ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংঘাত নয় শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে এ দেশে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। কোনো সংঘাত চাই না। শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই।
রাজধানীর শ্যামলীতে গতকাল বিএনপির জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এ সমাবেশ করে দলটি। সারাদেশে বিভিন্ন জেলায় এ দাবিতে সমাবেশ করেছে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৯৬ সালে আপনি (শেখ হাসিনা) বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন মানবো না। আজকে আমরাও পরিষ্কার করে বলছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া জনগণ নির্বাচন মানবে না। ২০১৮ সালের সংলাপ করে বলেছিলেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হবে না। অথচ তারপরেও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অজস্র মামলা-হামলার শিকার হতে হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা প্রথম শর্ত দিয়েছি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে। তারেক রহমানসহ ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে তাকে দেশে ফেরার সুযোগ দিতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। সরকারের সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে।
ফখরুল বলেন, সরকার আইন করে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমাচ্ছে। নতুন আইনে এখন নির্বাচন কমিশন কোনো আসনের নির্বাচন বাতিল করতে পারবে না। তাহলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা থাকলো কোথায়? আপনারা জনগণকে বোকা মনে করছেন, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছেন।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বলতে চাই, সরকারের সময় শেষ। এখন আপনারা তাদের কোনো অন্যায় আদেশ মানবেন না। তাহলে সেটা জনগণের বিরুদ্ধে যাবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বলতে চাই, দয়া করে আপনারা এমন কিছু করবেন না, যেন আপনাদের চিহ্নিত হতে হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোথাও শিক্ষার পরিবেশ নেই। তৃতীয় শ্রেণির ফল নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পাচ্ছেন সরকারের লোকজন। স্বাস্থ্যখাতের বেহাল দশা। পিয়ন পদে যে চাকরি করে, তার অ্যাকাউন্টেও কোটি কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকজন ছাড়া ব্যবসা করতে পারছেন না কেউ। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ওপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারকে টেনে না নামালে নামবে না। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকার করোনাভাইরাস, ঘূর্ণিঝড় মোখা থামাতে পারলেও জনতার ¯্রােত থামাতে পারবে না। রাজপথে ফয়সালা হবে। তারপর জনগণের সংসদ গঠন করা হবে।
শেষ সময়ে টিকে থাকতে সরকার মরণ কামড় দিচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, যতই জাপান, আমেরিকা, চীন যান, কোনো লাভ নেই। আপনাদের সময় শেষ।

প্রধানমন্ত্রীকে গণভবন ছেড়ে জনতার কাতারে এসে মানুষের চোখের ভাষা বোঝার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সব পাইক-পেয়াদা রেখে, পুলিশ প্রটেকশন সব কিছু বাদ দিয়ে গণভবন থেকে বের হয়ে আসেন। জনতার কাতারে আসেন। মানুষের চোখের দিকে তাকান। মানুষের চোখের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম ৩ থেকে ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। অথচ আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা, মন্ত্রীরা সারাক্ষণ এসি গাড়িতে, এসি বাড়িতে থাকছেন। পোলাও-কোরমা খাচ্ছেন। তারা বলছেন, সব ঠিক আছে। আবার তামাশা করে কেউ কেউ বলছেন, দেশ সিঙ্গাপুরের চেয়েও ভালো আছে।

নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে এ জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ বা সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোন দ্বন্দ্ব সংঘাত নেই। তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সংঘাত চলছে গণতন্ত্রের। যেখানে গণতন্ত্র সেখানে আওয়ামী লীগ নেই, যেখানে আওয়ামী লীগ সেখানে গণতন্ত্র নেই। আমরা দেশে গণতন্ত্রের জায়গাটি নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছি। আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করি, আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করে দেশের এই ফ্যাসিবাদের হাত থেকে দেশটাকে মুক্ত করি। সেজন্য আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের কোনো বিকল্প নাই। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াসিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। জনগণ রাস্তায় নামছে এবং আমাদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতি উৎসাহী লোকজন আমাদের নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করছেন। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি এখন তো আমরা কোন কর্মসূচি পালন করলে আপনাদেরকে ইনফর্ম করি, কিন্তু যেদিন চূড়ান্ত আন্দোলন করবো সেদিন কোন ইনফর্ম নয়, সেদিন অধিকার আদায়ের হাতিয়ার হয়ে জনগণ রাজপথে থাকবে। পারলে সেদিন জনগণকে ঠেকাবেন। সেদিন আঘাত এলে পাল্টা আঘাত করা হবে। আর এটা করবো আমার বাঁচার অধিকারের অধিকার নিয়ে। তাই আমি অনুরোধ করব জনগণের টাকায় যাদের বেতন হয় সেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাইয়েরা গণতন্ত্রের পক্ষে থাকুন। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণ যখন কোনো ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জন্য রাস্তায় নামে, তখন কোনো শক্তিতেই তারা টিকে থাকতে পারে না। সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করার অনুরোধ জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, যদি বিএনপিকে ভালোবাসেন তাহলে আপনাদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলেন। আগামীতে আমরা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করবো নিজেদের বিরুদ্ধে না। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই দেশকে রক্ষা করার জন্য এটকা মাত্র কাজ আমাদের সামনে আছে, এই সরকারকে আমরা বিদায় করবো। মানুষের পেটে ভাত না থাকলে উন্নয়ন দিয়ে কি হবে। তার পরেও উন্নয়নের দরকার আছে। কিন্তু উন্নয়নের নামে আপনাদের পকেট ভারি করে ফেলবেন সেই উন্নয়ন আমাদের দরকার নাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘জামাতে ইসলামের নাম শুনলে আওয়ামী লীগের গায়ে আগুন জ্বলে, এখন আবার নাকি আপোস করতেছে শুনলাম। এই জামাতে ইসলাম ২০০৭ সালে যখন বললো ‘তত্বাবাধায়ক সরকার এই মুহুর্তে দরকার’, তখন আওয়ামী লীগও তাদের সুরে সুর মিলালো। দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাদের কথার সম্মান জানালেন। না হলে আজ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারতেন।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। আপনারা কি খেলাধুলা করছেন আমরা সেটা দেখতে চাই। খেলা তো শুরু হয়ে গেছে। আমরা আপনাদের খেলায় অংশগ্রহণ করবো না। আমরা একটা ফ্রেস, ফ্রি নির্বাচন চাই তত্বাবাধায়ক সরকারের অধিনে। এতদিনে যা কামাইছেন সেগুলো নিয়ে পালানোর পথ কিন্তু পাবেন না। সরকার কোথায় কোথায় কিভাবে পালাবেন সে কথাও নাকি চিন্তা ভাবনা করতেছেন, শুনলাম। এই দেশের জনগণ আপনাদের বিচারের পাল্লায় তুলবে।’

সমাবেশে মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্ত্রজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ প্রমুখ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে জানান, এখনো সময় আছে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দেশের মানুষকে মুক্তি দিয়ে সরে পড়ুন। আর তা না হলে দেশের জনগণ গণ আন্দোললনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনে গণতান্ত্রীক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। গতকাল মাগুরা জেলা বিএনপি আয়োজিত গণ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ আর দেরি করবেনা, তারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের দাবি আদায় করে ঘরে ফিরবে। সময় হয়ে গেছে স্বৈরাচার সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে, শুধু সময়ের ব্যাপার এ সরকারের বিদায় তরান্বিত করতে তিনি দেশ প্রেমিক জনগণকে সামনের আন্দোলন সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামার আহবান জানান।

সমাবেশে মাগুরা জেলা বিএনপির আহবায়ক আলী আহম্মদ সভাপতিত্বে জেলা বিএনপি সদস্য সচিব মো. আখতার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি নেওয়াজ হালিমা আরলী, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ওবায়দুল হক চান্দ, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান সম্রাট প্রমুখ।

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় ফরিদপুরেও বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অথিতি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। গতকাল ফরিদপুর জেলা বিত্রনপির কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিত্রনপির আহবায়ক অ্যাড. সৈয়দ মোদারেস আলী ইচ্ছা।

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, গণসমাবেশে ব্যরিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন বলেন, সরকার পতন আন্দোলন খালেদা জিয়া কিংবা বিএনপির নয়, এবারের আন্দোলন দেশের জনগণ ও দেশকে রক্ষার জন্য। লুটপাট আর দুঃশাসনে মানুষ আজ দিশেহারা। এ সরকার দেশের ভোট ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। মানুষের বাঁচার অধিকার হরণ করেছে। এ জন্য আবারো যুদ্ধ করতে হবে। আপনারা যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত হন। গতকাল দুপুরে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাজার এন.আর প্লাজা মার্কেট চত্ত্বরে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন । এ সময় আরও মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রংপুর বিভাগ সাংগাঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি সাইফুর রহমান রানা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুড়িগ্রাম বিএনপির সভাপতি তাসভীর উল ইসলাম।

ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, ভোলায় জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় ভোলা শহরের মহাজনপট্রিস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলম নবী আলমগীরের সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ন-মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোযার। আরো বক্তব্য রাখেন,জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক শফিউর রহমান কিরন, সদস্য সচিব রাইসুল আলম, থানা বিএনপির সভাপতি আসিফ আলতাফ প্রমুখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সংঘাত নয় শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই

