকেট চিনি মিললেও তা বিক্রি হচ্ছে ৫-১০ টাকা বেশি দামে। প্রতি কেজি দেশি মসুরের ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ভারতীয় মসুর ডালের দাম লাগছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।
খোলা আটার দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। দুই কেজির প্যাকেট আটার দাম পড়ছে ১৪০-১৪৫ টাকা। এ ছাড়া বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। প্রতি ডজন ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, হাঁসের ডিম ২১০ থেকে ২২০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিমের দাম পড়ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।
মাছ-মাংস আগের মতোই চড়া, পাঙাশ ছাড়া বাজারে ২০০ টাকার নিচে কোনো মাছ বিক্রি হচ্ছে না। আর সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারে শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩-৪ শত টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ অর গুলশা ৫০০ টাকা। রুই ৩০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ টাকা, কাতল ৩০০ টাকা কালিবাউশ ২৫০ টাকা, টাকি মাছ ৩ শত টাকা, ছোট পাঁচ মিশালী মাছ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়াও কই মাছ ২০০ টাকা, পাঙাশ ১৬০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭০০ টাকা, বাঘাইড় মাছ ৯০০ টাকা কেজি, বাইং (বাইন) মাছ কেজি ৭৫০ টাকা, চিতল সাড়ে ৫০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ ব্যবসায়ী রিয়াজুল বলেন, শীতের কারণে বাজারে মানুষ নেই। আর যারা আছে তারাও বাজারে দ্রব্যের দামের ঊর্ধ্বগতি জেনে চলে যাচ্ছে। এছাড়াও ফুটপাতের দোকানের কারণে বাজারে ক্রেতা কম।
তিনি আরও বলেন, ফুটপাতে ও ভ্যানের বিক্রেতাদেও তো দোকান ভাড়া, কারেন্ট বিল ও অন্যান্য খরচ লাগে না। তাদের শুধু চাঁদা দিলেই হয়ে যায়। ফলে আমাদের তুলনায় তারা একটু কম দামে বিক্রি করতে পারে। ফলে, ক্রেতারা সেই দিকে চলে যায়।
প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ ও লেয়ার মুরগি ২১০-২৩০ দেশী মুরগী ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে ৬৮০-৭০০ টাকা কেজি গরুর মাংস এবং ৯০০ টাকা কেজি দরে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে কাঁচা মরিচ ও চিনির দাম। করল্লার দাম আগের মতোই আছে। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপির দাম পড়ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। পটল ৬০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা িেজ দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং করলা ৮০-১২০ আর টমেটো ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং বরবটি ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৩০-৫৫ টাকা কেজি দরে শিম এবং ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে শসা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি পিস চাল কুমড়া ৪০-৬০ টাকা এবং লাউ আকারভেদে ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি লেবু ১৫-২০ টাকা এবং কাঁচকলা ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। নতুন আলু ২০-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৮০-৯০ টাকা।
প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আদার দাম পড়ছে ১২০ টাকা।