আপডেট সময় ০৪:০০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে এ দেশে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। কোনো সংঘাত চাই না। শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই।
রাজধানীর শ্যামলীতে গতকাল বিএনপির জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এ সমাবেশ করে দলটি। সারাদেশে বিভিন্ন জেলায় এ দাবিতে সমাবেশ করেছে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৯৬ সালে আপনি (শেখ হাসিনা) বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন মানবো না। আজকে আমরাও পরিষ্কার করে বলছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া জনগণ নির্বাচন মানবে না। ২০১৮ সালের সংলাপ করে বলেছিলেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হবে না। অথচ তারপরেও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অজস্র মামলা-হামলার শিকার হতে হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা প্রথম শর্ত দিয়েছি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে। তারেক রহমানসহ ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে তাকে দেশে ফেরার সুযোগ দিতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। সরকারের সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে।
ফখরুল বলেন, সরকার আইন করে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমাচ্ছে। নতুন আইনে এখন নির্বাচন কমিশন কোনো আসনের নির্বাচন বাতিল করতে পারবে না। তাহলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা থাকলো কোথায়? আপনারা জনগণকে বোকা মনে করছেন, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছেন।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বলতে চাই, সরকারের সময় শেষ। এখন আপনারা তাদের কোনো অন্যায় আদেশ মানবেন না। তাহলে সেটা জনগণের বিরুদ্ধে যাবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বলতে চাই, দয়া করে আপনারা এমন কিছু করবেন না, যেন আপনাদের চিহ্নিত হতে হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোথাও শিক্ষার পরিবেশ নেই। তৃতীয় শ্রেণির ফল নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পাচ্ছেন সরকারের লোকজন। স্বাস্থ্যখাতের বেহাল দশা। পিয়ন পদে যে চাকরি করে, তার অ্যাকাউন্টেও কোটি কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকজন ছাড়া ব্যবসা করতে পারছেন না কেউ। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ওপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারকে টেনে না নামালে নামবে না। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকার করোনাভাইরাস, ঘূর্ণিঝড় মোখা থামাতে পারলেও জনতার ¯্রােত থামাতে পারবে না। রাজপথে ফয়সালা হবে। তারপর জনগণের সংসদ গঠন করা হবে।
শেষ সময়ে টিকে থাকতে সরকার মরণ কামড় দিচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, যতই জাপান, আমেরিকা, চীন যান, কোনো লাভ নেই। আপনাদের সময় শেষ।

প্রধানমন্ত্রীকে গণভবন ছেড়ে জনতার কাতারে এসে মানুষের চোখের ভাষা বোঝার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সব পাইক-পেয়াদা রেখে, পুলিশ প্রটেকশন সব কিছু বাদ দিয়ে গণভবন থেকে বের হয়ে আসেন। জনতার কাতারে আসেন। মানুষের চোখের দিকে তাকান। মানুষের চোখের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম ৩ থেকে ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। অথচ আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা, মন্ত্রীরা সারাক্ষণ এসি গাড়িতে, এসি বাড়িতে থাকছেন। পোলাও-কোরমা খাচ্ছেন। তারা বলছেন, সব ঠিক আছে। আবার তামাশা করে কেউ কেউ বলছেন, দেশ সিঙ্গাপুরের চেয়েও ভালো আছে।

নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে এ জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ বা সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোন দ্বন্দ্ব সংঘাত নেই। তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সংঘাত চলছে গণতন্ত্রের। যেখানে গণতন্ত্র সেখানে আওয়ামী লীগ নেই, যেখানে আওয়ামী লীগ সেখানে গণতন্ত্র নেই। আমরা দেশে গণতন্ত্রের জায়গাটি নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছি। আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করি, আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করে দেশের এই ফ্যাসিবাদের হাত থেকে দেশটাকে মুক্ত করি। সেজন্য আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের কোনো বিকল্প নাই। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াসিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। জনগণ রাস্তায় নামছে এবং আমাদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতি উৎসাহী লোকজন আমাদের নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করছেন। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি এখন তো আমরা কোন কর্মসূচি পালন করলে আপনাদেরকে ইনফর্ম করি, কিন্তু যেদিন চূড়ান্ত আন্দোলন করবো সেদিন কোন ইনফর্ম নয়, সেদিন অধিকার আদায়ের হাতিয়ার হয়ে জনগণ রাজপথে থাকবে। পারলে সেদিন জনগণকে ঠেকাবেন। সেদিন আঘাত এলে পাল্টা আঘাত করা হবে। আর এটা করবো আমার বাঁচার অধিকারের অধিকার নিয়ে। তাই আমি অনুরোধ করব জনগণের টাকায় যাদের বেতন হয় সেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাইয়েরা গণতন্ত্রের পক্ষে থাকুন। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণ যখন কোনো ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জন্য রাস্তায় নামে, তখন কোনো শক্তিতেই তারা টিকে থাকতে পারে না। সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করার অনুরোধ জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, যদি বিএনপিকে ভালোবাসেন তাহলে আপনাদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলেন। আগামীতে আমরা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করবো নিজেদের বিরুদ্ধে না। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই দেশকে রক্ষা করার জন্য এটকা মাত্র কাজ আমাদের সামনে আছে, এই সরকারকে আমরা বিদায় করবো। মানুষের পেটে ভাত না থাকলে উন্নয়ন দিয়ে কি হবে। তার পরেও উন্নয়নের দরকার আছে। কিন্তু উন্নয়নের নামে আপনাদের পকেট ভারি করে ফেলবেন সেই উন্নয়ন আমাদের দরকার নাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘জামাতে ইসলামের নাম শুনলে আওয়ামী লীগের গায়ে আগুন জ্বলে, এখন আবার নাকি আপোস করতেছে শুনলাম। এই জামাতে ইসলাম ২০০৭ সালে যখন বললো ‘তত্বাবাধায়ক সরকার এই মুহুর্তে দরকার’, তখন আওয়ামী লীগও তাদের সুরে সুর মিলালো। দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাদের কথার সম্মান জানালেন। না হলে আজ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারতেন।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। আপনারা কি খেলাধুলা করছেন আমরা সেটা দেখতে চাই। খেলা তো শুরু হয়ে গেছে। আমরা আপনাদের খেলায় অংশগ্রহণ করবো না। আমরা একটা ফ্রেস, ফ্রি নির্বাচন চাই তত্বাবাধায়ক সরকারের অধিনে। এতদিনে যা কামাইছেন সেগুলো নিয়ে পালানোর পথ কিন্তু পাবেন না। সরকার কোথায় কোথায় কিভাবে পালাবেন সে কথাও নাকি চিন্তা ভাবনা করতেছেন, শুনলাম। এই দেশের জনগণ আপনাদের বিচারের পাল্লায় তুলবে।’

সমাবেশে মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্ত্রজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ প্রমুখ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে জানান, এখনো সময় আছে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দেশের মানুষকে মুক্তি দিয়ে সরে পড়ুন। আর তা না হলে দেশের জনগণ গণ আন্দোললনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনে গণতান্ত্রীক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। গতকাল মাগুরা জেলা বিএনপি আয়োজিত গণ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ আর দেরি করবেনা, তারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের দাবি আদায় করে ঘরে ফিরবে। সময় হয়ে গেছে স্বৈরাচার সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে, শুধু সময়ের ব্যাপার এ সরকারের বিদায় তরান্বিত করতে তিনি দেশ প্রেমিক জনগণকে সামনের আন্দোলন সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামার আহবান জানান।

সমাবেশে মাগুরা জেলা বিএনপির আহবায়ক আলী আহম্মদ সভাপতিত্বে জেলা বিএনপি সদস্য সচিব মো. আখতার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি নেওয়াজ হালিমা আরলী, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ওবায়দুল হক চান্দ, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান সম্রাট প্রমুখ।

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় ফরিদপুরেও বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অথিতি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। গতকাল ফরিদপুর জেলা বিত্রনপির কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিত্রনপির আহবায়ক অ্যাড. সৈয়দ মোদারেস আলী ইচ্ছা।

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, গণসমাবেশে ব্যরিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন বলেন, সরকার পতন আন্দোলন খালেদা জিয়া কিংবা বিএনপির নয়, এবারের আন্দোলন দেশের জনগণ ও দেশকে রক্ষার জন্য। লুটপাট আর দুঃশাসনে মানুষ আজ দিশেহারা। এ সরকার দেশের ভোট ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। মানুষের বাঁচার অধিকার হরণ করেছে। এ জন্য আবারো যুদ্ধ করতে হবে। আপনারা যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত হন। গতকাল দুপুরে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাজার এন.আর প্লাজা মার্কেট চত্ত্বরে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন । এ সময় আরও মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রংপুর বিভাগ সাংগাঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি সাইফুর রহমান রানা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুড়িগ্রাম বিএনপির সভাপতি তাসভীর উল ইসলাম।

ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, ভোলায় জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় ভোলা শহরের মহাজনপট্রিস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলম নবী আলমগীরের সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ন-মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোযার। আরো বক্তব্য রাখেন,জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক শফিউর রহমান কিরন, সদস্য সচিব রাইসুল আলম, থানা বিএনপির সভাপতি আসিফ আলতাফ প্রমুখ।